আমরা

আমরা “ইসলামিয়া গুরুকুল”।”ইসলামিয়া গুরুকুল” গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্কের “ডিজিটাল মাদ্রাসা”। “ইসলামিয়া গুরুকুল” এ আপনাকে স্বাগতম।  এই ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের পাতার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম, ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ের পাঠদান করা হয়।

আমরা

[ আমরা “ইসলামিয়া গুরুকুল” ]

ইসলাম একটি একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবি ও রাসূল।

এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম, যার অনুসারী সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪%, যারা মুসলমান নামে পরিচিত। মুসলমানরা ৫০ এর অধিক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি। ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়, এক ও অদ্বিতীয় এবং একমাত্র ইবাদতযোগ্য অভিভাবক।

সূরা ফাতিহা ১৮-১ ৭ আয়াত, মক্কী

মানবজাতিকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে-যুগে অনেক নবি-রাসূল, আসমানী কিতাব এবং নিদর্শন পাঠিয়েছেন। ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো পবিত্র কুরআন যা ধর্মগ্রন্থানুযায়ী স্বয়ং আল্লাহর বাণী; আর সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবি মুহাম্মদ (ﷺ) (২৯ আগস্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিকে সুন্নাহ বলা হয় যা হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তবে সমস্ত সুন্নাহই হাদিস, কিন্তু সমস্ত হাদিস সুন্নাহ নয়।

সৌদি আরবের মক্কার কাবা শরিফ; যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন। ইসলামী ধর্মগ্রন্থানুযায়ী, এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা বা আরব দেশগুলোর জন্য নয় বরং ইসলাম পৃথিবীর সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি এবং ধনী-গরীব, সাদা-কালো ও আরব-অনারব সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত।

সূরা ফাতিহা

ইসলামী ধর্মমত অনুযায়ী, যুগে যুগে আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ইসা সহ সকল রাসূলগণের উপর যেসব আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়েছিল, মূল আরবি ভাষার কুরআন হল তারই সর্বশেষ, পূর্ণাঙ্গ, অপরিবর্তিত চূড়ান্ত সংস্করণ। কিন্তু আদতে ইসলাম ধর্মের মূল সূত্রপাত ঘটে ৬০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে।মূলত ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মহানবীর জন্মের পর।সময়ের হিসেবে ইসলাম ধর্মের ব্যাপ্তি সমসাময়িক অন্যান্য ধর্মের তুলনায় একেবারেই নতুন।

অন্যান্য ইব্রাহিমীয় ধর্মের মতো ইসলামও শেষবিচারের শিক্ষা দেয় যেখানে সৎকর্মশীলরা পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত পাবে আর পাপীরা জাহান্নামের সাজা পাবে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম হল ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ, যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য। তাদেরকে ইসলামি আইন বা শরিয়াহ্ মেনে চলতে হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও জীবনের সকল ক্ষেত্র ও যাবতীয় কার্যকলাপকে নির্ধারণ করে দেয়। ব্যাঙ্কিং থেকে দান-ছদকাহ্, নারী থেকে পরিবেশ সবই এর অন্তর্গত। মক্কা, মদিনা ও জেরুজালেম ইসলামে সবচেয়ে সম্মানিত ও পবিত্র তিন শহর।

ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী ইসলাম কোন নতুন ধর্ম নয়, বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই ইসলামের উৎপত্তি। আদম ছিলেন এই পৃথিবীর প্রথম মানব এবং ইসলামের প্রথম নবি। আর শেষ নবি হলেন মুহাম্মদ (ﷺ)।

সূরা ফাতিহা

ইতিহাসগতভাবে এর উৎপত্তি ৭ম শতকের শুরুতে মক্কায়, এবং ৮ম শতক নাগাদ উমাইয়া খিলাফত পশ্চিমে ইবেরিয়া (স্পেন) থেকে পূর্বে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিরাট অঞ্চল জুড়ে সম্প্রসারিত হয়। ৮ম থেকে ১৩ শতককে ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামি স্বর্ণযুগ বলা হয়।

ঐতিহাসিকভাবে আব্বাসীয় খিলাফতের আমলে মুসলিম বিশ্ব বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উন্নতির শীর্ষে ছিল। ইসলামের প্রসার ঘটেছে মূলত ধর্মপ্রচার এবং রাজ্যজয়ের মাধ্যমে। রাজ্যজয়গুলো ঘটেছিল আলাদা আলাদা সম্রাজ্যের দ্বারা যেমন উসমানীয় সম্রাজ্য, আর ধর্মান্তরিতকরণ ঘটেছিল ইসলামি ধর্মপ্রচার কার্যক্রমের সাথে এবং নতুন নতুন রাজ্যজয়ের প্রভাবে।জোর করে ধর্মান্তকরণের অনেকের দাবি থাকলে ও বিছিন্ন কিছু প্রমাণ ছাড়া সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না।বিচ্ছিন্ন একটি প্রমাণ হিসেবে বলা যায় ১০২৬ সালে সুলতান মাহমুদ কর্তৃক সোমনাথ মন্দির আক্রমন।তিনি মোট ২৬ বার আক্রমণ করেছিলেন।

মুসলমানরা দুইটি প্রধান সম্প্রদায়ের অন্তর্গত, সুন্নি (৮০-৯০%) অথবা শিয়া (১০-২০%)। মূলত যারা শিয়া নয় তাদের সবাইকেই সুন্নি(ইসলাম) হিসেবে গণনা করা হয়। সুন্নি ইসলাম মূলত অনেকগুলো ইসলামী মতাদর্শের সমষ্টি। এছাড়াও কিছু মুসলমান নিজেদেরকে শিয়া সুন্নি কোনো দলেই ফেলেন না, কিন্তু তাদেরকেও সুন্নি গণনা করা হয়।

সূরা ফাতিহা

সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ১৩%-ই এখানে বাস করেন। বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের ৩১%-ই বাস করেন দক্ষিণ এশিয়ায়, মুসলমান জনগোষ্ঠীর বড় অংশটাই এখানে। মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে বাস করেন ২০% এবং এটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান ধর্ম। ১৫% বাস করেন সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুসলমান সম্প্রদায় দেখা যায় আমেরিকা, ককেসাস, মধ্য এশিয়া, চীন, ইউরোপ, ইন্দোচীন, ফিলিপাইন ও রাশিয়াতে।

আমাদের পাঠ্যক্রম, শিক্ষা উপকরণ বা পাঠদান সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য বা অভিযোগ থেকে থাকে, তবে তা আমাদের সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিখিত ভাবে জানাতে পারেন।

বিনীত,
সম্পাদক
ইসলামিয়া গুরুকুল
গুরুকুল অনলাইন লার্নিং নেটওয়ার্ক
আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা আমাদের এই ওয়েবসাইটের “যোগাযোগ” বিভাগে পাওয়া যাবে।

Leave a Comment