সুরা আল হাজ্জ্ব (আরবি: سورة الحج, “তীর্থযাত্রা, হজ্জ”) কুরআনের ২২তম সূরা। এই সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৭৮। সুরাটি মূলত মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্ম হাজ্জ্ব এবং হাজ্জ্ব সংক্রান্ত দিকটি বেশি উম্মচিত হয়েছে।
সূরা হাজ্জ্ব
সূরা হাজ্জ্ব
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০১)
হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।
O mankind! Fear your Lord and be dutiful to Him! Verily, the earthquake of the Hour (of Judgement) is a terrible thing.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ
Ya ayyuha alnnasu ittaqoo rabbakum inna zalzalata alssaAAati shay-on AAatheemun
YUSUFALI: O mankind! fear your Lord! for the convulsion of the Hour (of Judgment) will be a thing terrible!
PICKTHAL: O mankind! Fear your Lord. Lo! the earthquake of the Hour (of Doom) is a tremendous thing.
SHAKIR: O people! guard against (the punishment from) your Lord; surely the violence of the hour is a grievous thing.
KHALIFA: O people, you shall reverence your Lord, for the quaking of the Hour is something horrendous.
০১। হে মানবকূল ! তোমার প্রভুকে ভয় কর। [ কেয়ামতের ] প্রচন্ড আন্দোলন হবে এক ভয়ংকর ব্যাপার ২৭৭০।
২৭৭০। কেয়ামতের প্রকম্পনের ভয়াবহতার উল্লেখের মাধ্যমে আল্লাহ্র আদেশ অমান্যকারীদের সাবধান করা হয়েছে। কেয়ামত তাদের জন্যই ভয়াবহ যারা আল্লাহ্র আদেশের বিরুদ্ধে বলে এবং বিদ্রোহ করে। অপর পক্ষে যারা পূণ্যাত্মা তাদের জন্য কেয়ামত দিবস ভয়াবহ নয়, বরং তারা ফেরেশতাদের দ্বারা স্বাগত সম্ভাষিত হবেন। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১০৩ ]।
=========================
সূরা হাজ্জ বা তীর্থযাত্রা – ২২
৭৮ আয়াত, ১০ রুকু, মাদানী
[ দয়াময় , পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে।]
ভূমিকা : এখান থেকে শুরু হচ্ছে চারটি নূতন সিরিজের সূরা। পূর্ববর্তী পাঁচটি সূরা যে ভাবে বিভিন্ন নবী রসুলদের সত্যকে প্রচার ও প্রসারের বিভিন্ন চেষ্টা এবং পাপকে জয় করার বর্ণনা আছে ঠিক একই ভাবে এই নূতন সিরিজের সূরাগুলিতে বর্ণনা আছে ধর্মীয় অগ্রগতির উপরে পরিবেশ ও পদ্ধতির প্রভাব। দেখুন সূরা ১৮ এর ভূমিকা।
এই সূরার বিষয়বস্তুতে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে পবিত্র কাবাগৃহ, হজ্জ্ব, কোরবাণী, আক্রান্ত হলে সত্যকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা এবং যুদ্ধ করা এবং অন্যান্য নিঃস্বার্থ কর্ম যা মিথ্যাকে দূরীভূত করে।
এই সূরার সময়কাল সম্বন্ধে মতবিরোধ আছে। সম্ভবতঃ এর কিছু অংশ মক্কাতে এবং কিছু অংশ মদীনাতে অবতীর্ণ হয়, সে যাই হোক তার সাথে সূরাটির বক্তব্যের কোনও সম্পর্ক নাই।
সারসংক্ষেপ : আধ্যাত্মিক জীবনের ভবিষ্যত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যের জন্য সাহায্য এবং পাপের জন্য শাস্তি – ঈমানের দৃঢ়তার জন্য প্রয়োজনীয়। [ ২২: ১ – ২৫ ]
পবিত্রতা , প্রার্থনা , বিনয়, এবং ঈমানের প্রতীকার্থে প্রকাশ হচ্ছে হজ্জ্ব। পবিত্র কোরবাণী আমাদের কৃতজ্ঞতার এবং আল্লাহ্র প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা, এবং গরীবের মাঝে মাংস বিতরণের মাধ্যমে তাদের সাথে অংশীদারিত্বের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটে। সত্য যখন আক্রান্ত হয়, তখন তা রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং যুদ্ধ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ। [ ২২ : ২৬ – ৪৮ ]
মন্দ বা অসৎ আল্লাহ্র নবীর কাজে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু তাঁর কাজ সাফল্য লাভ করবেই এবং আল্লাহ্র সত্য ও করুণা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবেই। সুতারাং বিনয়ের সাথে আল্লাহ্র সেবা কর এবং আল্লাহ্ তোমাদের রক্ষা করবেন ও সাহায্য করবেন। [ ২২ : ৪৯ – ৭৮ ]
