আনুষঙ্গিক বিষয়: বিভিন্ন খেলাফতের সময় মসজিদুল নববির সম্প্রসারণ | মদিনা যুগের সূচনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আনুষঙ্গিক বিষয়: বিভিন্ন খেলাফতের সময় মসজিদুল নববির সম্প্রসারণ | মদিনা যুগের সূচনা, আবু বকর (রা) তাঁর খেলাফতের সময় মসজিদটিকে স্পর্শ করেননি। উমরই (রা) প্রথম যিনি মসজিদটির কাঠামো মজবুত করেন। তিনি কাঠের পিলার স্থাপন করেন এবং জলরোধী ছাদ বসান। নামাজ পড়ার জন্য তিনি আরও ১০-১৫টি সারি বাড়ান। পরে উসমান (রা) তাঁর খেলাফতকালে মসজিদটির আয়তন প্রায় ৫০ শতাংশ সম্প্রসারিত করেন।

 

আনুষঙ্গিক বিষয়: বিভিন্ন খেলাফতের সময় মসজিদুল নববির সম্প্রসারণ | মদিনা যুগের সূচনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

আনুষঙ্গিক বিষয়: বিভিন্ন খেলাফতের সময় মসজিদুল নববির সম্প্রসারণ | মদিনা যুগের সূচনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আরও কয়েক প্রজন্ম পরে, আনুমানিক ৯৯ হিজরি সালে উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালেক ইবনে মারওয়ান মসজিদের পুরোনো কাঠামোটি পুরোপুরি ভেঙে অনেক অর্থ ব্যয় করে নতুন করে নির্মাণ করেন। নতুন কাঠামোটি ছিল আরও মজবুত এবং অনেক আলংকারিক। তিনি নবিজির (সা) কবর ও আয়েশার (রা) ঘরটিকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, নবি করিমকে (সা) মসজিদের ভেতরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে তাঁকে তাঁর বাড়িতে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।

সেই সময় তাঁর বাড়িটি মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও এর সীমানার বাইরে ছিল আল-ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালেক মসজিদের চারদিকে সীমানা বাড়িে আয়তন আক্ষরিকভাবেই দ্বিগুণেরও বেশি করেন। তিনি কেবলার দিকেও ১৫টি সারি যোগ করেছিলেন। সুতরাং নবিজির (সা) মূল মিম্বারটি এখন মসজিদুন নববিতে যেখানে ইমাম নামাজ পড়েন সেখানে ছিল না। মিম্বারটি ১৫ সারি পেছনে ছিল।

 

islamiagoln.com google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সে কারণে ইমাম মিম্বারের স্থানে খুতবা পাঠ করতেন, তারপরে হেঁটে সামনে গিয়ে নামাজের ইমামতি করতেন। আল-ওয়ালিদ আয়েশার (রা) বাড়ি ছাড়া মসজিদ-সংলগ্ন অন্য সব সাহাবির ঘরগুলোও ভেঙে ফেলেন। সে সময় বেশ কয়েকজন তাবিউন এতে আপত্তি জানান। সাদ ইবনে জুবায়ের খলিফা আল- ওয়ালিদকে বলেন, “আপনি মসজিদের ভেতরে কবর অন্তর্ভুক্ত করছেন। মসজিদের ভেতর কবর থাকা ঠিক নয়।”

ইসলামি দৃষ্টিতে কবর ও মসজিদ আলাদা থাকা উচিত। সমসাময়িক আল-ওয়ালিদকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, “আপনি নবি করিমের (সা) এবং উজ্জ্বল মুমিনিনদের ঐতিহ্য ধ্বংস করে ফেলছেন। এই বাড়িগুলো থাকলে লোকেরা দেখতে পাবে, নবিজি (সা) কত সহজসরলভাবে জীবনযাপন করতেন।” এটা ছিল ৮০-৯০ হিজরি সালের ঘটনা। লক্ষ করুন, মাত্র এক শতাব্দীরও কম সময়ের মধ্যেই মুসলিমদের মধ্যে বিলাসিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী যুগের সাহাবিরা আগের যুগের সাহাবিদের চেয়ে অনেক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছেন। তবে আয়েশার (রা) বাড়ি ছাড়া অন্য সব ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলার পেছনে আল-ওয়ালিদের কিছু যুক্তিও ছিল।

 

আনুষঙ্গিক বিষয়: বিভিন্ন খেলাফতের সময় মসজিদুল নববির সম্প্রসারণ | মদিনা যুগের সূচনা | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

 

মসজিদুন নববির দুটি নেয়ামত

মসজিদুন নববির নেয়ামত সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।

 ১) মসজিদুন নববিতে এক রাকাত নামাজ অন্য কোথাও এক হাজার রাকাত নামাজের সমান।

 ২) নবিজি (সা) বলেছেন, “আমার বাড়ি ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী রয়েছে ‘রিয়াদুল জান্নাহ’ (জান্নাতের একটি উদ্যান)।” এ নিয়ে পণ্ডিতদের বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ওই স্থানটুকু জান্নাতে  স্থানান্তরিত করা হবে। অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুসারে, ওই স্থানে আল্লাহর ইবাদত করলে তা আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। এই মতটিই বেশি গ্রহণযোগ্য)। লক্ষ করুন, নামাজের জন্য এক হাজার গুণ বেশি পুরস্কার পুরো মসজিদের জন্য, শুধু রিয়াদুল জান্নাহর জন্য নয়। অন্যান্য ইবাদতের (যেমন: জিকর, দোয়া ইত্যাদি) জন্য রিয়াদুল জান্নাহ অনেক বেশি নেয়ামতপূর্ণ ।

আরও পড়ূনঃ

Leave a Comment