আধ্যাত্মিকতার চর্চা | বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আধ্যাত্মিকতার চর্চা | বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি, মহানবির (সা) মদিনায় হিজরতের পরপরই আল্লাহর কাছ থেকে ইবাদতের বিধানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধি-বিধান নাজিল হয়। একমাত্র হজের বিধানটি বাকি ছিল, যা হিজরতের নবম বছরে প্রবর্তিত হয়, কারণ মক্কা তখন পর্যন্ত শত্রুদের দখলে ছিল।

 

আধ্যাত্মিকতার চর্চা | বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আধ্যাত্মিকতার চর্চা | বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

রোজার বিধান হিজরতের পরের প্রথম রমজান মাসে আসেনি। পরের মহররম মাসের ১০ তারিখে নবিজি (সা) সাহাবিদের বললেন, “যে সকালে নাস্তা খেয়েছে, সে যেন বাকি দিন আর কিছু না খায়।” অর্থাৎ তিনি ওই দিন রোজা রাখাকে ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) করেছিলেন। এভাবেই প্রথম ওয়াজিব রোজা ছিল এক দিনের জন্য, যাতে মুসলিমরা এতে অভ্যন্ত হতে পারে। তার ঠিক পরের (দ্বিতীয় হিজরি) রমজান মাসে আল্লাহ আচ্ছা ওয়াজাল পবিত্র কোরানে নাজিল করেন:

“রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরান অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ-মাস পাবে সে যেন এ-মাসে অবশ্যই রোজা রাখে।” [সুরা বাকারা, ২:১৮৫) কিছু পণ্ডিতের মতে, এমনকি হিজরতের পর প্রথম রমজানেও রোজা রাখাকে উৎসাহিত করা হয়েছিল। পণ্ডিতদের সর্বসম্মত অভিমত হলো, রমজান দ্বিতীয় বছরে রোজা ওয়াজিব হয়, আর ১০ই মহররমে রোজা রাখা পরের বছরে (অর্থাৎ হিজরতের পর দ্বিতীয় রমজানে) সুন্নতে পরিণত হয়।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

রমজান মাসে ‘জাকাতুল ফিতর’ আদায় করার বিষয়টিও সেই সময় ওয়াজিব হিসেবে নাজিল হয়। জাকাতের মধ্যে জাকাতুল ফিতর আদায় করা সবচেয়ে সহজ। এখনকার সময়ে এর পরিমাণ আনুমানিক ৭-১০ মার্কিন ডলার। জাকাতের ধারণার সঙ্গে মুসলিমদের অভ্যন্ত করার জন্য জাকাতুল ফিতর প্রবর্তিত হয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই, একই বছর ‘জাকাতুল মাল’ অর্থাৎ সম্পদের ওপর ২.৫ শতাংশ হারে জাকাতের বিধান নাজিল হয়।

 

আধ্যাত্মিকতার চর্চা | বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

ততদিনে মুসলিমদের মধ্যে নামাজের মৌলিক বিধিবিধানগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। নবিজি (সা) সাহাবিদের বলেন, “আমাকে যেমন করে নামাজ পড়তে দেখ, তোমরা তেমন করে নামাজ পড়ো।” মক্কার সময় প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজই দুই রাকাত করে ছিল। কিন্তু মদিনায় আসার পর জোহর, আসর, মাগরিব ও এশার নামাজের রাকাতের সংখ্যা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪, ৪, ৩ ও ৪ করা হয়। এ ছাড়া ‘তাহারা’, ওজু, ‘জানাবা’, গোসল ইত্যাদি কীভাবে পালন করতে হবে তার সব নিয়মকানুন এই প্রথম দুই বছরের মধ্যেই নাজিল হয়েছিল। অর্থাৎ দ্বিতীয় রমজান শেষ হওয়ার মধ্যেই ইবাদতের প্রায় সব নিয়মই চালু হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment