মসজিদুল কেবলাতাইন (দুই কেবলার-মসজিদ) | কেবলা পরিবর্তন ও কোরানের আয়াত রহিতকরণ, একটি বহুল প্রচলিত জনশ্রুতি আছে। নবি করিম (সা) একদিন মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন, জিব্রাইল (আ) সেখানে আসেন, এবং পুরো মসজিদটি তাঁর সঙ্গে দিক পরিবর্তন করে।
মসজিদুল কেবলাতাইন (দুই কেবলার মসজিদ) | কেবলা পরিবর্তন ও কোরানের-আয়াত রহিতকরণ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন
এই কাহিনি সত্য নয়। সত্য ঘটনাটি হলো:
একদিন সকালের দিকে (ফজরের নামাজের পর) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবিজির (সা) কাছে কেবলা পরিবর্তনের নির্দেশনাটি আসে। তিনি মসজিদুন নববিতে ঘোষণা দেন যে এখন থেকে জেরুসালেমের বদলে মক্কার দিকে ফিরে নামাজ পড়তে হবে। অতঃপর তিনি মক্কার দিকে ফিরে জোহরের নামাজ আদায় করেন। সুতরাং মসজিদের সামনের অংশ পেছনের অংশে পরিণত হয়, আর পেছনের অংশ সামনে চলে আসে। যাঁরা নবিজির (সা) মসজিদে জোহরের নামাজ পড়েছিলেন, তাঁরা এক সময় ঘরে ফিরে যান।

সাহাবিদের মধ্যে একজন আসরের নামাজ পড়ার জন্য অন্য একটি মসজিদে যান। তিনি যতক্ষণে সেখানে পৌঁছেন (সম্ভবত তিনি পথিমধ্যে অন্য কোনো কাজ করতে গিয়ে কিছুটা দেরি করে ফেলেছিলেন), ততক্ষণে সেখানকার মুসল্লিরা আসরের নামাজ শুরু করে দিয়েছেন। তখন তিনি মসজিদের পেছন থেকে চিৎকার করে বলে উঠলেন, “হে মুসুল্লিরা। আমি নবিজির (সা) মসজিদ থেকে তাঁর সঙ্গে জোহরের নামাজ আদায় করে এসেছি; তিনি মক্কার দিকে ফিরে নামাজ পড়েছেন। কেবলা পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ এসেছে।”
সাহাবিটির কথা শুনে মসজিদের পুরো জামাত ঘুরে দাঁড়ায় এবং ইমাম মুসল্লিদের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়ে পরিবর্তিত কেবলার দিকের সামনে দাঁড়ান। একই ওয়াক্তের নামাজ দুই কেবলায় পাড়ার কারণে এই মসজিদটি মসজিদুল-কেবলাতাইন (অর্থাৎ দুই কেবলার-মসজিদ) নামে পরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুনঃ