সূরা ত্বোয়া-হা পার্ট-১ [মাক্কী সুরা ] সূরা ২০। কুরআন । সূরা ত্বোয়া-হা , (আরবি: سورة طه, (ত্বোয়া-হা) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের বিংশ সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি।
সূরা ত্বোয়া-হা পার্ট-১
সূরা ত্বোয়া-হা
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০২)
আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি।
We have not sent down the Qur’ân unto you (O Muhammad SAW) to cause you distress,
مَا أَنزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَى
Ma anzalna AAalayka alqur-ana litashqa
YUSUFALI: We have not sent down the Qur’an to thee to be (an occasion) for thy distress,
PICKTHAL: We have not revealed unto thee (Muhammad) this Qur’an that thou shouldst be distressed,
SHAKIR: We have not revealed the Quran to you that you may be unsuccessful.
KHALIFA: We did not reveal the Quran to you, to cause you any hardship.
০২। তুমি ক্লেশ পাবে এ কারণে আমি তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করি নাই ; ২৫৩৫
০৩। বরং যারা [ আল্লাহ্কে ] ভয় করে কেবল তাদের উপদেশের জন্য [ করেছি ]।
২৫৩৫। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ দুভাবে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। ১) মানুষের স্বার্থপরতা সর্বগ্রাসী। আল্লাহ্র নির্দ্দেশনা এই স্বার্থপরতাকে ও সংঙ্কীর্ণতাকে বাধা দান করে। ২) এই প্রত্যাদেশ পাপীদের বিরক্তি উৎপাদন করে যার ফলে তারা ব্যঙ্গ বিদ্রূপের আশ্রয় গ্রহণ করে এবং অত্যাচার করে। এগুলি ঘটে কারণ মানুষের দূরদৃষ্টির অভাব।
আল্লাহ্ কোরাণ অবতীর্ণ করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য , ক্লেশ দেওয়ার জন্য নয়। আয়াতটিতে রসুলুল্লাহকে (সা ) সান্তনা দেয়া হয়েছে , কারণ কাফেররা কোরাণকে অস্বীকার করলে তিনি খুবই কষ্ট পেতেন। উপদেশ প্রদান তাঁর কর্তব্য, তা গ্রহণ করার জন্য তিনি দায়ী নন। এই আয়াতের বক্তব্য সর্ব যুগের ও সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৩)
কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে।
But only as a Reminder to those who fear (Allâh).
إِلَّا تَذْكِرَةً لِّمَن يَخْشَى
Illa tathkiratan liman yakhsha
YUSUFALI: But only as an admonition to those who fear (Allah),-
PICKTHAL: But as a reminder unto him who feareth,
SHAKIR: Nay, it is a reminder to him who fears:
KHALIFA: Only to remind the reverent.
০২। তুমি ক্লেশ পাবে এ কারণে আমি তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করি নাই ; ২৫৩৫
০৩। বরং যারা [ আল্লাহ্কে ] ভয় করে কেবল তাদের উপদেশের জন্য [ করেছি ]।
২৫৩৫। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ দুভাবে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। ১) মানুষের স্বার্থপরতা সর্বগ্রাসী। আল্লাহ্র নির্দ্দেশনা এই স্বার্থপরতাকে ও সংঙ্কীর্ণতাকে বাধা দান করে। ২) এই প্রত্যাদেশ পাপীদের বিরক্তি উৎপাদন করে যার ফলে তারা ব্যঙ্গ বিদ্রূপের আশ্রয় গ্রহণ করে এবং
অত্যাচার করে। এগুলি ঘটে কারণ মানুষের দূরদৃষ্টির অভাব। আল্লাহ্ কোরাণ অবতীর্ণ করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য , ক্লেশ দেওয়ার জন্য নয়। আয়াতটিতে রসুলুল্লাহকে (সা ) সান্তনা দেয়া হয়েছে , কারণ কাফেররা কোরাণকে অস্বীকার করলে তিনি খুবই কষ্ট পেতেন। উপদেশ প্রদান তাঁর কর্তব্য, তা গ্রহণ করার জন্য তিনি দায়ী নন। এই আয়াতের বক্তব্য সর্ব যুগের ও সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৪)
এটা তাঁর কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল ও সমুচ্চ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।
A revelation from Him (Allâh) Who has created the earth and high heavens.
تَنزِيلًا مِّمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلَى
Tanzeelan mimman khalaqa al-arda waalssamawati alAAula
YUSUFALI: A revelation from Him Who created the earth and the heavens on high.
PICKTHAL: A revelation from Him Who created the earth and the high heavens,
SHAKIR: A revelation from Him Who created the earth and the high heavens.
KHALIFA: A revelation from the Creator of the earth and the high heavens.
০৪। এটা একটি প্রত্যাদেশ তাঁর নিকট থেকে, যিনি পৃথিবী ও সুউচ্চ আকাশ মন্ডলী সৃষ্টি করেছেন।
০৫। পরম করুণাময় [আল্লাহ্ কর্তৃত্বের ] আসনে দৃঢ়ভাবে সমাসীন ২৫৩৬।
২৫৩৬। অনুরূপ আয়াত [ ১০:৩] এবং ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ১৩৮৬। যেখানে , সিংহাসনে কথাটির ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের সীমিত বিচার বুদ্ধিতে যদি কোনও কিছুকে অন্যায় অবিচার মনে হয় , তবে আল্লাহ্কে স্মরণ করতে হবে।
আল্লাহ্ তাঁর সমস্ত সৃষ্টিকে পরিব্যপ্ত করে দয়া ও করুণার সিংহাসনে সমাসীন আছেন। তিনিই সব কিছুর নির্দ্দেশ দান করেন এবং আমাদের এই বিশ্বাস মনে রাখতে হবে যে আমাদের সকল বিপদ আপদ বাঁধা তাঁর করুণায় কল্যাণে রূপান্তরিত হবে।
আল্লাহ্র কর্তৃত্ব পৃথিবীর কর্তৃত্বের মত নয়। পৃথিবীর কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করা যায়, অস্বীকার করা চলে , প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আহ্বান করা যায় বা তা চিরজীবন স্থায়ী হবে না। কিন্তু আল্লাহ্র কর্তৃত্ব চিরস্থায়ী , অবিনশ্বর, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্ব-ভূবনে ,দ্যুলোকে-ভূলোকে প্রকৃতির যে, আইন তা আল্লাহ্র কর্তৃত্বের প্রকাশ মাত্র। এই আইন অমোঘ, অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী ।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৫)
তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন।
The Most Beneficent (Allâh) Istawâ (rose over) the (Mighty) Throne (in a manner that suits His Majesty).
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى
Alrrahmanu AAala alAAarshi istawa
YUSUFALI: (Allah) Most Gracious is firmly established on the throne (of authority).
PICKTHAL: The Beneficent One, Who is established on the Throne.
SHAKIR: The Beneficent Allah is firm in power.
KHALIFA: The Most Gracious; He has assumed all authority.
০৪। এটা একটি প্রত্যাদেশ তাঁর নিকট থেকে, যিনি পৃথিবী ও সুউচ্চ আকাশ মন্ডলী সৃষ্টি করেছেন।
০৫। পরম করুণাময় [আল্লাহ্ কর্তৃত্বের ] আসনে দৃঢ়ভাবে সমাসীন ২৫৩৬।
২৫৩৬। অনুরূপ আয়াত [ ১০:৩] এবং ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ১৩৮৬। যেখানে , সিংহাসনে কথাটির ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের সীমিত বিচার বুদ্ধিতে যদি কোনও কিছুকে অন্যায় অবিচার মনে হয় , তবে আল্লাহ্কে স্মরণ করতে হবে।
আল্লাহ্ তাঁর সমস্ত সৃষ্টিকে পরিব্যপ্ত করে দয়া ও করুণার সিংহাসনে সমাসীন আছেন। তিনিই সব কিছুর নির্দ্দেশ দান করেন এবং আমাদের এই বিশ্বাস মনে রাখতে হবে যে আমাদের সকল বিপদ আপদ বাঁধা তাঁর করুণায় কল্যাণে রূপান্তরিত হবে।
আল্লাহ্র কর্তৃত্ব পৃথিবীর কর্তৃত্বের মত নয়। পৃথিবীর কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করা যায়, অস্বীকার করা চলে , প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আহ্বান করা যায় বা তা চিরজীবন স্থায়ী হবে না। কিন্তু আল্লাহ্র কর্তৃত্ব চিরস্থায়ী , অবিনশ্বর, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্ব-ভূবনে ,দ্যুলোকে-ভূলোকে প্রকৃতির যে, আইন তা আল্লাহ্র কর্তৃত্বের প্রকাশ মাত্র। এই আইন অমোঘ, অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী ।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৬)
নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই।
To Him belongs all that is in the heavens and all that is on the earth, and all that is between them, and all that is under the soil.
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرَى
Lahu ma fee alssamawati wama fee al-ardi wama baynahuma wama tahta alththara
YUSUFALI: To Him belongs what is in the heavens and on earth, and all between them, and all beneath the soil.
PICKTHAL: Unto Him belongeth whatsoever is in the heavens and whatsoever is in the earth, and whatsoever is between them, and whatsoever is beneath the sod.
SHAKIR: His is what is in the heavens and what is in the earth and what is between them two and what is beneath the ground.
KHALIFA: To Him belongs everything in the heavens, and the earth, and everything between them, and everything beneath the ground.
০৬। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে এবং এই দুই এর মধ্যে যা আছে এবং মাটির অভ্যন্তরে যা থাকে সব তাঁর অধিকারে ২৫৩৭।
২৫৩৭। আল্লাহ্র কর্তৃত্বের ধারণাকে স্বচ্ছ করার জন্য এই আয়াতটির বিবরণ অত্যন্ত স্পষ্ট ও গভীরতা পূর্ণ। আকাশমন্ডলী অর্থাৎ নভোঃমন্ডল যা গ্রহ নক্ষত্র ও গ্যালাক্সী ধারণ করে, পৃথিবী এবং নভোঃমন্ডলের মধ্যবর্তী স্থান, পৃথিবীতে এবং ভূগর্ভে সর্বত্র আল্লাহ্র কর্তৃত্ব বর্তমান।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৭)
যদি তুমি উচ্চকন্ঠেও কথা বল, তিনি তো গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তু জানেন।
And if you (O Muhammad SAW) speak (the invocation) aloud, then verily, He knows the secret and that which is yet more hidden.
وَإِن تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَإِنَّهُ يَعْلَمُ السِّرَّ وَأَخْفَى
Wa-in tajhar bialqawli fa-innahu yaAAlamu alssirra waakhfa
YUSUFALI: If thou pronounce the word aloud, (it is no matter): for verily He knoweth what is secret and what is yet more hidden.
PICKTHAL: And if thou speakest aloud, then lo! He knoweth the secret (thought) and (that which is yet) more hidden.
SHAKIR: And if you utter the saying aloud, then surely He knows the secret, and what is yet more hidden.
KHALIFA: Whether you declare your convictions (or not) He knows the secret, and what is even more hidden.
০৭। তুমি যদি উচ্চস্বরে শব্দ উচ্চারণ কর [ তাতে কিছু যায় আসে না ]। কারণ তিনি তো গুপ্ত ও অব্যক্ত সকলই জানেন ২৫৩৮।
২৫৩৮। এই আয়াতটির তিন রকম ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। ১) প্রকাশ্যে দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা বা সশব্দে , সজোরে বলার মাধ্যমে কোনও তথ্য বা সংবাদ আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায় না। কারণ তিনি মনের গুপ্ত, ব্যক্ত ও অব্যক্ত সকল চিন্তা ভাবনার খবর রাখেন।
বাইরে সজোরে যাই প্রকাশ করা হোক না কেন অন্তরের গোপন ইচ্ছা, ভাবনা-চিন্তা সবই সেই সর্বশক্তিমানের নিকট দিবালোকের ন্যায় স্বচ্ছ। সুতারাং আল্লাহ্কে কিছু জানানোর জন্য সশব্দ হওয়ার প্রয়োজন নাই। ২) মনে এক ও মুখে অন্য কথা এরূপ মিথ্যা ভান ও অবিশ্বস্ততা কোনও মঙ্গল বয়ে আনবে না। কারণ আল্লাহ্ এসব বাহ্যিক কথাবার্তার প্রকৃত উদ্দেশ্য অবগত আছেন।
আল্লাহ্র কাছে যা মূল্যবান তা হচ্ছে আত্মার স্বচ্ছতা, পবিত্রতা ও বিশ্বস্ততা। সুতারাং অবিশ্বস্ত কথা , প্রতিজ্ঞা , প্রার্থনা কোনও কিছুই আল্লাহ্র কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ৩) সজোরে কোরাণ আবৃত্তি করা বা উচ্চস্বরে প্রার্থনা করা আল্লাহ্র কাছে খুর জরুরী নয়। কারণ এবাদতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহ্ বাইরের শব্দচয়ন বা উচ্চস্বরের দ্বারা বিচার করবেন না।
তাঁর বিচারের মানদণ্ড হবে পাঠকের বা প্রার্থনায় নিবেদিতের আত্মিক অবস্থা। অন্তরের একাগ্রতা, ও স্রষ্টার কাছে বিনয়ে একান্ত নিবেদনই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা। কে আকুলভাবে স্রষ্টার সান্নিধ্য কামনা করে , আর কে করে না তা আল্লাহ্ খোলা বই এর মত, প্রখর দিবালোকের মত পাঠ করতে পারেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৮)
আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই।
Allâh! Lâ ilâhla illa Huwa (none has the right to be worshipped but He)! To Him belong the Best Names.
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى
Allahu la ilaha illa huwa lahu al-asmao alhusna
YUSUFALI: Allah! there is no god but He! To Him belong the most Beautiful Names.
PICKTHAL: Allah! There is no Allah save Him. His are the most beautiful names.
SHAKIR: Allah– there is no god but He; His are the very best names.
KHALIFA: GOD: there is no other god besides Him. To Him belong the most beautiful names.
০৮। আল্লাহ্ ! তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই ! সুন্দর নাম সকল তারই জন্য নিবেদিত ২৫৩৯।
২৫৩৯। দেখুন আয়াত [ ১৭ : ১১০ ] ও টিকা ২৩২২। জীবনের সকল সৌর্ন্দয্য , পৃথিবীর সকল সুন্দর জিনিষ আল্লাহ্র শিল্পী সত্ত্বার প্রকাশ মাত্র। মানুষের সৃষ্ট শিল্প, সঙ্গীত, ভাষা, সাহিত্য সবই মানুষের দ্বারা আল্লাহ্ সৃষ্টি করান। আবার বিশ্ব প্রকৃতিতে অহরহ যে সৌন্দর্যের লীলাখেলা চলে, বিশ্ব-ভূমন্ডল যে সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি, তা আল্লাহ্রই শিল্পী সত্ত্বার প্রকাশ মাত্র।
এই প্রকাশের বিভিন্নতাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য তারই অবদান। তাঁর এই গুণাবলীই তাঁর বিভিন্ন নামের প্রতি আরোপ করা হয়। এই আরোপিত নাম তাঁরই মাহাত্ম্য ও সম্মানকে ঘোষণা করে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ০৯)
আপনার কাছে মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি।
And has there come to you the story of Mûsa (Moses)?
وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
Wahal ataka hadeethu moosa
YUSUFALI: Has the story of Moses reached thee?
PICKTHAL: Hath there come unto thee the story of Moses?
SHAKIR: And has the story of Musa come to you?
KHALIFA: Have you noted the history of Moses?
০৯। মুসার কাহিনী কি তোমার নিকট পৌঁছেছে ? ২৫৪০।
২৫৪০। হযরত মুসার কাহিনী কোরাণে বিভিন্ন সূরাতে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্ণনায় সময়ে বিভিন্ন ঘটনার উপরে আলোকপাত করা হয় যা কোরাণের বক্তব্যের নির্দ্দিষ্ট উপদেশের বর্ণনার উপরে গুরুত্ব আরোপ করে। বক্তব্যকে প্রাঞ্জল করে অনুধাবনের স্বচ্ছতা বাড়ায়।
যেমন : আয়াত [ ২: ৪৯ – ৬১] তে মানুষের ধর্মীয় ইতিহাসের আলোচনার প্রেক্ষিতে মুসার কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছে। আয়াত [ ৭ : ১০৩ – ১৬২ ] তে ইসরাঈলী উম্মতের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে মুসার কাহিনীর মাধ্যমে। মুসার পরেও সে বর্ণনা অব্যাহত আছে। আয়াত [ ১৭ : ১০১ – ১০৩ ] তে ফেরাউনের কাহিনীর মাধ্যমে বলা হয়েছে কি ভাবে উদ্ধত অহংকারে আত্মার অধঃপতন ঘটে।
এই সূরাতে আয়াত [ ২০ : ৯ – ২৪ ] তে আল্লাহ্ কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্তির পথে হযরত মুসার আত্মিক উন্নতির ধাপকে চিত্রিত করা হয়েছে। আয়াত [ ২০ : ২৫ – ৩৬ ] তে মুসার সাথে তাঁর ভাই হারুনের আধ্যাত্মিক সম্বন্ধের সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। আয়াত [ ২০ : ৩৭ – ৪০ ] তে মুসার সাথে তাঁর মা ও বোনের আধ্যাত্মিক সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে।
তাঁর প্রতি প্রতিপালকের স্বর্গীয় ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করা হয়েছে। আয়াত [ ২০ : ৪১ – ৭৬ ] তে ফেরাউনের সাথে মুসার আধ্যাত্মিক সংগ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে। এবং [ ২০ : ৭৭ – ৯৮ ] তে ইসরাঈলীদের সাথে মুসার আধ্যাত্মিক সংগ্রামকে বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১০)
তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব।
When he saw a fire, he said to his family: ”Wait! Verily, I have seen a fire, perhaps I can bring you some burning brand therefrom, or find some guidance at the fire.”
إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّي آتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى
Ith raa naran faqala li-ahlihi omkuthoo innee anastu naran laAAallee ateekum minha biqabasin aw ajidu AAala alnnari hudan
YUSUFALI: Behold, he saw a fire: So he said to his family, “Tarry ye; I perceive a fire; perhaps I can bring you some burning brand therefrom, or find some guidance at the fire.”
PICKTHAL: When he saw a fire and said unto his folk: Lo! Wait! I see a fire afar off. Peradventure I may bring you a brand therefrom or may find guidance at the fire.
SHAKIR: When he saw fire, he said to his family: Stop, for surely I see a fire, haply I may bring to you therefrom a live coal or find a guidance at the fire.
KHALIFA: When he saw a fire, he said to his family, “Stay here. I have seen a fire. Maybe I can bring you some of it, or find some guidance at the fire.”
১০। স্মরণ কর! সে একটি আগুন দেখেছিলো ২৫৪১। সুতারাং সে তাঁর পরিবারকে বলেছিলো, ” তোমরা অপেক্ষা কর; আমি আগুন দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবতঃ আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য জলন্ত কাষ্ঠ খন্ড আনতে পারবো, অথবা আগুনের নিকটে কোন পথ নির্দ্দেশ পাব ২৫৪২।
২৫৪১। হযরত মুসা স্ত্রীসহ মাদয়ান হতে মিশর যাচ্ছিলেন। পথে রাত্রি হয়, শীতে তাদের কষ্ট হচ্ছিল। তখন তিনি আগুন দেখলেন। মরুভূমির মাঝে, নির্জন স্থানে আগুনের উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে মানুষের উপস্থিতি।
সুতারাং মুসা স্ত্রী পরিজন সে স্থানে রেখে আগুনের সন্ধানে একা যাত্রা করেন, যেনো পরিবারের জন্য আগুনের বন্দোবস্ত করতে পারেন, এবং মিশর যাওয়ার সঠিক পথের সন্ধান পেতে পারেন। কিন্তু সে আলোর দ্যুতি সাধারণ আগুনের আলোর ন্যায় ছিলো না। তা ছিলো এক জ্বলন্ত সতেজ সবুজ বৃক্ষ।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই আগুনের কারণে বৃক্ষের কোন ডাল অথবা পাতা পুড়ছে না ; বরং আগুনের কারণে বৃক্ষের সৌন্দর্য , সজীবতা ও উজ্জ্বল্য আরও বেড়ে গেছে। কারণ তা ছিলো আল্লাহ্র মহিমার নিদর্শন।
২৫৪২। এখান থেকে হযরত মুসার আধ্যাত্মিক জীবনের ইতিহাস শুরু হয়। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত কর্তব্য কর্ম। হযরত মুসার জীবনী কোরাণের বিভিন্ন সূরাতে বর্ণনা করা হয়েছে, বিভিন্ন আধ্যাত্মিক পাঠ শিক্ষাদানের জন্য। তাঁর শৈশব, লালন-পালন, পার্থিব জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে অন্যান্য সূরাতে আলোচ্য বিষয়কে স্পষ্টভাবে অনুধাবন করানোর উদ্দেশ্য।
হযরত মুসা যখন যৌবন প্রাপ্ত হলেন, তিনি ফেরাউনের রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে, সিনাই উপত্যকার মাদয়ানবাসীদের নিকট গমন করেন। তিনি সেখানে বিয়ে করেন এবং এক দিন তাঁর পরিবারবর্গসহ স্থানান্তরে যাচ্ছিলেন।
এ সময়েই আল্লাহ তাঁকে দায়িত্ব দেবার জন্য ডাক দেন। তিনি আগুনের উষ্ণতার আরাম ও পথের নির্দ্দেশের জন্য আগুনের সন্ধানে গিয়েছিলেন যা তাঁর ধ্যান ধারণায় ছিলো সম্পূর্ণ জাগতিক। কিন্তু সেখানে তিনি আরও উচ্চতর ও পবিত্রতম আরাম ও পথের নির্দ্দেশ পান।
সম্পূর্ণ আয়াতটিতে এক বিস্ময়কর, আত্যাশ্চার্য ঘটনার বিবরণ আছে যার অর্থ অত্যন্ত গভীর। স্বল্প কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে এই গূঢ় তত্বপূর্ণ ঘটনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১১)
অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা,
And when he came to it (the fire), he was called by name: ”O Mûsa (Moses)!
فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِي يَا مُوسَى
Falamma ataha noodiya ya moosa
YUSUFALI: But when he came to the fire, a voice was heard: “O Moses!
PICKTHAL: And when he reached it, he was called by name: O Moses!
SHAKIR: So when he came to it, a voice was uttered: O Musa:
KHALIFA: When he came to it, he was called, “O, Moses.
১১। কিন্তু সে যখন আগুনের নিকটবর্তী হলো, একটি স্বর শোনা গেলো ” হে মুসা ” !
১২। ” আমিই তোমার প্রভু! সুতারাং [ আমার উপস্থিতিতে ] তোমার যুতা খুলে ফেল ২৫৪৩। তুমি [ এখন ] পবিত্র ‘তুওয়া ‘ উপত্যকায় রয়েছ। ২৫৪৪
২৫৪৩। ” যুতা খুলে ফেল ” জুতা খুলে ফেলা হচ্ছে সম্মান প্রদর্শনের এক পন্থা। আমরা সম্পূর্ণ বিষয়টিকে এভাবে বিচার করতে পারি। এখন মুসা আল্লাহর কর্তৃক দায়িত্ব পাওয়ার উপযুক্ত, সুতারাং জাগতিক সকল বিষয় থেকে তিনি হবেন মুক্ত। এখানে পাদুকা জাগতিক বিষয়বস্তুর প্রতীক স্বরূপ।
২৫৪৪। ” তুওয়া ” উপত্যকার অবস্থান সিনাই পর্বতের পাদদেশে। এখানেই তিনি পরবর্তীতে তাওরাত গ্রন্থ লাভ করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১২)
আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।
”Verily! I am your Lord! So take off your shoes, you are in the sacred valley, Tuwa.
إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
Innee ana rabbuka faikhlaAA naAAlayka innaka bialwadi almuqaddasi tuwan
YUSUFALI: “Verily I am thy Lord! therefore (in My presence) put off thy shoes: thou art in the sacred valley Tuwa.
PICKTHAL: Lo! I, even I, am thy Lord, So take off thy shoes, for lo! thou art in the holy valley of Tuwa.
SHAKIR: Surely I am your Lord, therefore put off your shoes; surely you are in the sacred valley, Tuwa,
KHALIFA: “I am your Lord; remove your sandals. You are in the sacred valley, Tuwaa.
১১। কিন্তু সে যখন আগুনের নিকটবর্তী হলো, একটি স্বর শোনা গেলো ” হে মুসা ” !
১২। ” আমিই তোমার প্রভু! সুতারাং [ আমার উপস্থিতিতে ] তোমার যুতা খুলে ফেল ২৫৪৩। তুমি [ এখন ] পবিত্র ‘তুওয়া ‘ উপত্যকায় রয়েছ। ২৫৪৪
২৫৪৩। ” যুতা খুলে ফেল ” জুতা খুলে ফেলা হচ্ছে সম্মান প্রদর্শনের এক পন্থা। আমরা সম্পূর্ণ বিষয়টিকে এভাবে বিচার করতে পারি। এখন মুসা আল্লাহর কর্তৃক দায়িত্ব পাওয়ার উপযুক্ত, সুতারাং জাগতিক সকল বিষয় থেকে তিনি হবেন মুক্ত। এখানে পাদুকা জাগতিক বিষয়বস্তুর প্রতীক স্বরূপ।
২৫৪৪। ” তুওয়া ” উপত্যকার অবস্থান সিনাই পর্বতের পাদদেশে। এখানেই তিনি পরবর্তীতে তাওরাত গ্রন্থ লাভ করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৩)
এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক।
”And I have chosen you. So listen to that which is inspired to you.
وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى
Waana ikhtartuka faistamiAA lima yooha
YUSUFALI: “I have chosen thee: listen, then, to the inspiration (sent to thee).
PICKTHAL: And I have chosen thee, so hearken unto that which is inspired.
SHAKIR: And I have chosen you, so listen to what is revealed:
KHALIFA: “I have chosen you, so listen to what is being revealed.
১৩। ” আমি তোমাকে মনোনীত করেছি; সুতারাং যে ওহী তোমাকে প্রেরণ করা হয় তা শোন।
১৪। “আমিই আল্লাহ্ ; আমা ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং তুমি [ শুধুমাত্র ] আমারই এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নিয়মিত সালাত কায়েম কর।
১৫। “অবশ্যই কিয়ামত সমাগত ২৫৪৫ – আমার পরিকল্পনা হচ্ছে তা গোপন রাখা ২৫৪৬ ; যেনো প্রতিটি আত্মা তার চেষ্টা অনুযায়ী পুরষ্কার লাভ করতে পারে।”
২৫৪৫। আমাদের কর্তব্য কর্ম সম্বন্ধে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য এক আল্লাহর এবাদত করা, এবাদত অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা এবং সালাত কায়েম করা অর্থাৎ নামাজ বা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করা যা পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে বলা হয়েছে কেয়ামত বা পরকালে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য। কেয়ামত হলো সেদিন , যেদিন ইহকালের সকল কর্মের হিসাব নিকাশ হবে এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পরিতোষিক প্রদান করা হবে।
২৫৪৬। “Ukfi” এই শব্দটির অর্থ ” গোপন রাখা ” অথবা “স্পষ্ট প্রতীয়মান ” হওয়া। কোন কোন তফসীরকার প্রথমটি,কোন কোন তফসীরকার দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করেছেন। যদি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করা হয় তবে বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ গোপন রাখা মানুষের কাছ থেকে।
যদি দ্বিতীয়টির অর্থ গ্রহণ করা হয় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা মানুষের কাছে যেনো তারা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে দুটি অর্থই প্রযোজ্য হতে পারে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৪)
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।
”Verily! I am Allâh! Lâ ilâha illa Ana (none has the right to be worshipped but I), so worship Me, and perform AsSalât (Iqâmat-as-Salât) for My Remembrance.
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
Innanee ana Allahu la ilaha illa ana faoAAbudnee waaqimi alssalata lithikree
YUSUFALI: “Verily, I am Allah: There is no god but I: So serve thou Me (only), and establish regular prayer for celebrating My praise.
PICKTHAL: Lo! I, even I, am Allah, There is no Allah save Me. So serve Me and establish worship for My remembrance.
SHAKIR: Surely I am Allah, there is no god but I, therefore serve Me and keep up prayer for My remembrance:
KHALIFA: “I am GOD; there is no other god beside Me. You shall worship Me alone, and observe the Contact Prayers (Salat) to remember Me.
১৩। ” আমি তোমাকে মনোনীত করেছি; সুতারাং যে ওহী তোমাকে প্রেরণ করা হয় তা শোন।
১৪। “আমিই আল্লাহ্ ; আমা ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং তুমি [ শুধুমাত্র ] আমারই এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নিয়মিত সালাত কায়েম কর।
১৫। “অবশ্যই কিয়ামত সমাগত ২৫৪৫ – আমার পরিকল্পনা হচ্ছে তা গোপন রাখা ২৫৪৬ ; যেনো প্রতিটি আত্মা তার চেষ্টা অনুযায়ী পুরষ্কার লাভ করতে পারে।”
২৫৪৫। আমাদের কর্তব্য কর্ম সম্বন্ধে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য এক আল্লাহর এবাদত করা, এবাদত অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা এবং সালাত কায়েম করা অর্থাৎ নামাজ বা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করা যা পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে বলা হয়েছে কেয়ামত বা পরকালে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য। কেয়ামত হলো সেদিন , যেদিন ইহকালের সকল কর্মের হিসাব নিকাশ হবে এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পরিতোষিক প্রদান করা হবে।
২৫৪৬। “Ukfi” এই শব্দটির অর্থ ” গোপন রাখা ” অথবা “স্পষ্ট প্রতীয়মান ” হওয়া। কোন কোন তফসীরকার প্রথমটি,কোন কোন তফসীরকার দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করেছেন। যদি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করা হয় তবে বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ গোপন রাখা মানুষের কাছ থেকে।
যদি দ্বিতীয়টির অর্থ গ্রহণ করা হয় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা মানুষের কাছে যেনো তারা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে দুটি অর্থই প্রযোজ্য হতে পারে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৫)
কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।
”Verily, the Hour is coming and My Will is to keep it hidden that every person may be rewarded for that which he strives.
إِنَّ السَّاعَةَ ءاَتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى
Inna alssaAAata atiyatun akadu okhfeeha litujza kullu nafsin bima tasAAa
YUSUFALI: “Verily the Hour is coming – My design is to keep it hidden – for every soul to receive its reward by the measure of its Endeavour.
PICKTHAL: Lo! the Hour is surely coming. But I will to keep it hidden, that every soul may be rewarded for that which it striveth (to achieve).
SHAKIR: Surely the hour is coming– I am about to make it manifest– so that every soul may be rewarded as it strives:
KHALIFA: “The Hour (end of the world) is surely coming; I will keep it almost hidden, for each soul must be paid for its works.
১৩। ” আমি তোমাকে মনোনীত করেছি; সুতারাং যে ওহী তোমাকে প্রেরণ করা হয় তা শোন।
১৪। “আমিই আল্লাহ্ ; আমা ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং তুমি [ শুধুমাত্র ] আমারই এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নিয়মিত সালাত কায়েম কর।
১৫। “অবশ্যই কিয়ামত সমাগত ২৫৪৫ – আমার পরিকল্পনা হচ্ছে তা গোপন রাখা ২৫৪৬ ; যেনো প্রতিটি আত্মা তার চেষ্টা অনুযায়ী পুরষ্কার লাভ করতে পারে।”
২৫৪৫। আমাদের কর্তব্য কর্ম সম্বন্ধে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য এক আল্লাহর এবাদত করা, এবাদত অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা এবং সালাত কায়েম করা অর্থাৎ নামাজ বা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করা যা পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বলা হয়েছে কেয়ামত বা পরকালে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য।
কেয়ামত হলো সেদিন , যেদিন ইহকালের সকল কর্মের হিসাব নিকাশ হবে এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পরিতোষিক প্রদান করা হবে।
২৫৪৬। “Ukfi” এই শব্দটির অর্থ ” গোপন রাখা ” অথবা “স্পষ্ট প্রতীয়মান ” হওয়া। কোন কোন তফসীরকার প্রথমটি,কোন কোন তফসীরকার দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করেছেন। যদি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করা হয় তবে বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ গোপন রাখা মানুষের কাছ থেকে।
যদি দ্বিতীয়টির অর্থ গ্রহণ করা হয় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা মানুষের কাছে যেনো তারা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে দুটি অর্থই প্রযোজ্য হতে পারে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৬)
সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে।
”Therefore, let not the one who believes not therein (i.e. in the Day of Resurrection, Reckoning, Paradise and Hell, etc.), but follows his own lusts, divert you therefrom, lest you perish.
فَلاَ يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لاَ يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى
Fala yasuddannaka AAanha man la yu/minu biha waittabaAAa hawahu fatarda
YUSUFALI: “Therefore let not such as believe not therein but follow their own lusts, divert thee therefrom, lest thou perish!”..
PICKTHAL: Therefor, let not him turn thee aside from (the thought of) it who believeth not therein but followeth his own desire, lest thou perish.
SHAKIR: Therefore let not him who believes not in it and follows his low desires turn you away from it so that you should perish;
KHALIFA: “Do not be diverted therefrom by those who do not believe in it – those who pursue their own opinions – lest you fall.
১৬। ” সুতারাং যারা তাতে বিশ্বাস করে না , উপরন্তু নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা যেনো তা থেকে তোমাকে অন্যমস্ক না করে যাতে তুমি ধ্বংস হয়ে যাও !” ২৫৪৭
২৫৪৭। “যারা তাতে বিশ্বাস করে না ” এ স্থলে ” তাতে” দ্বারা “কেয়ামতে বিশ্বাস ” ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ না করাকে বোঝানো হয়েছে। এই সাবধান বাণী আল্লাহ মুসাকে লক্ষ্য করে বলেন। মুসার সামনে যে কর্তব্য কর্ম তার প্রধান অংশে বিরাজ করবে ভয়ংকর বাঁধা উদ্ধত অহংকারীদের দ্বারা।
ফেরাউন ও ইজিপ্টবাসীরা অন্ধ অহংকারে হযরত মুসার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারণ করে। পরবর্তীতে মুসাকে তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়। সুতারাং হযরত মুসা যখন আল্লাহর কাছে থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন, তখন আল্লাহ তাঁকে এ সব উদ্ধত , অহংকারী , একগুয়ে লোকদের সম্বন্ধে সাবধান করে দেন।
যদিও সর্তকবাণীটি ছিলো হযরত মুসার প্রতি কিন্তু তা ছিলো সার্বজনীন, সর্বকালের , সর্বসাধারণের জন্য। সাধারণ মানুষ জাগতিক বিষয়ে নিমগ্ন থাকতে ভালোবাসে , আর এভাবেই সে প্রবৃত্তির দাসে পরিণত হয়। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে সে যদি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তবে তার ধ্বংস অনিবার্য। হেদায়েতের আলো থেকে বিচ্যুত হওয়ার উপাদান তাঁর চতুর্দ্দিকে ছড়ানো।
এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিপদজনক যা তারই উল্লেখ এই আয়াতে করা হয়েছে। সবচেয়ে বিপদজনক হচ্ছে আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ। এরা সব সময়ে নিজ স্বার্থ ও নিজ প্রবৃত্তি ব্যতীত অন্য কিছুকে মূল্য দেয় না। এদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের কোন সীমারেখা নাই।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৭)
হে মূসা, তোমার ডানহাতে ওটা কি?
”And what is that in your right hand, O Mûsa (Moses)?”
وَمَا تِلْكَ بِيَمِينِكَ يَا مُوسَى
Wama tilka biyameenika ya moosa
YUSUFALI: “And what is that in the right hand, O Moses?”
PICKTHAL: And what is that in thy right hand, O Moses?
SHAKIR: And what is this in your right hand, O Musa!
KHALIFA: “What is this in your right hand, Moses?”
১৭। ” হে মুসা তোমার ডান হাতে কি ? ”
১৮। সে বলেছিলো, ” এটা আমার লাঠি ২৫৪৮। এর উপরে আমি ভর দিই ; এর দ্বারা আঘাত করে আমি আমার মেষপালের জন্য বৃক্ষপত্র ফেলে থাকি; এটা অন্যান্য ব্যবহারেও লাগে।”
২৫৪৮। এখানে থেকে শুরু হয়েছে মুসার লাঠির বিবরণ। মুসাকে যখন লাঠির সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলো , তিনি সে সম্বন্ধে সাধারণ দৈনন্দিক ব্যবহারের বাইরে আর কিছু ভাবতে পারেন নাই।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৮)
তিনি বললেনঃ এটা আমার লাঠি, আমি এর উপর ভর দেই এবং এর দ্বারা আমার ছাগপালের জন্যে বৃক্ষপত্র ঝেড়ে ফেলি এবং এতে আমার অন্যান্য কাজ ও চলে।
He said: ”This is my stick, whereon I lean, and wherewith I beat down branches for my sheep, and wherein I find other uses.”
قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّأُ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَى غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَآرِبُ أُخْرَى
Qala hiya AAasaya atawakkao AAalayha waahushshu biha AAala ghanamee waliya feeha maaribu okhra
YUSUFALI: He said, “It is my rod: on it I lean; with it I beat down fodder for my flocks; and in it I find other uses.”
PICKTHAL: He said: This is my staff whereon I lean, and wherewith I bear down branches for my sheep, and wherein I find other uses.
SHAKIR: He said: This is my staff: I recline on it and I beat the leaves with it to make them fall upon my sheep, and I have other uses for it.
KHALIFA: He said, “This is my staff. I lean on it, herd my sheep with it, and I use it for other purposes.”
১৭। ” হে মুসা তোমার ডান হাতে কি ? ”
১৮। সে বলেছিলো, ” এটা আমার লাঠি ২৫৪৮। এর উপরে আমি ভর দিই ; এর দ্বারা আঘাত করে আমি আমার মেষপালের জন্য বৃক্ষপত্র ফেলে থাকি; এটা অন্যান্য ব্যবহারেও লাগে।”
২৫৪৮। এখানে থেকে শুরু হয়েছে মুসার লাঠির বিবরণ। মুসাকে যখন লাঠির সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলো , তিনি সে সম্বন্ধে সাধারণ দৈনন্দিক ব্যবহারের বাইরে আর কিছু ভাবতে পারেন নাই।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ১৯)
আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি ওটা নিক্ষেপ কর।
(Allâh) said: ”Cast it down, O Mûsa (Moses)!”
قَالَ أَلْقِهَا يَا مُوسَى
Qala alqiha ya moosa
YUSUFALI: (Allah) said, “Throw it, O Moses!”
PICKTHAL: He said: Cast it down, O Moses!
SHAKIR: He said: Cast it down, O Musa!
KHALIFA: He said, “Throw it down, Moses.”
১৯। [আল্লাহ্ ] বলেছিলো, ” হে মুসা ! তুমি ইহা নিক্ষেপ কর।”
২০। সে উহা নিক্ষেপ করলো এবং দেখো! সেটা সাপ হয়ে নড়াচড়া করতে থাকলো ২৫৪৯।
২৫৪৯। অনুরূপ আয়াত [ ৭ : ১০৭ ] , যেখানে “Thuban” শব্দটি সাপের সর্বনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যার বর্ণনা হচ্ছে ” সকলের জন্য দর্শনীয় “। অর্থাৎ সাপটি সকলের জন্য দর্শনীয় ছিলো। সেখানে ফেরাউনের রাজসভাতে ছিলো বহুলোক এবং যাদুকরেরা।
সেখানে লাঠিকে সাপে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্য ছিলো সর্বসাধারণকে যাদুকরদের প্রতারণা প্রত্যক্ষ করানো। সকলেই প্রত্যক্ষ করলো যে, মুসার লাঠিটি প্রকৃত সাপ হিসেবে চলতে শুরু করলো। এই আয়াতে লাঠিটি সাপে পরিণত হলো, মুসার মনে আল্লাহর ক্ষমতার স্বাক্ষর মুদ্রিত করার জন্য।
সে কারণে এখানে “Haiy” শব্দটির ব্যবহার করা হয়েছে , যার অর্থ ” জীবন্ত সাপ” ; এবং তার ” সচলতা ” যা বাংলা অনুবদ করা হয়েছে ” উহা সাপ হয়ে নড়াচড়া করতে লাগলো ” বাক্যটি দ্বারা। এখানে লাঠির সাপে রূপান্তর এবং নড়াচড়া সবই করা হয়েছিলো শুধুমাত্র মুসার মনো জগত ও চিন্তাজগতে আল্লাহর ক্ষমতা সম্বন্ধে দৃঢ় ধারণার সৃষ্টি জন্য। কারণ সেখানে মুসা ব্যতীত আর কেহ ছিলো না।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২০)
অতঃপর তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল।
He cast it down, and behold! It was a snake, moving quickly.
فَأَلْقَاهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعَى
Faalqaha fa-itha hiya hayyatun tasAAa
YUSUFALI: He threw it, and behold! It was a snake, active in motion.
PICKTHAL: So he cast it down, and lo! it was a serpent, gliding.
SHAKIR: So he cast it down; and lo! it was a serpent running.
KHALIFA: He threw it down, whereupon it turned into a moving serpent.
১৯। [আল্লাহ্ ] বলেছিলো, ” হে মুসা ! তুমি ইহা নিক্ষেপ কর।”
২০। সে উহা নিক্ষেপ করলো এবং দেখো! সেটা সাপ হয়ে নড়াচড়া করতে থাকলো ২৫৪৯।
২৫৪৯। অনুরূপ আয়াত [ ৭ : ১০৭ ] , যেখানে “Thuban” শব্দটি সাপের সর্বনাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যার বর্ণনা হচ্ছে ” সকলের জন্য দর্শনীয় “। অর্থাৎ সাপটি সকলের জন্য দর্শনীয় ছিলো। সেখানে ফেরাউনের রাজসভাতে ছিলো বহুলোক এবং যাদুকরেরা।
সেখানে লাঠিকে সাপে রূপান্তরিত করার উদ্দেশ্য ছিলো সর্বসাধারণকে যাদুকরদের প্রতারণা প্রত্যক্ষ করানো। সকলেই প্রত্যক্ষ করলো যে, মুসার লাঠিটি প্রকৃত সাপ হিসেবে চলতে শুরু করলো। এই আয়াতে লাঠিটি সাপে পরিণত হলো, মুসার মনে আল্লাহর ক্ষমতার স্বাক্ষর মুদ্রিত করার জন্য। সে কারণে এখানে “Haiy” শব্দটির ব্যবহার করা হয়েছে ,
যার অর্থ ” জীবন্ত সাপ” ; এবং তার ” সচলতা ” যা বাংলা অনুবদ করা হয়েছে ” উহা সাপ হয়ে নড়াচড়া করতে লাগলো ” বাক্যটি দ্বারা। এখানে লাঠির সাপে রূপান্তর এবং নড়াচড়া সবই করা হয়েছিলো শুধুমাত্র মুসার মনো জগত ও চিন্তাজগতে আল্লাহর ক্ষমতা সম্বন্ধে দৃঢ় ধারণার সৃষ্টি জন্য। কারণ সেখানে মুসা ব্যতীত আর কেহ ছিলো না।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২১)
আল্লাহ বললেনঃ তুমি তাকে ধর এবং ভয় করো না, আমি এখনি একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেব।
Allâh said:”Grasp it, and fear not, We shall return it to its former state,
قَالَ خُذْهَا وَلَا تَخَفْ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا الْأُولَى
Qala khuthha wala takhaf sanuAAeeduha seerataha al-oola
YUSUFALI: (Allah) said, “Seize it, and fear not: We shall return it at once to its former condition”..
PICKTHAL: He said: Grasp it and fear not. We shall return it to its former state.
SHAKIR: He said: Take hold of it and fear not; We will restore it to its former state:
KHALIFA: He said, “Pick it up; do not be afraid. We will return it to its original state.
২১। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন, ” ইহাকে ধর, ভয় পেয়ো না। আমি তৎক্ষণাত ইহাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবো।
২২। ” এখন তোমার হাতকে তোমার বগলে রাখ ২৫৫০। আর একটি নিদর্শন স্বরূপ এটা বের হয়ে আসবে সাদা [উজ্জ্বল ] , নির্মল ভাবে ;
২৫৫০। দ্বিতীয় অলৌকিক ঘটনাটি ছিলো আরও আশ্চর্যজনক তা ছিলো মুসার ” নির্মল উজ্জল ” হাত। সাধারণত চামড়া যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন সাদা রং ধারণ করে। কিন্তু তা থেকে দ্যুতি বিকিরণ করে না। এক্ষেত্রে রোগের প্রশ্নই আসতে পারে না।
কারণ তা ছিলো আল্লাহর কুদরত বা অত্যাশ্চর্য নিদর্শন। সেই কারণে মুসার হাত থেকে স্বর্গীয় জ্যোতি বিচ্ছুরিত হতো। এ ধরণের অত্যাশ্চর্য ঘটনা প্রদর্শন পৃথিবীর কোনও যাদুকরের পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২২)
তোমার হাত বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে নির্মল উজ্জ্বল হয়ে অন্য এক নিদর্শন রূপে; কোন দোষ ছাড়াই।
”And press your (right) hand to your (left) side, it will come forth white (and shining), without any disease as another sign,
وَاضْمُمْ يَدَكَ إِلَى جَنَاحِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاء مِنْ غَيْرِ سُوءٍ آيَةً أُخْرَى
Waodmum yadaka ila janahika takhruj baydaa min ghayri soo-in ayatan okhra
YUSUFALI: “Now draw thy hand close to thy side: It shall come forth white (and shining), without harm (or stain),- as another Sign,-
PICKTHAL: And thrust thy hand within thine armpit, it will come forth white without hurt. (That will be) another token.
SHAKIR: And press your hand to your side, it shall come out white without evil: another sign:
KHALIFA: “And hold your hand under your wing; it will come out white without a blemish; another proof.
২১। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন, ” ইহাকে ধর, ভয় পেয়ো না। আমি তৎক্ষণাত ইহাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবো।
২২। ” এখন তোমার হাতকে তোমার বগলে রাখ ২৫৫০। আর একটি নিদর্শন স্বরূপ এটা বের হয়ে আসবে সাদা [উজ্জ্বল ] , নির্মল ভাবে ;
২৫৫০। দ্বিতীয় অলৌকিক ঘটনাটি ছিলো আরও আশ্চর্যজনক তা ছিলো মুসার ” নির্মল উজ্জল ” হাত। সাধারণত চামড়া যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন সাদা রং ধারণ করে। কিন্তু তা থেকে দ্যুতি বিকিরণ করে না। এক্ষেত্রে রোগের প্রশ্নই আসতে পারে না।
কারণ তা ছিলো আল্লাহর কুদরত বা অত্যাশ্চর্য নিদর্শন। সেই কারণে মুসার হাত থেকে স্বর্গীয় জ্যোতি বিচ্ছুরিত হতো। এ ধরণের অত্যাশ্চর্য ঘটনা প্রদর্শন পৃথিবীর কোনও যাদুকরের পক্ষেই সম্ভব ছিলো না।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৩)
এটা এজন্যে যে, আমি আমার বিরাট নিদর্শনাবলীর কিছু তোমাকে দেখাই।
”That We may show you (some) of Our Greater Signs.
لِنُرِيَكَ مِنْ آيَاتِنَا الْكُبْرَى
Linuriyaka min ayatina alkubra
YUSUFALI: “In order that We may show thee (two) of our Greater Signs.
PICKTHAL: That We may show thee (some) of Our greater portents,
SHAKIR: That We may show you of Our greater signs:
KHALIFA: “We thus show you some of our great portents.
২৩। “[ এসব এজন্য যে ] , যেনো তোমাকে আমি আমার মহানিদর্শনের [ দুইটি ] দেখাতে পারি।
২৪। “ফেরাউনের কাছে যাও ২৫৫১ , অবশ্যই সে সকল সীমা লংঘন করেছে। ”
২৫৫১। এ ভাবেই আল্লাহ মুসাকে ভবিষ্যত দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করেন এবং নির্দ্দিষ্টভাবে ফেরাউনের নিকট প্রেরণ করেন ও ফেরাউনের পথভ্রষ্টতা নির্দ্দেশ করে দেন এই বলে যে, অহংকার ও গর্বে ফেরাউন ” সীমা লংঘন ” করেছে। ফেরাউনের সীমালংঘন এতটাই সীমা অতিক্রম করে যে, সে নিজেকে আল্লাহ বলে ঘোষণা করে। দেখুন আয়াত [ ৭৯ : ২৪ ]
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৪)
ফেরাউনের নিকট যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে।
”Go to Fir’aun (Pharaoh)! Verily, he has transgressed (all bounds in disbelief and disobedience, and has behaved as an arrogant, and as a tyrant).”
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
Ithhab ila firAAawna innahu tagha
YUSUFALI: “Go thou to Pharaoh, for he has indeed transgressed all bounds.”
PICKTHAL: Go thou unto Pharaoh! Lo! he hath transgressed (the bounds).
SHAKIR: Go to Firon, surely he has exceeded all limits.
KHALIFA: “Go to Pharaoh, for he has transgressed.”
২৩। “[ এসব এজন্য যে ] , যেনো তোমাকে আমি আমার মহানিদর্শনের [ দুইটি ] দেখাতে পারি।
২৪। “ফেরাউনের কাছে যাও ২৫৫১ , অবশ্যই সে সকল সীমা লংঘন করেছে। ”
২৫৫১। এ ভাবেই আল্লাহ মুসাকে ভবিষ্যত দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করেন এবং নির্দ্দিষ্টভাবে ফেরাউনের নিকট প্রেরণ করেন ও ফেরাউনের পথভ্রষ্টতা নির্দ্দেশ করে দেন এই বলে যে, অহংকার ও গর্বে ফেরাউন ” সীমা লংঘন ” করেছে। ফেরাউনের সীমালংঘন এতটাই সীমা অতিক্রম করে যে, সে নিজেকে আল্লাহ বলে ঘোষণা করে। দেখুন আয়াত [ ৭৯ : ২৪ ]
আরও দেখুনঃ