সূরা মারইয়াম [হযরত জাকারিয়া এর প্রার্থনার কথা,বিবি মারইয়াম এবং পুত্র হযরত ঈসা-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে ]সূরা ১৯। কুরআন ।পার্ট-৫

সূরা মারইয়াম (আরবি ভাষায়: سورة مريم‎‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৯ নম্বর সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। সূরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথমে হযরত জাকারিয়া এর প্রার্থনার কথা, পরে বিবি মারইয়াম এবং পুত্র হযরত ঈসা-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৩)

আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে।

See you not that We have sent the Shayâtin (devils) against the disbelievers to push them to do evil.

أَلَمْ تَرَ أَنَّا أَرْسَلْنَا الشَّيَاطِينَ عَلَى الْكَافِرِينَ تَؤُزُّهُمْ أَزًّا

Alam tara anna arsalna alshshayateena AAala alkafireena taozzuhum azzan

YUSUFALI: Seest thou not that We have set the Evil Ones on against the unbelievers, to incite them with fury?

PICKTHAL: Seest thou not that We have set the devils on the disbelievers to confound them with confusion?

SHAKIR: Do you not see that We have sent the Shaitans against the unbelievers, inciting them by incitement?

KHALIFA: Do you not see how we unleash the devils upon the disbelievers to stir them up?

রুকু – ৬

৮৩। তুমি কি দেখো নাই যে, আমি অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে শয়তানকে ছেড়ে দিয়েছি তাদের [ মন্দ কর্মে ] উগ্র আবেগে উৎসাহিত করতে ? ২৫২৭

২৫২৭। প্রকৃতি যেমন প্রাকৃতিক আইনের আজ্ঞাবহ। মানুষের নৈতিক নীতিমালাও সেরূপ আল্লাহ্‌ প্রদত্ত আইনের আয়ত্তাধীন। প্রকৃতির আইন অমান্য করলে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। ঠিক সেরূপ অন্যায় , পাপ, দ্বারা মানুষের নৈতিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয় ফলে আত্মার ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাদের চোখে তখন তাদের পাপ কাজকে নয়নাভিরাম মনে হয়।

আল্লাহ্‌র আইন হচ্ছে , যখন পাপ, অন্যায়, এবং ঈমানহীনতা একটি নির্দ্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করে , তখন ব্যক্তির মাঝে পাপ পূণ্যের সীমারেখা অবলুপ্ত হয়ে যায়। তখন পাপ করার প্রবণতার গতি হয় ত্বরান্বিত। আল্লাহ্‌ পাপীদের সৎপথে ফিরে আসার জন্য সময় দিয়ে থাকেন।

কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে সে যদি অনুতপ্ত না হয়,তবে তার জন্য আল্লাহ্‌র শাস্তি থেকে অব্যহতি পাওয়ার দিন হয়ে যায় সীমিত। সুতারাং পূণ্যাত্মারা পাপী ও অবিশ্বাসীদের পার্থিব সাফল্যে বিভ্রান্ত হবে না। তারা আল্লাহ্‌র উপরে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ধীর ও অবিচলিত ভাবে তাদের কর্তব্য কর্ম করে যাবে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৪)

সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র।

So make no haste against them; We only count out to them a (limited) number (of the days of the life of this world and delay their term so that they may increase in evil and sins).

فَلَا تَعْجَلْ عَلَيْهِمْ إِنَّمَا نَعُدُّ لَهُمْ عَدًّا

Fala taAAjal AAalayhim innama naAAuddu lahum AAaddan

YUSUFALI: So make no haste against them, for We but count out to them a (limited) number (of days).

PICKTHAL: So make no haste against them (O Muhammad). We do but number unto them a sum (of days).
SHAKIR: Therefore be not in haste against them, We only number out to them a number (of days).

KHALIFA: Do not be impatient; we are preparing for them some preparation.

৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।

৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।

৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।

২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্‌র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে, যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে।

লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৫)

সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব,

The Day We shall gather the Muttaqûn (pious – see V.2:2) unto the Most Beneficent (Allâh), like a delegate (presented before a king for honour).

يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَفْدًا

Yawma nahshuru almuttaqeena ila alrrahmani wafdan

YUSUFALI: The day We shall gather the righteous to (Allah) Most Gracious, like a band presented before a king for honours,

PICKTHAL: On the day when We shall gather the righteous unto the Beneficent, a goodly company.

SHAKIR: The day on which We will gather those who guard (against evil) to the Beneficent Allah to receive honors

KHALIFA: The day will come when we summon the righteous before the Most Gracious in a group.

৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।

৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।

৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।

২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্‌র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে,

যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে। লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৬)

এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।

And We shall drive the Mujrimûn (polytheists, sinners, criminals, disbelievers in the Oneness of Allâh, etc.) to Hell, in a thirsty state (like a thirsty herd driven down to water),

وَنَسُوقُ الْمُجْرِمِينَ إِلَى جَهَنَّمَ وِرْدًا

Wanasooqu almujrimeena ila jahannama wirdan

YUSUFALI: And We shall drive the sinners to Hell, like thirsty cattle driven down to water,-
PICKTHAL: And drive the guilty unto hell, a weary herd,

SHAKIR: And We will drive the guilty to hell thirsty
KHALIFA: And we will herd the guilty to Hell, to be their eternal abode.

৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।

৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।

৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।

২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্‌র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে,

যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে। লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৭)

যে দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।

None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from the Most Beneficent (Allâh).

لَا يَمْلِكُونَ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِندَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
La yamlikoona alshshafaAAata illa mani ittakhatha AAinda alrrahmani AAahdan

YUSUFALI: None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from (Allah) Most Gracious.

PICKTHAL: They will have no power of intercession, save him who hath made a covenant with his Lord.

SHAKIR: They shall not control intercession, save he who has made a covenant with the Beneficent Allah.

KHALIFA: No one will possess the power to intercede, except those who conform to the laws of the Most Gracious.

৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।

৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”

৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-

২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র সন্তান। আল্লাহ্‌ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত।

আল্লাহ্‌র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্‌র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্‌ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে।

যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্‌র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে ,

[ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্‌ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্‌র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্‌র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে।

যেখানেই আল্লাহ্‌র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৮)

তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।

And they say: ”The Most Beneficent (Allâh) has begotten a son (or offspring or children) [as the Jews say: ’Uzair (Ezra) is the son of Allâh, and the Christians say that He has begotten a son [’Iesa (Christ) ], and the pagan Arabs say that He has begotten daughters (angels, etc.)].”

وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا

Waqaloo ittakhatha alrrahmanu waladan

YUSUFALI: They say: “(Allah) Most Gracious has begotten a son!”
PICKTHAL: And they say: The Beneficent hath taken unto Himself a son.

SHAKIR: And they say: The Beneficent Allah has taken (to Himself) a son.
KHALIFA: They said, “The Most Gracious has begotten a son”!

৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।

৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”

৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-

২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র সন্তান। আল্লাহ্‌ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত।

আল্লাহ্‌র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্‌র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্‌ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে।

যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্‌র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে ,

[ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্‌ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্‌র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্‌র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে।

যেখানেই আল্লাহ্‌র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৮৯)

নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।
Indeed you have brought forth (said) a terrible evil thing.

لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا إِدًّا
Laqad ji/tum shay-an iddan

YUSUFALI: Indeed ye have put forth a thing most monstrous!
PICKTHAL: Assuredly ye utter a disastrous thing

SHAKIR: Certainly you have made an abominable assertion
KHALIFA: You have uttered a gross blasphemy.

৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।

৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”

৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-

২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র সন্তান। আল্লাহ্‌ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্‌র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়।

আল্লাহ্‌র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্‌ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্‌র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে।

সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্‌ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত।

সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্‌র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্‌র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্‌র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্‌র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯০)

হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
Whereby the heavens are almost torn, and the earth is split asunder, and the mountains fall in ruins,

تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا
Takadu alssamawatu yatafattarna minhu watanshaqqu al-ardu watakhirru aljibalu haddan

YUSUFALI: At it the skies are ready to burst, the earth to split asunder, and the mountains to fall down in utter ruin,

PICKTHAL: Whereby almost the heavens are torn, and the earth is split asunder and the mountains fall in ruins,

SHAKIR: The heavens may almost be rent thereat, and the earth cleave asunder, and the mountains fall down in pieces,

KHALIFA: The heavens are about to shatter, the earth is about to tear asunder, and the mountains are about to crumble.

৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।

৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।

৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।

২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে,

যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্‌র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্‌র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯১)

এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।

That they ascribe a son (or offspring or children) to the Most Beneficent (Allâh).

أَن دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا

An daAAaw lilrrahmani waladan

YUSUFALI: That they should invoke a son for (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: That ye ascribe unto the Beneficent a son,

SHAKIR: That they ascribe a son to the Beneficent Allah.
KHALIFA: Because they claim that the Most Gracious has begotten a son.

৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।

৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।

৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।

২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে,

যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্‌র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্‌র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯২)

অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।

But it is not suitable for (the Majesty of) the Most Beneficent (Allâh) that He should beget a son (or offspring or children).

وَمَا يَنبَغِي لِلرَّحْمَنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا

Wama yanbaghee lilrrahmani an yattakhitha waladan

YUSUFALI: For it is not consonant with the majesty of (Allah) Most Gracious that He should beget a son.

PICKTHAL: When it is not meet for (the Majesty of) the Beneficent that He should choose a son.
SHAKIR: And it is not worthy of the Beneficent Allah that He should take (to Himself) a son.

KHALIFA: It is not befitting the Most Gracious that He should beget a son.

৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।

৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।

৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।

২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে,

যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্‌র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্‌র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৩)

নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।
There is none in the heavens and the earth but comes unto the Most Beneficent (Allâh) as a slave.

إِن كُلُّ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا آتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا (93
In kullu man fee alssamawati waal-ardi illa atee alrrahmani AAabdan

YUSUFALI: Not one of the beings in the heavens and the earth but must come to (Allah) Most Gracious as a servant.

PICKTHAL: There is none in the heavens and the earth but cometh unto the Beneficent as a slave.

SHAKIR: There is no one in the heavens and the earth but will come to the Beneficent Allah as a servant.

KHALIFA: Every single one in the heavens and the earth is a servant of the Most Gracious.

৯৩। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই যে, পরম করুণাময়ের নিকট [ তাঁর ] বান্দারূপে উপস্থিত হবে না।

৯৪। তিনি তাদের [ সকলের ] হিসাব নেন এবং [ সকলের ] সঠিক সংখ্যা গণনা করেন ২৫৩১।

২৫৩১। আল্লাহ্‌র কোনও সন্তান নাই, কোনও প্রিয়পাত্র নাই অথবা কোনও পরাশ্রয়ীও নাই। আল্লাহ্‌র নিকট তার সৃষ্ট জীব সকলেই সমান। তাঁর সৃষ্টির সকলকেই তিনি ভালোবাসেন ও সস্নেহে লালন পালন করেন।

তিনি পরম করুণাময় ও দয়াময়। শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেককে নিজস্ব দায় দায়িত্বের ভিত্তিতে তাঁর সিংহাসনের সামনে ন্যায় বিচারের জন্য দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে বিশেষভাবে গণনা করেন।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৪)

তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন।
Verily, He knows each one of them, and has counted them a full counting.

لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا (94
Laqad ahsahum waAAaddahum AAaddan

YUSUFALI: He does take an account of them (all), and hath numbered them (all) exactly.

PICKTHAL: Verily He knoweth them and numbereth them with (right) numbering.

SHAKIR: Certainly He has a comprehensive knowledge of them and He has numbered them a (comprehensive) numbering.

KHALIFA: He has encompassed them, and has counted them one by one.

৯৩। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই যে, পরম করুণাময়ের নিকট [ তাঁর ] বান্দারূপে উপস্থিত হবে না।

৯৪। তিনি তাদের [ সকলের ] হিসাব নেন এবং [ সকলের ] সঠিক সংখ্যা গণনা করেন ২৫৩১।

২৫৩১। আল্লাহ্‌র কোনও সন্তান নাই, কোনও প্রিয়পাত্র নাই অথবা কোনও পরাশ্রয়ীও নাই। আল্লাহ্‌র নিকট তার সৃষ্ট জীব সকলেই সমান। তাঁর সৃষ্টির সকলকেই তিনি ভালোবাসেন ও সস্নেহে লালন পালন করেন। তিনি পরম করুণাময় ও দয়াময়। শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেককে নিজস্ব দায় দায়িত্বের ভিত্তিতে তাঁর সিংহাসনের সামনে ন্যায় বিচারের জন্য দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে বিশেষভাবে গণনা করেন।

সূরা মারইয়াম
সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৫)

কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।

And everyone of them will come to Him alone on the Day of Resurrection (without any helper, or protector or defender).

وَكُلُّهُمْ آتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْدًا

Wakulluhum ateehi yawma alqiyamati fardan

YUSUFALI: And everyone of them will come to Him singly on the Day of Judgment.
PICKTHAL: And each one of them will come unto Him on the Day of Resurrection, alone.

SHAKIR: And every one of them will come to Him on the day of resurrection alone.
KHALIFA: All of them will come before Him on the Day of Resurrection as individuals.

৯৫। শেষ বিচারের দিনে তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ্‌র নিকট একা একা উপস্থিত করা হবে।

৯৬। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করে, পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌ ] তাদের জন্য ভালোবাসা দান করবেন ২৫৩২।

২৫৩২। ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে ” তাঁদের অন্তরে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহ্‌ও তাঁদের ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে সৃষ্টির সকলেই তাঁকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে এবং পরকালে , সে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের ভালোবাসা লাভ করবে। তাঁর জীবন হবে শান্তিময়।

ভালোবাসা মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে এবং সৎকাজ আত্মাকে শান্তিতে ভরিয়ে দেয়। পূণ্য বা ব্যক্তিগত গুণাবলী আত্মার মাঝে শান্তি আনায়ন করে অপর পক্ষে পাপ আত্মার মাঝে ঘৃণার সৃষ্টি করে পরিণামে বিবাদ বিসংবাদের সৃষ্টি হয়।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৬)

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন।

Verily, those who believe [in the Oneness of Allâh and in His Messenger (Muhammad SAW)] and work deeds of righteousness, the Most Beneficent (Allâh) will bestow love for them (in the hearts of the believers).

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمَنُ وُدًّا

Inna allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati sayajAAalu lahumu alrrahmanu wuddan

YUSUFALI: On those who believe and work deeds of righteousness, will (Allah) Most Gracious bestow love.

PICKTHAL: Lo! those who believe and do good works, the Beneficent will appoint for them love.

SHAKIR: Surely (as for) those who believe and do good deeds for t them will Allah bring about love.

KHALIFA: Surely, those who believe and lead a righteous life, the Most Gracious will shower them with love.

৯৫। শেষ বিচারের দিনে তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ্‌র নিকট একা একা উপস্থিত করা হবে।

৯৬। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করে, পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌ ] তাদের জন্য ভালোবাসা দান করবেন ২৫৩২।

২৫৩২। ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে ” তাঁদের অন্তরে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহ্‌ও তাঁদের ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে সৃষ্টির সকলেই তাঁকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে এবং পরকালে , সে আল্লাহ্‌ এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের ভালোবাসা লাভ করবে। তাঁর জীবন হবে শান্তিময়।

ভালোবাসা মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে এবং সৎকাজ আত্মাকে শান্তিতে ভরিয়ে দেয়। পূণ্য বা ব্যক্তিগত গুণাবলী আত্মার মাঝে শান্তি আনায়ন করে অপর পক্ষে পাপ আত্মার মাঝে ঘৃণার সৃষ্টি করে পরিণামে বিবাদ বিসংবাদের সৃষ্টি হয়।

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৭)

আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

So We have made this (the Qur’ân) easy in your own tongue (O Muhammad SAW), only that you may give glad tidings to the Muttaqûn (pious and righteous persons – See V.2:2), and warn with it the Ludda (most quarrelsome) people.

فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِينَ وَتُنذِرَ بِهِ قَوْمًا لُّدًّا

Fa-innama yassarnahu bilisanika litubashshira bihi almuttaqeena watunthira bihi qawman luddan

YUSUFALI: So have We made the (Qur’an) easy in thine own tongue, that with it thou mayest give Glad Tidings to the righteous, and warnings to people given to contention.

PICKTHAL: And We make (this Scripture) easy in thy tongue, (O Muhammad) only that thou mayst bear good tidings therewith unto those who ward off (evil), and warn therewith the froward folk.

SHAKIR: So We have only made it easy in your tongue that you may give good news thereby to those who guard (against evil) and warn thereby a vehemently contentious people.

KHALIFA: We thus made this (Quran) elucidated in your tongue, in order to deliver good news to the righteous, and to warn with it the opponents.

৯৭। আমি তো তোমার ভাষায় [ কুর-আনকে ] সহজ করেছি যেনো এর সাহায্যে তুমি পূণ্যাত্মাদের সুসংবাদ দিতে পার এবং যারা বির্তক প্রিয় তাদের সর্তক করতে পার।

৯৮। তাদের পূর্বে কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে আমি বিনাশ করেছি ২৫৩৩। [ বর্তমানে ] তুমি তাদের একজনকেও দেখতে পাবে না অথবা [ এমনকি ] তাদের ফিসফিসানি কথাও শুনবে না।

২৫৩৩। আয়াত [ ১৯ : ৭৪ ] থেকে ধারাবাহিকভাবে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এই আয়াতে তারই স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। পাপের পথে অগ্রযাত্রা , ভালোদের জন্য আল্লাহ্‌র পথ নির্দ্দেশ ,

আল্লাহ্‌র নিন্দার ভয়াবহ পরিণাম , পাপীদের জন্য অব্যহতি দান এবং শেষ পরিণতি হিসেবে যখন ব্যক্তিগত কাজের দায় দায়িত্ব নিয়ে স্রষ্টার সামনে ন্যায় বিচারের জন্য উপণীত হতে হবে। এ সকল ভাবকেই এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করে সূরাটিকে শেষ করা হয়েছে।

সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম(আয়াত ৯৮)

তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?

And how many a generation before them have We destroyed! Can you (O Muhammad SAW) find a single one of them or hear even a whisper of them?

وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُم مِّنْ أَحَدٍ أَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا

Wakam ahlakna qablahum min qarnin hal tuhissu minhum min ahadin aw tasmaAAu lahum rikzan

YUSUFALI: But how many (countless) generations before them have We destroyed? Canst thou find a single one of them (now) or hear (so much as) a whisper of them?

PICKTHAL: And how many a generation before them have We destroyed! Canst thou (Muhammad) see a single man of them, or hear from them the slightest sound?

SHAKIR: And how many a generation have We destroyed before them! Do you see any one of them or hear a sound of them?

KHALIFA: Many a generation before them we annihilated; can you perceive any of them, or hear from them any sound?

৯৭। আমি তো তোমার ভাষায় [ কুর-আনকে ] সহজ করেছি যেনো এর সাহায্যে তুমি পূণ্যাত্মাদের সুসংবাদ দিতে পার এবং যারা বির্তক প্রিয় তাদের সর্তক করতে পার।

৯৮। তাদের পূর্বে কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে আমি বিনাশ করেছি ২৫৩৩। [ বর্তমানে ] তুমি তাদের একজনকেও দেখতে পাবে না অথবা [ এমনকি ] তাদের ফিসফিসানি কথাও শুনবে না।

২৫৩৩। আয়াত [ ১৯ : ৭৪ ] থেকে ধারাবাহিকভাবে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এই আয়াতে তারই স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। পাপের পথে অগ্রযাত্রা , ভালোদের জন্য আল্লাহ্‌র পথ নির্দ্দেশ ,

আল্লাহ্‌র নিন্দার ভয়াবহ পরিণাম , পাপীদের জন্য অব্যহতি দান এবং শেষ পরিণতি হিসেবে যখন ব্যক্তিগত কাজের দায় দায়িত্ব নিয়ে স্রষ্টার সামনে ন্যায় বিচারের জন্য উপণীত হতে হবে। এ সকল ভাবকেই এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করে সূরাটিকে শেষ করা হয়েছে।

আরও দেখুনঃ 

সূরা মারইয়ামপার্ট-৪

সূরা কাহফ পার্ট-৫

 

Leave a Comment