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০২)
যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন।
The Day you shall see it, every nursing mother will forget her nursling, and every pregnant one will drop her load, and you shall see mankind as in a drunken state, yet they will not be drunken, but severe will be the Torment of Allâh.
يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُم بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ
Yawma tarawnaha tathhalu kullu murdiAAatin AAamma ardaAAat watadaAAu kullu thati hamlin hamlaha watara alnnasa sukara wama hum bisukara walakinna AAathaba Allahi shadeedun
YUSUFALI: The Day ye shall see it, every mother giving suck shall forget her suckling-babe, and every pregnant female shall drop her load (unformed): thou shalt see mankind as in a drunken riot, yet not drunk: but dreadful will be the Wrath of Allah.
PICKTHAL: On the day when ye behold it, every nursing mother will forget her nursling and every pregnant one will be delivered of her burden, and thou (Muhammad) wilt see mankind as drunken, yet they will not be drunken, but the Doom of Allah will be strong (upon them).
SHAKIR: On the day when you shall see it, every woman giving suck shall quit in confusion what she suckled, and every pregnant woman shall lay down her burden, and you shall see men intoxicated, and they shall not be intoxicated but the chastisement of Allah will be severe.
KHALIFA: The day you witness it, even a nursing mother will discard her infant, and a pregnant woman will abort her fetus. You will see the people staggering, as if they are intoxicated, even though they are not intoxicated. This is because GOD’s retribution is so awesome.
০২। সেদিন তোমরা দেখবে প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী মাতা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুর কথা ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী মাতা তার গর্ভপাত করে ফেলবে। মানবকূলকে দেখবে নেশাগ্রস্থের ন্যায়, যদিও তারা নেশাগ্রস্থ নয়। বস্তুতঃ আল্লাহ্র ক্রোধ হবে ভয়াবহ ২৭৭১।
২৭৭১। কেয়ামতের দিনের ভয়াবহতা উপস্থাপন করার জন্য তিনটি উপমার ব্যবহার করা হয়েছে এই আয়াতে : ১) এই পৃথিবীতে আমরা দেখি কোনও মা -ই শত বিপদেও তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পরিত্যাগ করবে না। কিন্তু কেয়ামত দিনের ভয়াবহতায় ” মা ” তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পরিত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করবে না। ২) সন্তান সম্ভবা মাতা গর্ব ও আশার সাথে সন্তান ধারণ করে, এবং অপেক্ষা করে নবজাতকের আগমনের। কিন্তু কেয়ামতের ভয়াবহতায় গর্ভপাত ঘটে যাবে। ৩) স্বভাবতঃ সাধারণ অবস্থায় মানুষ থাকে দৃঢ় আত্ম মর্যদাপূর্ণ। কিন্তু মাতাল হলে তাঁর এই আত্মমর্যদাপূর্ণ অবস্থার অন্তর্ধান ঘটে। কেয়ামত দিবসে কোনও মাদক ব্যতীতই মানুষ মাতালের ন্যায় ব্যবহার করবে। সে তার আত্মমর্যদা হারাবে।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৩)
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পêেক বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।
And among mankind is he who disputes concerning Allâh, without knowledge, and follows every rebellious (disobedient to Allâh) Shaitân (devil) (devoid of each and every kind of good).
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ
Wamina alnnasi man yujadilu fee Allahi bighayri AAilmin wayattabiAAu kulla shaytanin mareedin
YUSUFALI: And yet among men there are such as dispute about Allah, without knowledge, and follow every evil one obstinate in rebellion!
PICKTHAL: Among mankind is he who disputeth concerning Allah without knowledge, and followeth each froward devil;
SHAKIR: And among men there is he who disputes about Allah without knowledge and follows every rebellious Shaitan;
KHALIFA: Among the people, there are those who argue about GOD without knowledge, and follow every rebellious devil.
০৩। তথাপি মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা না জেনেই আল্লাহ্র সম্বন্ধে তর্ক করে এবং [ তারা ] অবাধ্য ও বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করে।
০৪। তাদের সম্বন্ধে এই আইন করা হয়েছে যে, যারাই [ মন্দদের সাথে ] বন্ধুত্ব কামনা করবে, তাকেই সে পথভ্রষ্ট করবে। এবং তাকে পরিচালিত করবে প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে ২৭৭২।
২৭৭২। এত সাবধান বাণী সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে এমন নির্বোধ আছে যারা আল্লাহ্র বিরোধিতা করে, সেই আল্লাহ্ , যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং দয়া , করুণা ও ভালোবাসার সাথে তাদের প্রতিপালন করেন। এ সব লোক আল্লাহ্র আইন অমান্যকারী এবং অপরাধী – কারণ তারা শয়তানের বন্ধুত্বের প্রয়াসী। আর আল্লাহ্ এখানে বলছেন যে, তিনি তাঁর অমোঘ নিয়ম চালু করেছেন যে যারা শয়তানের বন্ধুত্ব কামনা করবে শয়তান তাদের দোযখের পথে পরিচালিত করবেই।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৪)
শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।
For him (the devil) it is decreed that whosoever follows him, he will mislead him, and will drive him to the torment of the Fire. [Tafsir At-Tabarî]
كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
Kutiba AAalayhi annahu man tawallahu faannahu yudilluhu wayahdeehi ila AAathabi alssaAAeeri
YUSUFALI: About the (Evil One) it is decreed that whoever turns to him for friendship, him will he lead astray, and he will guide him to the Penalty of the Fire.
PICKTHAL: For him it is decreed that whoso taketh him for friend, he verily will mislead him and will guide him to the punishment of the Flame.
SHAKIR: Against him it is written down that whoever takes him for a friend, he shall lead him astray and conduct him to the chastisement of the burning fire.
KHALIFA: It is decreed that anyone who allies himself with him, he will mislead him and guide him to the agony of Hell.
০৩। তথাপি মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা না জেনেই আল্লাহ্র সম্বন্ধে তর্ক করে এবং [ তারা ] অবাধ্য ও বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করে।
০৪। তাদের সম্বন্ধে এই আইন করা হয়েছে যে, যারাই [ মন্দদের সাথে ] বন্ধুত্ব কামনা করবে, তাকেই সে পথভ্রষ্ট করবে। এবং তাকে পরিচালিত করবে প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে ২৭৭২।
২৭৭২। এত সাবধান বাণী সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে এমন নির্বোধ আছে যারা আল্লাহ্র বিরোধিতা করে, সেই আল্লাহ্ , যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং দয়া , করুণা ও ভালোবাসার সাথে তাদের প্রতিপালন করেন। এ সব লোক আল্লাহ্র আইন অমান্যকারী এবং অপরাধী – কারণ তারা শয়তানের বন্ধুত্বের প্রয়াসী। আর আল্লাহ্ এখানে বলছেন যে, তিনি তাঁর অমোঘ নিয়ম চালু করেছেন যে যারা শয়তানের বন্ধুত্ব কামনা করবে শয়তান তাদের দোযখের পথে পরিচালিত করবেই।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৬)
এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
That is because Allâh, He is the Truth, and it is He Who gives life to the dead, and it is He Who is Able to do all things.
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
Thalika bi-anna Allaha huwa alhaqqu waannahu yuhyee almawta waannahu AAala kulli shay-in qadeerun
YUSUFALI: This is so, because Allah is the Reality: it is He Who gives life to the dead, and it is He Who has power over all things.
PICKTHAL: That is because Allah, He is the Truth and because He quickeneth the dead, and because He is Able to do all things;
SHAKIR: This is because Allah is the Truth and because He gives life to the dead and because He has power over all things
KHALIFA: This proves that GOD is the Truth, and that He revives the dead, and that He is Omnipotent.
০৬। ইহা এরূপেই [ হয় ], কারণ আল্লাহ্ [ একমাত্র ] সত্য। তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং সব কিছুর উপরে তাঁর ক্ষমতা বিদ্যমান ২৭৭৮।
২৭৭৮। বিশ্ব- প্রকৃতির মাঝে জীবনের সমারোহ, জীবনের রহস্য আমাদের এক অমোঘ সত্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আর তা হচ্ছে বিশ্ব-প্রকৃতির স্রষ্টা একজনই। একদিন সবই ধ্বংস হয়ে যাবে, শুধু রয়ে যাবে আল্লাহ্র অস্তিত্ব। তিনি আদি ও তিনিই অন্ত এবং তিনি অবিনশ্বর।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৭)
এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।
And surely, the Hour is coming, there is no doubt about it, and certainly, Allâh will resurrect those who are in the graves.
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ
Waanna alssaAAata atiyatun la rayba feeha waanna Allaha yabAAathu man fee alquboori
YUSUFALI: And verily the Hour will come: there can be no doubt about it, or about (the fact) that Allah will raise up all who are in the graves.
PICKTHAL: And because the Hour will come, there is no doubt thereof; and because Allah will raise those who are in the graves.
SHAKIR: And because the hour is coming, there is no doubt about it; and because Allah shall raise up those who are in the graves.
KHALIFA: And that the Hour is coming, no doubt about it, and that GOD resurrects those who are in the graves.
০৭। এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই যে, কিয়ামত অবশ্যই আসবে, অথবা যারা কবরে আছে তাদের সকলকে আল্লাহ্ উত্থিত করবেন।
০৮। তথাপি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কোন জ্ঞান নাই , কোন পথ নির্দ্দেশ নাই, কোন দীপ্তিমান কিতাব নাই, কিন্তু [ তা সত্ত্বেও ] তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বির্তক করে ২৭৭৯;-
২৭৭৯। ‘দীপ্তিমান কিতাব ‘। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮৪ ] এবং টিকা ৪৯০। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে জ্ঞান শব্দটি পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে , বুদ্ধির ব্যবহারের মাধ্যমে যে জাগতিক জ্ঞান লাভ করে তাকেই জ্ঞান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ‘পথ নির্দ্দেশ ‘ শব্দটি দ্বারা স্বর্গীয় হেদায়েতকে বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহ্র তরফ থেকে সরাসরি আগত অথবা তার নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, অথবা স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ যা ওহীর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, এবং “Book of Enlightenment” বা “দীপ্তিমান কিতাব অর্থ নৈতিক মূল্যবোধ পরিচালনার ভিত্তিস্বরূপ যে কিতাব।
সৎ চরিত্রের ভিত্তি স্বরূপ যে নৈতিক মালা , যার অনুসরণে মানুষ পবিত্র ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হয় তা যে গ্রন্থ ধারণ করে। দীপ্তিমান কিতাব হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। আর এই স্বর্গীয় পথের নিশানাকে যিনি দেখিয়ে দেন বা নির্দ্দেশ করেন বা চিনিয়ে দেন সেই সব আল্লাহ্র নবী ও রাসুলেরা হচ্ছে “পথ নির্দ্দেশ।” কোর-আনকে দীপ্তিমান কিতাব বলা হয় কারণ এই সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধন করে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা।
কোর-আনের মূল নির্দ্দেশ হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার উপায় সমূহ , যার মাধ্যমে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। পাপে নিমজ্জিত আত্মা আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে বঞ্চিত হয়। যে আত্মা গুণান্বিত ও আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে ধন্য সেই তো আলোকিত আত্মা। সেদিক থেকে ” দীপ্তিমান কিতাব ” কথাটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৮)
কতক মানুষ জ্ঞান; প্রমাণ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে।
And among men is he who disputes about Allâh, without knowledge or guidance, or a Book giving light (from Allâh),
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
Wamina alnnasi man yujadilu fee Allahi bighayri AAilmin wala hudan wala kitabin muneerin
YUSUFALI: Yet there is among men such a one as disputes about Allah, without Knowledge, without Guidance, and without a Book of Enlightenment,-
PICKTHAL: And among mankind is he who disputeth concerning Allah without knowledge or guidance or a scripture giving light,
SHAKIR: And among men there is he who disputes about Allah without knowledge and without guidance and without an illuminating book,
KHALIFA: Among the people there is the one who argues about GOD without knowledge, and without guidance, and without an enlightening scripture.
০৭। এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই যে, কিয়ামত অবশ্যই আসবে, অথবা যারা কবরে আছে তাদের সকলকে আল্লাহ্ উত্থিত করবেন।
০৮। তথাপি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কোন জ্ঞান নাই , কোন পথ নির্দ্দেশ নাই, কোন দীপ্তিমান কিতাব নাই, কিন্তু [ তা সত্ত্বেও ] তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বির্তক করে ২৭৭৯;-
২৭৭৯। ‘দীপ্তিমান কিতাব ‘। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮৪ ] এবং টিকা ৪৯০। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে জ্ঞান শব্দটি পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে , বুদ্ধির ব্যবহারের মাধ্যমে যে জাগতিক জ্ঞান লাভ করে তাকেই জ্ঞান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ‘পথ নির্দ্দেশ ‘ শব্দটি দ্বারা স্বর্গীয় হেদায়েতকে বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহ্র তরফ থেকে সরাসরি আগত অথবা তার নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, অথবা স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ যা ওহীর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, এবং “Book of Enlightenment” বা “দীপ্তিমান কিতাব অর্থ নৈতিক মূল্যবোধ পরিচালনার ভিত্তিস্বরূপ যে কিতাব।
সৎ চরিত্রের ভিত্তি স্বরূপ যে নৈতিক মালা , যার অনুসরণে মানুষ পবিত্র ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হয় তা যে গ্রন্থ ধারণ করে। দীপ্তিমান কিতাব হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। আর এই স্বর্গীয় পথের নিশানাকে যিনি দেখিয়ে দেন বা নির্দ্দেশ করেন বা চিনিয়ে দেন সেই সব আল্লাহ্র নবী ও রাসুলেরা হচ্ছে “পথ নির্দ্দেশ।” কোর-আনকে দীপ্তিমান কিতাব বলা হয় কারণ এই সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধন করে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা।
কোর-আনের মূল নির্দ্দেশ হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার উপায় সমূহ , যার মাধ্যমে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। পাপে নিমজ্জিত আত্মা আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে বঞ্চিত হয়। যে আত্মা গুণান্বিত ও আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে ধন্য সেই তো আলোকিত আত্মা। সেদিক থেকে ” দীপ্তিমান কিতাব ” কথাটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ০৯)
সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।
Bending his neck in pride (far astray from the Path of Allâh), and leading (others) too (far) astray from the Path of Allâh. For him there is disgrace in this worldly life, and on the Day of Resurrection We shall make him taste the torment of burning (Fire).
ثَانِيَ عِطْفِهِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَنُذِيقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَذَابَ الْحَرِيقِ
Thaniya AAitfihi liyudilla AAan sabeeli Allahi lahu fee alddunya khizyun wanutheequhu yawma alqiyamati AAathaba alhareeqi
YUSUFALI: (Disdainfully) bending his side, in order to lead (men) astray from the Path of Allah: for him there is disgrace in this life, and on the Day of Judgment We shall make him taste the Penalty of burning (Fire).
PICKTHAL: Turning away in pride to beguile (men) from the way of Allah. For him in this world is ignominy, and on the Day of Resurrection We make him taste the doom of burning.
SHAKIR: Turning away haughtily that he may lead (others) astray from the way of Allah; for him is disgrace in this world, and on the day of resurrection We will make him taste the punishment of burning:
KHALIFA: Arrogantly he strives to divert the people from the path of GOD. He thus incurs humiliation in this life, and we commit him on the Day of Resurrection to the agony of burning.
০৯। [ অবজ্ঞাভরে ] ঘাড় বাঁকিয়ে, যেনো [ লোকদের ] আল্লাহ্র পথ থেকে বিপথে চালিত করতে পারে। ইহজীবনে তাদের জন্য আছে অসম্মান এবং শেষ বিচারের দিনে আমি তাদের জ্বলন্ত [ আগুনের ] স্বাদ আস্বাদ করাব ২৭৮০।
২৭৮০। অনেক তফসীরকারের মতে আয়াতটি আবু জহলের প্রতি প্রযোজ্য। কিন্তু এই আয়াতের বক্তব্য সার্বজনীন। সকল যুগেই আবু জহলের মত লোক সমাজে বিদ্যমান। আয়াত [ ২২ : ৩ ] এর বক্তব্য একই, এক্ষেত্রে আয়াতটির নাজেল হওয়া সম্বন্ধে বলা হয় যে, তা Nadhar ibn Harith এর জন্য প্রযোজ্য ছিলো। তবে এর আবেদন সার্বজনীন যুগ কাল অতিক্রান্ত।
সূরা হাজ্জ্ব (আয়াত ১০)
এটা তোমার দুই হাতের কর্মের কারণে, আল্লাহ বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।
That is because of what your hands have sent forth, and verily, Allâh is not unjust to (His) slaves.
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ يَدَاكَ وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيدِ
Thalika bima qaddamat yadaka waanna Allaha laysa bithallamin lilAAabeedi
YUSUFALI: (It will be said): “This is because of the deeds which thy hands sent forth, for verily Allah is not unjust to His servants.
PICKTHAL: (And unto him it will be said): This is for that which thy two hands have sent before, and because Allah is no oppressor of His slaves.
SHAKIR: This is due to what your two hands have sent before, and because Allah is not in the least unjust to the servants.
KHALIFA: This is what your hands have sent ahead for you. GOD is never unjust towards the people.
১০। [ বলা হবে ] : তোমাদের হাত [ যে কর্ম ] পূর্বে প্রেরণ করেছে এটা তারই জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার বান্দাদের প্রতি অন্যায় করেন না ২৭৮১।
২৭৮১। প্রত্যেককে প্রত্যেকের কর্মফল ভোগ করতে হয়। ভালো কাজের শেষ পরিণত ভালো এবং মন্দ কাজের শেষ পরিণতি মন্দ। এই আল্লাহ্র আইন। বিশ্ব বিধাতার সর্ব চরাচরে এই আইন বিদ্যমান। আল্লাহ্ ন্যায় বিচারক। তিনি তাঁর সৃষ্টির প্রতি সামান্যতমও অবিচার করেন না।