ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইসলামের দাওয়াত | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন, নবুয়ত-পরবর্তী প্রথম দিনগুলোতে দাওয়াত ‘গোপন’ ছিল তা বলা যাবে না। বরং তা ‘ব্যক্তিগত’ দাওয়াত বলা যেতে পারে। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? গোপন দাওয়াত মানে কেউ এ সম্পর্কে জানতে পারবে না। আর ব্যক্তিগত দাওয়াত মানে বিষয়টা এক রকম ‘ওপেন সিক্রেট’।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইসলামের দাওয়াত | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
আল্লাহর রসুল (সা) ইসলাম প্রচার শুরু করলে সে খবর অনেকটাই মুখে মুখে রটে যায়। অনেক লোকই এ সম্পর্কে জানতে পারে। আগের পর্বে আমরা আলোচনা করেছি, আমর ইবনে আবাসা লোকমুখে খবর পেয়ে সুদূর ইয়েমেন থেকে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে মক্কায় এসেছিলেন। আবাসা সব শুনে নবিজিকে (সা) অনুসরণ করতে চাইলে রসুল (সা) তাঁকে বলেছিলেন, পরিস্থিতি প্রতিকূল এবং তখনও সময় আসেনি।

প্রথম পর্যায়ে তিনি শুধু ব্যক্তিগতভাবে ইসলাম প্রচার করছিলেন। শুরুতে শুধু সেই সব বন্ধুর কাছেই গিয়েছিলেন, যাঁদের ওপরে তিনি ভরসা করতে পারতেন। অতএব সেই সময় জনমানুষের দিক থেকে বিরোধিতা আসার কোনো কারণ ছিল না। এভাবে তিন বছর ধরে রসুল (সা) জনগণের কাছে সরাসরি ইসলামের প্রচার করেননি। এমনকি তিনি মক্কায় হজ করতে কিংবা বেড়াতে আসা মানুষদের কাছেও নয়। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম গ্রহণ করবে না বলে তিনি মনে করেছিলেন, তাদের কাছেও প্রচার করেননি (উদাহরণ: আবু লাহাব, আবু জেহেল প্রমুখ)। আবু লাহাব, আবু জেহেল প্রমুখ নতুন প্রচারিত এই ধর্ম সম্পর্কে অবশ্যই শুনেছিলেন, কিন্তু এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাননি কারণ মুহাম্মদ (সা) মক্কার ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করছিলেন না কিংবা লোকসমক্ষে দাঁড়িয়ে ইসলাম প্রচার করছিলেন না।
আরো পড়ুনঃ
- মানবজাতির জন্য নবির প্রয়োজন কেন? | দ্বিতীয়বারের-ওহি | মহানবী-হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
- আলি ইবনে আবি তালিব (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত-মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
- আবু বকর (রা) | দ্বিতীয়বারের ওহি | মহানবী হযরত-মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
- জায়েদ ইবনে হারিস | দ্বিতীয়বারের-ওহি | মহানবী হযর- মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
- সান ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা) | দ্বিতীয়বারের-ওহি | মহানবী হযরত-মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন