জায়েদ ইবনে হারিসা | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জায়েদ ইবনে হারিসা | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু, ওহি নাজিল হওয়ার আগের আরও একটি কাহিনি আছে, যা থেকে আমরা নবি করিমের (সা) উন্নত চরিত্রের প্রমাণ পাই। কাহিনিটি জায়েদ ইবনে হারিসার। জায়েদের পুর্বপুরুষরা ছিল কাহতানি, তারা এসেছিল ইয়েমেনের এক উপজাতি থেকে। জায়েদের মা ও বাবা ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন দুটি গোত্রের মানুষ, যাদের মধ্যে এক ধরনের মিশ্র সম্পর্ক, অর্থাৎ ঘৃণা-ভালোবাসার সম্পর্ক বিরাজ করছিল।

 

 

জায়েদ ইবনে হারিসা | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

জায়েদ ইবনে হারিসা | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জায়েদের বয়স যখন সাত-আট বছর তখন একদিন তার মা সুদা তাঁকে নিজের গোত্রের কাছে নিয়ে যান। ঠিক সেই সময়ে জায়েদের পিতার গোত্র ও মাতার গোত্রের মধ্যে সংঘাত চলছিল। জায়েদকে দেখে তার মায়ের দিকের আত্মীয়রা তাঁকে তার মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। যেহেতু জাহেলি যুগে পুত্ররা পিতার বংশের অংশ হিসেবে পরিচিত হতো, তাই জায়েদের মায়ের গোত্রের লোকের তার বাবার গোত্রের ওপর এভাবেই প্রতিশোধ নিয়েছিল। জায়েদকে তারা ওকাজের মেলায় বিক্রি করে দেয়। ওকাজ ছিল হজ মৌসুমের পরে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম বাজার ।

ঘটনাক্রমে জায়েদকে কিনে নিয়েছিল হাকিম ইবনে হিজাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি ছিলেন সম্পর্কে খাদিজার (রা) ভাগ্নে। ইতিমধ্যে খাদিজা (রা) অল্প বয়সের একজন দাস খুঁজে দিতে হাকিমকে কিছু টাকা দিয়ে রেখেছিলেন। হাকিম জায়েদকে খাদিজার (রা) কাছে হস্তান্তর করেন। এভাবেই জায়েদ খাদিজার (রা) দাসে পরিণত হন। খাদিজা (রা) বিয়ের পর তাঁর স্বামীকে (মুহাম্মদকে) উপহার হিসেবে জায়েদকে দিয়েছিলেন। এসবই ঘটেছিল ইসলামের আগমনের আগে। ওদিকে জায়েদের বাবা হারিসা হন্যে হয়ে তাঁর ছেলের সন্ধান করছিলেন।

তিনি লোকমুখে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁদের গোত্রের একটি ছেলে হারিয়ে গেছে, সে দেখতে এরকম, ইত্যাদি; ‘কেউ যদি তার খোঁজ পান তাহলে দয়া করে আমাকে খবর দেবেন।’ সে বছর হজের মৌসুমে মক্কায় গিয়ে এক ব্যক্তি জায়েদকে দেখে অনুমান করতে পারে যে হারিসা এই ছেলেটিকেই খুঁজছে। সে ফিরে গিয়ে হারিসাকে বলে, “সম্ভবত আমরা তোমার ছেলেকে মক্কায় দেখতে পেয়েছি। সে সেখানে মুহাম্মদ নামের আবদুল মুত্তালিবের এক নাতির দাস।” তারপর জায়েদের বাবা তাঁর ভাইকে নিয়ে মক্কায় গিয়ে নবিজির (সা) খোঁজ করেন। নবিজি (সা) তখন হারামে অবস্থান করছিলেন। তারা সেখানে গিয়ে তাঁকে বলল, “হে মুহাম্মদ! আপনি উচ্চবংশের, উন্নত চরিত্রের অধিকারী একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি।

