দ্বিতীয়বার ওহি নাজিল | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

দ্বিতীয়বার ওহি নাজিল | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু, নবি করিম (সা) নিজেই বলেছেন, “প্রথমবার নাজিল হওয়ার পরে কিছু সময়ের জন্য ওহি আসা থেমে গিয়েছিল (অর্থাৎ আসেনি)।” কিছু স্কলারের মতে এই সময়টা ছিল ছয় মাসের মতো, কেউ কেউ বলেন তিন মাস। যা-ই হোক, ওহি না-আসার সময়ের মধ্যে নবিজি (সা) আবার মানসিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিলেন।

 

 

দ্বিতীয়বার ওহি নাজিল | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

দ্বিতীয়বার ওহি নাজিল | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কিন্তু তারপরে একদিন, নবিজির (সা) কথায়, “আমি যখন হাঁটছিলাম, তখন আমি একটি শব্দ শুনতে পেলাম এবং ওপরের দিকে তাকালাম। এবারও আমি সেই একই ফেরেশতাকে দেখতে পেলাম যিনি হেরা গুহায় আমার কাছে এসেছিল। দেখতে পেলাম, সে পৃথিবী থেকে আকাশ পর্যন্ত বিস্তৃত এক সিংহাসনে বসে আছে। এবারও আমি খাদিজার (আ) কাছে ফিরে এসে বললাম, “দাসসিরুনি।”

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সেই সময়ই জিব্রাইল (আ) দ্বিতীয়বারের মতো ওহি নিয়ে হাজির হয়: “হে চাদরাবৃত (যে কিনা নিজেকে কাপড়ে ঢেকে রেখেছ)! ওঠো, এবং সতর্ক (সাবধানবাণী প্রচার) করো। এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো। পরিচ্ছদ পবিত্র রাখো। আর সকল অপবিত্রতা পরিহার করো। অধিক প্রতিদানের আশায় তুমি অন্যকে কিছু দান করো না। আর তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্য ধৈর্যধারণ করো।”

 

দ্বিতীয়বার ওহি নাজিল | জায়েদ বিন হারিসা এবং ওহি নাজিলের শুরু | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

[সুরা মুদাসসির, ৭৪: ১-৭] এই আয়াতগুলো আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করা যেতে পারে, আবার রূপক অর্থেও নেওয়া যেতে পারে; যেমন: ‘তুমি তোমার পালনকর্তার উপাসনা করো, তাঁর কাছে প্রার্থনা করো, এবং তাঁর কাছ থেকে সর্বদা শক্তি সংগ্রহ করো! শারীরিক ও আধ্যাত্মিকভাবে বিশুদ্ধ হও, নিজেকে পাপ থেকে মুক্ত করো। প্রতিমাপূজা ত্যাগ করো। মানুষের কাছে যা আছে তার জন্য লোভী হয়ো না। সর্বদা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করো এবং তাঁর কাছ থেকে পুরস্কারের আশা করো।

আরো পড়ূনঃ

Leave a Comment