নাজাশির নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা | আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় অভিবাসন (হিজরত) | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নাজাশির নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা | আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় অভিবাসন (হিজরত), নাজাশি জাফরের সঙ্গে কথা বলার সময়ই ছড়িয়ে পড়েছিল, “নাজাশি ধর্মদ্রোহী হয়ে গেছে, এবং তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম ত্যাগ করেছেন।” সুতরাং একদল লোক তাঁর নামে দুর্নাম ছড়াতে লাগল। এমনকি তাঁকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার সম্ভাবনা দেখা দিল।

 

নাজাশির নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা | আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় অভিবাসন (হিজরত) | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

নাজাশির নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা | আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় অভিবাসন (হিজরত) | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নাজাশি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। তিনি একটি চামড়ার কাগজের ওপর লিখলেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে ঈশ্বর একজনই, যিশু ঈশ্বরের দাস এবং একজন নবি।” তিনি কাগজটি তাঁর বুকের কাছে পোশাকের মধ্যে রেখে দিলেন। তারপর তিনি উস্কানিদাতাদের নিজের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন:

নাজাশি: তোমাদের সমস্যাটা কী? আমি কি তোমাদের জন্য একজন ভালো শাসক নই?

উত্তর: হ্যাঁ।

নাজাশি: আমি কি তোমাদের জন্য একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক নই?

উত্তর: হ্যাঁ।

নাজাশি: আমি কি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি করিনি?

উত্তর: করেছেন।

নাজাশি: তাহলে আমাকে নিয়ে তোমাদের সমস্যাটা কী? উত্তর দাও । উত্তর: আপনি আমাদের ধর্ম ত্যাগ করেছেন। নাজাশি: তোমরা কী বিশ্বাস কর?

উত্তর:, আমরা বিশ্বাস করি, যিশুখ্রিষ্ট ঈশ্বরের পুত্র, আমাদের প্রভু, আমাদের ত্রাণকর্তা এবং ট্রিনিটির একজন ।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

নাজাশি: আল্লাহর কসম, আমার বিশ্বাস ঠিক এটাই (নাজাশি তাঁর বুকের দিকে, যেখানে পোশাকের নিচে চামড়ার কাগজটা ছিল, আঙুল দিয়ে ইশারায় দেখালেন)। এটা একটা দ্বৈত অর্থবোধক উত্তর। লোকেরা ভাবল, তারা যা বিশ্বাস করে নাজাশিও তাই-ই বিশ্বাস করেন। কিন্তু নাজাশি আসলে তাঁর চামড়ার কাগজে লেখাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন।

 

নাজাশির নিজস্ব রাজনৈতিক সমস্যা | আবিসিনিয়ায় দ্বিতীয় অভিবাসন (হিজরত) | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

বর্ণনা আছে, নাজাশি উস্কানিদাতাদের সঙ্গে এই বৈঠকের আগে মুসলিমদের কাছে একটি গোপন বার্তা পাঠান: “আমার কিছু সমস্যা হচ্ছে। আমাকে খুব শীঘ্রই মেরে ফেলা হতে পারে। আমি তোমাদের জন্য একটি জাহাজ প্রস্তুত করে রেখেছি। যদি আমি মারা যাই তবে জাহাজের কাপ্তানসহ জাহাজটি তোমাদের জন্য রইল ।” নাজাশি শেষ পর্যন্ত তাঁর রাষ্ট্রে বিদ্রোহজনিত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলেন। তাই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আর প্রয়োজন হয়নি।

আরো পড়ূনঃ

Leave a Comment