আবদুল্লাহ ইবনে সালাম বর্ণিত হাদিস | সুফ্ফার লোকেরা, মদিনা অথবা মদিনাহ হিসেবেও একে আনুবাদ করা হয়ে থাকে। পশ্চিমী সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলের একটি শহর এবং আল মদিনাহ প্রদেশের রাজধানী। এইটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর যেখানে মুসলমান দের শেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র রওযা মোবারক। এইটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পরে মদিনায় বসবাস করেছেন। নানান ঐতিহাসিক কারণে মদিনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও পবিত্র এই নগরীটি।
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম বর্ণিত হাদিস | সুফ্ফার লোকেরা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
মদিনার শুরুর দিকের ঘটনা সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে-সালাম বর্ণিত একটি বিখ্যাত হাদিস আছে। তিনি ছিলেন ইহুদিদের গুটিকতক বড় মাপের রাবাইদের অন্যতম। নবিজির (সা) কুবা পৌঁছার খবর শুনে তিনি সেখানে ছুটে যান, নবিজিকে (সা) দেখার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন, এই চেহারা কোনো মিথ্যাবাদীর হতে পারে না। এভাবেই আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ণ মানুষদের সৎপথ প্রদর্শন করেন। এটাকে “ফিরাসা বলা হয়; অর্থাৎ এক ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি আরেক ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে সহজেই চিনতে পারেন। অন্য একটি হাদিসেও ফিরাসার বিষয়টির উল্লেখ আছে।

আবদুল্লাহ ইবনে-সালাম নবিজিকে (সা) প্রথম যে কথাটি বলতে শুনেছেন তা হলো, সালাম (শান্তি) এর সম্ভাষণ সর্বত্র ছড়িয়ে দাও, মানুষদের আহার দাও, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো এবং রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ পড়ো। (আশা করা যায় তাহলে) তোমরা সালামের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” আমরা দেখতে পাচ্ছি, নবিজি (সা) মদিনায় আসার প্রথম দিন থেকেই সহৃদয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে উৎসাহিত করেন, যা পরে ইসলামের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
আরও পড়ূনঃ