জায়েদ আমাদের ছেলে। তাঁকে অন্যায়ভাবে অপহরণ করে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল । আমরা আমাদের ছেলেকে ফিরিয়ে নিতে চাই । আমরা আপনাকে মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য প্রস্তত আছি। আপনি আমাদের প্রতি একটু সদয় হোন।” লক্ষ করুন, এই ঘটনাটি ঘটেছিল জাহেলি যুগে, যখন সমাজে আইন- শৃঙ্খলার কোনো বালাই ছিল না, ক্ষমতাধরেরাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত; বিচার- আচার করার জন্য কোনো আদালত ছিল না। সে যুগে লোকেরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মোকাবিলা করত, সমাধান খুঁজে নিত। একই পদ্ধতিতে জায়েদের পিতা তার পুত্রকে পুনরায় কিনে নিতে চাচ্ছিল । সব শুনে নবিজি (সা) বললেন: আপনারা কি এটাই চাচ্ছেন যে আমি জায়েদকে আপনাদের কাছে ফিরিয়ে দেই? জায়েদের পিতা ও চাচা: হ্যাঁ। নবিজি (সা): পুরো বিষয়টিই জায়েদের ওপর নির্ভর করবে।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তার ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। সে যদি আপনাদের সঙ্গে চলে যেতে চায়, তাহলে আমি তাঁকে মুক্তিপণ ছাড়াই ফিরিয়ে দেব। কিন্তু যদি সে আমাকে বেছে নেয়, তাহলে আমি তাঁকে জোর করে ফিরিয়ে দিতে পারব না। জায়েদের পিতা ও চাচা: হে মুহাম্মদ! আপনি যা বলছেন তা আমরা যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি। এ অবস্থায় নবিজি (সা) জায়েদকে, যিনি ততদিনে ২৫ বছরের একজন যুবক, ডেকে তাঁদের দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কি এই লোকদের চিনতে পারছ? জায়েদ: হ্যাঁ, এঁরা আমার বাবা ও চাচা ।

নবিজি (সা): তারা চাচ্ছে তুমি তাদের সঙ্গে ফিরে যাও। আমি বিষয়টি তোমার ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। তুমি চাইলে তাদের সঙ্গে যেতে পার, আর না চাইলে আমার সঙ্গে থাকতে পার। সুবহানআল্লাহ! নবিজি (সা) জায়েদকে পছন্দ করতেন। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তিনি পিতৃসুলভ ভালোবাসার কারণে তাঁকে ছেড়ে দিতে চান না। আবার নৈতিকভাবে জায়েদের বাবা-চাচাদের অবস্থানকেও (‘তাদের পুত্র দাস নয়, তাঁকে অন্যায়ভাবে দাস বানানো হয়েছে’) অস্বীকার করতে পারছেন না । জায়েদের তাৎক্ষণিক উত্তর, “আমি কখনোই আপনার ওপরে অন্য কাউকে বেছে নিতে পারি না, কারণ আপনি আমার কাছে বাবা ও চাচার মিলিত সত্তার চেয়েও বেশি।”

জায়েদের বাবা বললেন, “জায়েদ, তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? তুমি কি অচেনা বিদেশের মাটিতে একজন দাসের জীবনই বেছে নিতে চাও, যেখানে তোমার বাবার সঙ্গে নিজ গোত্রের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ আছে? দাস হিসেবে তো তোমার কোনো সম্মান কিংবা অধিকার নেই, তোমাকে রক্ষা করারও কেউ নেই ।” জবাবে জায়েদ বললেন, “আমি যা বলেছি তা জেনে-বুঝেই বলেছি। এই মানুষটির কাছ থেকে আমি যা পেয়েছি, তাতে করে আমি তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে বেছে নিতে পারি না।” জায়েদের মুখ থেকে এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে নবিজি (সা) উঠে দাঁড়িয়ে সর্বসমক্ষে ঘোষণা দিলেন, “হে মক্কাবাসী! আমি তোমাদের সবাইকে সাক্ষী রেখে ঘোষণা করতে চাই যে, আজ থেকে জায়েদ একজন স্বাধীন ব্যক্তি।

আমি তাঁকে আমার পুত্র হিসেবে গ্রহণ করলাম। সে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং আমিও তার উত্তরাধিকারী হব।” জায়েদের বাবার মনে রতি আনার জন্যই নবিজি (সা) এটি করেছিলেন; তিনি যেন এই স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে যান যে তাঁর পুত্র এখন একজন মুক্ত মানুষ । তখন থেকেই জায়েদকে ‘জায়েদ ইবনে মুহাম্মদ’ নামে ডাকা শুরু হয়। এর কয়েক দশক পরে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন, “জায়েদ ইবনে মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোনো নামে আমরা জায়েদকে জানতাম না, যতক্ষন না আল্লাহ তায়ালা সুরা আহজাবের পাঁচ নম্বর আয়াতটি নাজিল করেন।” ওই আয়াতে আল্লাহ বলেন, “(তোমাদের পালিত সন্তানদের ক্ষেত্রে) তাদের ডাকো তাদের পিতৃপরিচয়ে (প্রকৃত পিতার নামে)। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটাই ন্যায়সংগত।”

[৩৩:৫] তারপর নবিজি (সা) জায়েদের নাম পরিবর্তন করে জায়েদ ইবনে হারিসা রাখেন। এক মত অনুসারে জায়েদই ছিলেন ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি। তবে ইসলাম ধর্ম প্রথম কে গ্রহণ করেছিল তা নিয়ে মতভিন্নতা আছে। তবে সব ধরনের বর্ণনা মিলিয়ে আমরা এভাবে বলতে পারি: প্রাপ্তবয়স্ক কুরাইশ পুরুষদের মধ্যে প্রথম ছিলেন আবু বকর (রা), মহিলাদের মধ্যে প্রথম ছিলেন খাদিজা (রা), মুক্তিপ্রাপ্ত দাসদের মধ্যে প্রথম ছিলেন জায়েদ এবং আপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ছিলেন আলি (রা)। তবে একটি বিষয় মেনে নিতে হবে, জায়েদ ছিলেন প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম । জাহেলি যুগে জায়েদ উম্মে আয়মানকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি এক সময় নবিজির (সা) মা আমিনার পরিচারিকা ছিলেন।

 

জায়েদ ইবনে হারিসা | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

মা আমিনার মৃত্যুর পর উম্মে আয়মান শিশু মুহাম্মদকে স্তন্যপান না করালেও তাঁর যত্ন পরিচর্যা করতেন। তিনি সম্ভবত নবিজির (সা) চেয়ে ১০-১৫ বছরের বড়ো এবং জায়েদের চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড়ো। বিয়ের পর জায়েদ ও উম্মে আয়মানের একটি সন্তান হয়েছিল, যার নাম রাখা হয়েছিল উসামা ইবনে জায়েদ। উসামা আক্ষরিক অর্থেই নবিজির (সা) গৃহে জন্মগ্রহণ করেছিল। এই উসামাকে নবিজি (সা) অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাঁকে সবাই ‘হিববুন নবি’ (অর্থাৎ নবির ভালোবাসার পাত্র) বলে ডাকত। নবিজির (সা) কাছে সাহাবিদের কোনো অনুরোধ থাকলে তাঁরা উসামাকে গিয়ে বলতেন, ‘তুমি কি নবিজির (সা) কাছে গিয়ে আমাদের এই অনুরোধের কথা জানাবে? তিনি তোমাকে অনেক বেশি স্নেহ করেন, তাই কখনোই তোমাকে না বলবেন না।’

নবিজির (সা) কাছে শিশু উসামা ও তার পিতা জায়েদ দুজনেরই অনেক কদর ছিল, দুজনকেই তিনি অত্যধিক ভালোবাসতেন। নবিজি (সা) যখন জায়েদকে মুক্তি দিয়ে তাঁকে পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন তিনি আন্তরিকভাবে চেয়েছিলেন সে (জায়েদ) যেন অন্য কুরাইশদের সমান মর্যাদা লাভ করে। তাই তিনি নিজের ফুপাতো বোন জয়নব বিনতে জাহশকে বিয়ে করার জন্য জায়েদকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, যাতে জায়েদকে দাসত্বের কোনো কল স্পর্শ করতে না পারে। [জায়েদ জয়নবকে বিয়ে করেন এবং অনেক বছর তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টেকেনি, তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে নবিজি (সা) কোরানের মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্ত আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে জয়নবকে বিয়ে করেন।]

আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, যখনই নবিজি (সা) জায়েদকে কোথাও কোনো মিশনে পাঠাতেন, তখন তাঁকে দলপ্রধানের দায়িত্ব দিতেন। এ থেকেও প্রতীয়মান হয়, নবিজির (সা) কাছে তার কতটা মর্যাদা ছিল। জায়েদ রোমানদের বিরুদ্ধে মুতাহর যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। এই যুদ্ধের সম্ভাব্য ভয়াবহতা অনুধাবন করে নবিজি (সা) এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগেই তিনজন সেনাপতি ঠিক করে রেখেছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল: ‘প্রথমে দায়িত্বে থাকবে জায়েদ। যদি তার কিছু ঘটে, তাহলে নেতৃত্বে আসবে আমার চাচাত ভাই জাফর ইবনে আবি তালিব।

তারও যদি কিছু হয়, তাহলে নেতৃত্ব দেবে আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা।’ এই তিনজনই একের পর এক মারা গেলে শেষ পর্যন্ত খালিদ বিন ওয়ালিদ নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই খালিদ বিশিষ্ট যোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এরপরই নবিজি (সা) খালিদকে ‘আল্লাহর তরবারি’ (আরবিতে ‘সাইফুল্লাহ) উপাধিতে ভূষিত করেন । পরবর্তীকালে নবিজি (সা) তরুণ উসামাকেও যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

নবিজির (সা) মৃত্যুর পর আবু বকর (রা) ও উমরের (রা) মধ্যে একটি ছোটোখাটো সংকট সৃষ্টি হয়, যখন উমর (রা) বলেছিলেন, “উসামাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিন।” কিন্তু এতে আবু বকর (রা) সায় দেননি। তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহর রসুল (সা) যে আদেশ দিয়ে গেছেন, আমি তো তা পরিবর্তন করতে পারি না।”]  জায়েদই একমাত্র সাহাবি যার নাম পবিত্র কোরানে উল্লেখের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাঁকে মহিমান্বিত করেছেন। [৩৩:৩৭]।

এমনকি আবু বকরও (রা) এমন সৌভাগ্যের অধিকারী ছিলেন না। অনেক বছর পরে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) একবার তাঁর বাবা তৎকালীন বালিকা উমর ইবনুল খাত্তাবের (রা) কাছে অভিযোগ করেছিলেন, “আপনি কীভাবে আমার চেয়ে উলামা ইবনে জায়েদের বেতন বেশি দিচ্ছেন?” উমর (রা) তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিয়েছিলেন, “কেননা তিনি ছিলেন আল্লাহর রসুলের (সা) কাছে তোমার চেয়ে অধিকতর প্রিয়; এবং তার পিতাও ছিলেন রসুলের (সা) কাছে তোমার পিতার চেয়ে অধিকতর প্রিয়।” জায়েদ ইবনে হারিসার ঘটনাই নবুয়তের আগের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ওই সময়ের মধ্যে নবুয়তের জন্য ক্ষেত্র অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল; নবিজি (সা) উন্নত চরিত্রের ব্যক্তি হিসেবে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। কেউ একজন যে নবি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন, এমন লক্ষণও ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment