ইসলাম-পরবর্তী সময়ে হালিমার পরিবার | মহানবি মুহাম্মদের (সা) শৈশব | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

ইসলাম-পরবর্তী সময়ে হালিমার পরিবার | মহানবি মুহাম্মদের (সা) শৈশব, আরও ৫৭ বছর পরে, হুনায়েনের যুদ্ধের সময়ে যখন সব গোত্র দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে, সেই সময় বনু সাদ ইবনে বকর গোত্রও যুদ্ধ-বিজিত হিসেবে ইসলামি শক্তির করতলগত হয়। বর্ণিত আছে যে, ওই গোত্রের এক মহিলা তখন নিজেকে নবি করিমের (সা) বোন হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেশ শোরগোল করছিলেন। সাহাবিরা বুঝতে পারছিলেন না ব্যপারটি কীভাবে সুরাহা করবেন। তাই তাঁরা সেই মহিলাকে নবিজির (সা) কাছে নিয়ে যান।

 

ইসলাম-পরবর্তী সময়ে হালিমার পরিবার | মহানবি মুহাম্মদের (সা) শৈশব | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

ইসলাম-পরবর্তী সময়ে হালিমার পরিবার | মহানবি মুহাম্মদের (সা) শৈশব | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নবিজি (সা) মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, “আমি কীভাবে বুঝতে পারব যে আপনিই শায়মা?” মহিলা জবাবে বলেন, “আপনার শিশু বয়সে আমি যখন আপনাকে কোলে নিয়ে থাকতাম, তখন একদিন আপনি যে আমাকে কামড়ে দিয়েছিলেন সেই চিহ্ন আমি এখনও রহন করে চলেছি।” নবিজি (সা) সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন যে ইনিই শায়মা, কারণ ওই ঘটনা আর কারও জানতে পারার কথা নয়। তিনি তাঁকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং অনেক উপহারও দিয়েছিলেন।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কিন্তু হালিমা ও তাঁর স্বামী ওই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে যুদ্ধের পরে তাঁরা একবার নবিজির (সা) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নবিজি (সা) হালিমাকে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে চিনতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁকে অভিবাদন জানাতে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নিজের শালটি খুলে হালিমাকে বসার জন্য মাটিতে পেতে দিয়েছিলেন। কোনো কোনো জীবনীগ্রন্থে আছে, হালিমা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং নবিজি (সা) তাঁকে অনেক উপহার দিয়েছিলেন। তারপর হালিমা ও তাঁর স্বামী নিজেদের এলাকায় ফিরে যান।

 

ইসলাম-পরবর্তী সময়ে হালিমার পরিবার | মহানবি মুহাম্মদের (সা) শৈশব | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আরো পড়ূনঃ

 

Leave a Comment