সূরা আম্বিয়া পার্ট-৪ [অনেক নবীর কথা বর্ণনা রয়েছে ] সূরা ২১। কুরআন ।

সূরা আম্বিয়া পার্ট-৪ (আরবি: سورة الأنبياء‎‎ “নবীগণ”) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের একুশতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১২ টি।

সূরা আম্বিয়া পার্ট-৪

সূরা আম্বিয়া পার্ট-৪

সূরা আম্বিয়া

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬২)

তারা বললঃ হে ইব্রাহীম তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?
They said: ”Are you the one who has done this to our gods, O Ibrâhim (Abraham)?”

قَالُوا أَأَنتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَا إِبْرَاهِيمُ
Qaloo aanta faAAalta hatha bi-alihatina ya ibraheemu

YUSUFALI: They said, “Art thou the one that did this with our gods, O Abraham?”
PICKTHAL: They said: Is it thou who hast done this to our gods, O Abraham?

SHAKIR: They said: Have you done this to our gods, O Ibrahim?
KHALIFA: They said, “Did you do this to our gods, O Abraham?”

৬১। তারা বলেছিলো, ” তাহলে , তাকে লোক সম্মুখে উপস্থিত কর, যাতে তারা সাক্ষী থাকতে পারে।”

৬২। তারা বলেছিলো , ” হে ইব্রাহিম! তুমিই কি আমাদের দেবতাগুলির এই অবস্থা করেছ ? ” ২৭২০

২৭২০। মন্ত্রণা সভার সামনে ইব্রাহীমকে উপস্থিত করা হয় এবং তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়। মূর্তি ভাঙ্গার ব্যাপারে কোনও গোপনীয়তা ছিলো না কারণ হযরত ইব্রাহীম প্রকাশ্যে প্রতীমা গুলির সম্বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। সুতারাং যারা তা শুনেছিলো তারা জনতার মাঝে ছিলো এবং তারাই সাক্ষ্য দিয়েছিলো। এবারে হযরত ইব্রাহীম তাদের ব্যঙ্গ করে বললেন যে, ” তোমরা আমাকে জিজ্ঞাসা কর কেন ?

তোমাদের পাথরের প্রতীমাগুলিকে জিজ্ঞাসা কর না কেন ? এ কথা কি মনে হচ্ছে না যে ,এই বড় প্রতিমাটিই ঝগড়া করে ছোটগুলিকে ভেঙ্গে ফেলেছে ? যদি তারা তাদের উপাস্য প্রতীমাকে জিজ্ঞাসা না করে ,তাহলে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, প্রতীমাগুলির কথা বলার মত বুদ্ধিমত্তা বা ক্ষমতা নাই।” অবশ্য এই যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে আয়াতে [ ২১ : ৬৪ – ৬৭ ]।

লক্ষণীয় হচ্ছে যে, কাফেররা যখন তাঁর আল্লাহ্‌র প্রতি একাগ্রতা ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করেছিলো , তাঁর প্রতিউত্তরে তিনি দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন – যা তাঁর সত্যকে প্রচার ও প্রসারে সাহায্য করে।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৩)

তিনি বললেনঃ না এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা কথা বলতে পারে।

[Ibrâhim (Abraham)] said: ”Nay, this one, the biggest of them (idols) did it. Ask them, if they can speak!”

قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا فَاسْأَلُوهُمْ إِن كَانُوا يَنطِقُونَ

Qala bal faAAalahu kabeeruhum hatha fais-aloohum in kanoo yantiqoona

YUSUFALI: He said: “Nay, this was done by – this is their biggest one! ask them, if they can speak intelligently!”

PICKTHAL: He said: But this, their chief hath done it. So question them, if they can speak.

SHAKIR: He said: Surely (some doer) has done it; the chief of them is this, therefore ask them, if they can speak.

KHALIFA: He said, “It is that big one who did it. Go ask them, if they can speak.”

৬৩। সে বলেছিলো, ” বরং এদের প্রধান যে সে – ই এ কাজ করেছে। ওদের জিজ্ঞাসা কর, যদি তারা বুদ্ধিমানের মত উত্তর দিতে পারে।”

৬৪। সুতারাং তারা পরস্পরের দিকে ফিরে বললো, ” সত্যিই তো তোমরাই তো ভুল করেছ ” ২৭২১

২৭২১। ইব্রাহীমের নিষ্ঠুর ব্যঙ্গ বিদ্রূপ তাদের অন্তরে বিদ্ধ হতে থাকলো। এই বিদ্রূপের উত্তর তো তাদের জানা নাই। তাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা হলো যে, ইব্রাহীমের যুক্তির সারবত্তা আছে, সুতারাং তারা বললো যে, ইব্রাহীমের সাথে যুক্তি তর্ক করা বৃথা। দোষ তোমাদেরই , তোমরা মূর্তিগুলিকে অরক্ষিত অবস্থায় রেখেছ। সুতারাং তোমরাই তো সীমালংঘণকারী।

লজ্জায় তাদের মস্তক অবনত হয়ে গেলো [২১ : ৬৫ ] এবং তারা ইব্রাহীমের ব্যঙ্গকে আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করে তার প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল। তারা বললো যে, ” তুমি তো জান প্রতীমারা কথা বলতে অক্ষম।” আর ঠিক এই উত্তরটাই হযরত ইব্রাহীম আশা করেছিলেন প্রতিমা পূজারীদের নিকট থেকে এর পরেই তিনি তার মূল আঘাতটি হানেন প্রতিমা পূজারীদের উপরে, দেখুন টিকা ২৭২৩ ও আয়াত [ ২১ : ৬৬ – ৬৭ ]।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৪)

অতঃপর মনে মনে চিন্তা করল এবং বললঃ লোক সকল; তোমরাই বে ইনসাফ।
So they turned to themselves and said: ”Verily, you are the Zâlimûn (polytheists and wrong-doers).”

فَرَجَعُوا إِلَى أَنفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنتُمُ الظَّالِمُونَ
FarajaAAoo ila anfusihim faqaloo innakum antumu alththalimoona

YUSUFALI: So they turned to themselves and said, “Surely ye are the ones in the wrong!”
PICKTHAL: Then gathered they apart and said: Lo! ye yourselves are the wrong-doers.

SHAKIR: Then they turned to themselves and said: Surely you yourselves are the unjust;
KHALIFA: They were taken aback, and said to themselves, “Indeed, you are the ones who have been transgressing.”

৬৩। সে বলেছিলো, ” বরং এদের প্রধান যে সে – ই এ কাজ করেছে। ওদের জিজ্ঞাসা কর, যদি তারা বুদ্ধিমানের মত উত্তর দিতে পারে।”

৬৪। সুতারাং তারা পরস্পরের দিকে ফিরে বললো, ” সত্যিই তো তোমরাই তো ভুল করেছ ” ২৭২১

২৭২১। ইব্রাহীমের নিষ্ঠুর ব্যঙ্গ বিদ্রূপ তাদের অন্তরে বিদ্ধ হতে থাকলো। এই বিদ্রূপের উত্তর তো তাদের জানা নাই। তাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা হলো যে, ইব্রাহীমের যুক্তির সারবত্তা আছে, সুতারাং তারা বললো যে, ইব্রাহীমের সাথে যুক্তি তর্ক করা বৃথা। দোষ তোমাদেরই , তোমরা মূর্তিগুলিকে অরক্ষিত অবস্থায় রেখেছ। সুতারাং তোমরাই তো সীমালংঘণকারী।

লজ্জায় তাদের মস্তক অবনত হয়ে গেলো [২১ : ৬৫ ] এবং তারা ইব্রাহীমের ব্যঙ্গকে আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করে তার প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল। তারা বললো যে, ” তুমি তো জান প্রতীমারা কথা বলতে অক্ষম।” আর ঠিক এই উত্তরটাই হযরত ইব্রাহীম আশা করেছিলেন প্রতিমা পূজারীদের নিকট থেকে এর পরেই তিনি তার মূল আঘাতটি হানেন প্রতিমা পূজারীদের উপরে, দেখুন টিকা ২৭২৩ ও আয়াত [ ২১ : ৬৬ – ৬৭ ]।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৫)

অতঃপর তারা ঝুঁকে গেল মস্তক নত করে, তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না

Then they turned to themselves (their first thought and said): ”Indeed you [Ibrâhim (Abraham)] know well that these (idols) speak not!”

ثُمَّ نُكِسُوا عَلَى رُؤُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَؤُلَاء يَنطِقُونَ

Thumma nukisoo AAala ruoosihim laqad AAalimta ma haola-i yantiqoona

YUSUFALI: Then were they confounded with shame: (they said), “Thou knowest full well that these (idols) do not speak!”
PICKTHAL: And they were utterly confounded, and they said: Well thou knowest that these speak not.

SHAKIR: Then they were made to hang down their heads: Certainly you know that they do not speak.
KHALIFA: Yet, they reverted to their old ideas: “You know full well that these cannot speak.”

৬৫। ফলে লজ্জ্বায় তারা অপ্রতিভ হয়ে [ বললো ] , ” তুমি তো ভালো করেই জানো এই [ মূর্তিগুলো ] কথা বলে না।” ২৭২২

২৭২২। তারা লজ্জায় মাথা নত করেছিলো আক্ষরিক ভাবে অর্থ তাই দাড়ায়। তবে সে লজ্জা মূর্তি পূজার জন্য নয়। তারা যে ইব্রাহীমের কাছে যুক্তি তর্কে পরাভূত হয়েছে এই লজ্জায়। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে এই আয়াতটির ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকেন।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৬)

তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ?

[Ibrâhim (Abraham)] said: ”Do you then worship besides Allâh, things that can neither profit you, nor harm you?

قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ

Qala afataAAbudoona min dooni Allahi ma la yanfaAAukum shay-an wala yadurrukum

YUSUFALI: (Abraham) said, “Do ye then worship, besides Allah, things that can neither be of any good to you nor do you harm?

PICKTHAL: He said: Worship ye then instead of Allah that which cannot profit you at all, nor harm you?

SHAKIR: He said: What! do you then serve besides Allah what brings you not any benefit at all, nor does it harm you?

KHALIFA: He said, “Do you then worship beside GOD what possesses no power to benefit you or harm you?

৬৬। [ ইব্রাহিম ] বলেছিলো , ” তবে কি তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর যা তোমাদের কোন উপকার বা ক্ষতি [ কিছুই ] করতে পারে না?

৬৭। ” ধিক্‌ তোমাদের এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদের এবাদত কর তাদের, তোমাদের কি কোন বিচারশক্তি নাই ? ” ২৭২৩

২৭২৩। যখন প্রতিমা পূজারীরা স্বীকার করলো যে প্রতিমারা কথা বলতে অক্ষম , তখনই মিথ্যা আরধ্যের উপাসকদের সত্যের আলোতে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি তার শেষ চেষ্টা করেন। “ধিক্‌ তোমাদের এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদের এবাদত কর তাদের ”

এই বক্তব্যের পরে অপরপক্ষের কোন সদুত্তরই থাকতে পারে না সন্ত্রাস ব্যতীত। যুক্তি তর্কে হেরে যেয়ে তারা গায়ের জোরে জয়লাভের পন্থা হিসেবে গ্রহণ করে। ইব্রাহীমের সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের প্রতি উত্তর ছিলো , ” তাকে পোড়াও।” কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী কাজ ইব্রাহীমের কোনও ক্ষতিই করতে পারে নাই [ ২১ : ৭০ ]। ক্ষতি হয়েছিলো যারা সন্ত্রাসী করেছিলো তাদের।

উপদেশ : বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আয়াতটির গুরুত্ব অসীম। মন্দ বা খারাপ যারা তারা কখনও সত্য বা ভালোকে সহ্য করতে পারবে না। তারা সর্বদা সন্ত্রাস দ্বারা ভালোকে দমন করতে প্রয়াস পাবে। হযরত ইব্রাহীমের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন , যা যুগে যুগে প্রযোজ্য ছিলো এবং এখনও প্রযোজ্য।

সূরা আম্বিয়াসূরা আম্বিয়া

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৭)

ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে। তোমরা কি বোঝ না?
”Fie upon you, and upon that which you worship besides Allâh! Have you then no sense?”

أُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
Offin lakum walima taAAbudoona min dooni Allahi afala taAAqiloona

YUSUFALI: “Fie upon you, and upon the things that ye worship besides Allah! Have ye no sense?”..
PICKTHAL: Fie on you and all that ye worship instead of Allah! Have ye then no sense?

SHAKIR: Fie on you and on what you serve besides Allah; what! do you not then understand?
KHALIFA: “You have incurred shame by worshiping idols beside GOD. Do you not understand?”

৬৬। [ ইব্রাহিম ] বলেছিলো , ” তবে কি তোমরা আল্লাহ্‌র পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর যা তোমাদের কোন উপকার বা ক্ষতি [ কিছুই ] করতে পারে না?

৬৭। ” ধিক্‌ তোমাদের এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদের এবাদত কর তাদের, তোমাদের কি কোন বিচারশক্তি নাই ? ” ২৭২৩

২৭২৩। যখন প্রতিমা পূজারীরা স্বীকার করলো যে প্রতিমারা কথা বলতে অক্ষম , তখনই মিথ্যা আরধ্যের উপাসকদের সত্যের আলোতে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি তার শেষ চেষ্টা করেন। “ধিক্‌ তোমাদের এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে যাদের এবাদত কর তাদের ” এই বক্তব্যের পরে অপরপক্ষের কোন সদুত্তরই থাকতে পারে না সন্ত্রাস ব্যতীত। যুক্তি তর্কে হেরে যেয়ে তারা গায়ের জোরে জয়লাভের পন্থা হিসেবে গ্রহণ করে।

ইব্রাহীমের সত্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের প্রতি উত্তর ছিলো , ” তাকে পোড়াও।” কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী কাজ ইব্রাহীমের কোনও ক্ষতিই করতে পারে নাই [ ২১ : ৭০ ]। ক্ষতি হয়েছিলো যারা সন্ত্রাসী করেছিলো তাদের।

উপদেশ : বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আয়াতটির গুরুত্ব অসীম। মন্দ বা খারাপ যারা তারা কখনও সত্য বা ভালোকে সহ্য করতে পারবে না। তারা সর্বদা সন্ত্রাস দ্বারা ভালোকে দমন করতে প্রয়াস পাবে। হযরত ইব্রাহীমের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন , যা যুগে যুগে প্রযোজ্য ছিলো এবং এখনও প্রযোজ্য।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৮)

তারা বললঃ একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও।
They said: ”Burn him and help your âliha (gods), if you will be doing.”

قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِن كُنتُمْ فَاعِلِينَ
Qaloo harriqoohu waonsuroo alihatakum in kuntum faAAileena

YUSUFALI: They said, “Burn him and protect your gods, If ye do (anything at all)!”
PICKTHAL: They cried: Burn him and stand by your gods, if ye will be doing.

SHAKIR: They said: Burn him and help your gods, if you are going to do (anything).
KHALIFA: They said, “Burn him and support your gods, if this is what you decide to do.”

৬৮। তারা বলেছিলো, ” তাকে পোড়াও এবং যদি তোমরা [ প্রকৃতই কিছু ] করতে চাও, তবে তোমাদের দেবতাদের রক্ষা কর। ”

৬৯। আমি বললাম, ” হে আগুন ২৭২৪। তুমি ইব্রাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপত্তার [ কারণ ] হয়ে যাও” ২৭২৫।

২৭২৪। আগুনের ধর্মই হচ্ছে উত্তপ্ত হয়ে কোনও জিনিষকে পুড়িয়ে ফেলা। আল্লাহ্‌র হুকুমে সেই আগুন তার ধর্ম হারিয়ে শীতল হয়ে যায়।

২৭২৫। হযরত ইব্রাহীমকে কোথায় আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো এবং কোথায় তাঁর জীবন প্রথম শুরু হয় সে সম্বন্ধে ধারণা করার প্রয়াস হোক। পারস্য উপসাগর থেকে একশত মাইল দূরে ইউফ্রেটিস নদীর নিম্ন অববাহিকায় চালদিসের [ Chaldees ] উর নামক স্থানে হযরত ইব্রাহীম জন্ম গ্রহণ করেন।

এই স্থানটি হচ্ছে প্রাচীন মানব সভ্যতার ক্রোড়ভূমি বা আদি ভূমি। সেই প্রাচীন যুগেই তারা জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শীতা লাভ করে। তারা সূর্য , চন্দ্র এবং তারার পূঁজা করতো ধর্ম হিসেবে। হযরত ইব্রাহীম জীবনের শুরুতেই এই মিথ্যা উপাস্যের বিরোধিতা করেন এবং তাঁর বক্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে সূরা [ ৬ : ৭৪ – ৮২ ] আয়াতে। ইব্রাহীমের সম্প্রদায় মন্দিরে পূঁজা করতো।

সম্ভবতঃ মূর্তিগুলি স্বর্গীয় বস্তুর প্রতীক ছিলো। ইব্রাহীম যখন মূর্তিগুলি ভাঙ্গেন তখন তিনি ছিলেন একজন তরুণ মাত্র [ ২১ : ৬০ ]। এই ঘটনা ছিলো তাঁর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। এই ঘটনার পরে তাঁকে বিদ্রোহী বলে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবতঃ এই ঘটনার পরে কয়েক বৎসর অতিবাহিত হয় এবং তার পরে তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে আগুনে নিক্ষেপ করা হয় [ ২১ : ৬৮ – ৬৯ ]।

ঐতিহ্যগত ভাবে যে রাজা ইব্রাহীমকে আগুনে নিক্ষেপ করেন তাকে নমরূদ নামে অভিহিত করা হয় , যার সম্পর্কে আছে [ ১১ : ৬৯ ] আয়াতের টিকা ১৫৬৫ তে। নমরূদের পরিচয় সম্বন্ধে জানা যায় যে, তার রাজধানী ছিলো নিনেভার [ বর্তমান ইরাকের মসুল নগরীর নিকট ] নিকটবর্তী আসেরিয়াতে [ Assyria ]। যদি তাই হয় তবে তার রাজত্ব সমগ্র মেসোপটেমিয়াতে বিস্তৃত ছিলো।

কারণ হযরত ইব্রাহীমের জন্ম স্থান থেকে আসেরিয়ার দূরত্ব সমগ্র মেসোপটেমিয়ার মালভূমি। অথবা হযরত ইব্রাহীম বেবীলনের মধ্য দিয়ে উত্তরে পরিভ্রমণ করেন নমরূদের রাজধানী আসেরিয়া পর্যন্ত। হযরত ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে শত্রুরা বহু পরিকল্পনা করে [ ২১ : ৭০ ] , কিন্তু আল্লাহ্‌র করুণা সর্বদা তাকে রক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি যখন যৌবন প্রাপ্ত হন, তিনি তাঁর পিতার সাথে সর্ম্পক ছেদ করেন।

এই ঘটনার বর্ণনা আছে আয়াতে [ ১৯ : ৪১ – ৪৮ ]। তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের দেশ ত্যাগ করে বিদেশে যাত্রা করেন। এই যাত্রাতে তিনি সিরিয়ার মরুভূমিকে পবিহার করে, ক্যানানের [ Canaan ] দক্ষিণে আরাম [Aram ] নামক সিরিয়ার উর্বর স্থানে গমন করেন। এখানেই আয়াতের [ ১১ : ৬৯ – ৭৬ ] বর্ণিত ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সম্ভবতঃ এই ঘটনার কয়েক বৎসর পরে তিনি ইসমাঈল সহযোগে কাবা ঘর নির্মাণ করেন [ ২ : ১২৪ -১২৯ ]। এবং এ সময়ে তাঁর প্রার্থনার বিবরণ আছে আয়াতে [ ১৪ : ৩৫ – ৪১ ]। তাঁর মিশরে ভ্রমণের কথা অবশ্য কোরাণে উল্লেখ নাই। এর উল্লেখ আছে [ Gen xii 10] তে।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৬৯)

আমি বললামঃ হে অগ্নি, তুমি ইব্রাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।
We (Allâh) said: ”O fire! Be you coolness and safety for Ibrâhim (Abraham)!”

قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ
Qulna ya naru koonee bardan wasalaman AAala ibraheema

YUSUFALI: We said, “O Fire! be thou cool, and (a means of) safety for Abraham!”
PICKTHAL: We said: O fire, be coolness and peace for Abraham,

SHAKIR: We said: O fire! be a comfort and peace to Ibrahim;
KHALIFA: We said, “O fire, be cool and safe for Abraham.”

৬৮। তারা বলেছিলো, ” তাকে পোড়াও এবং যদি তোমরা [ প্রকৃতই কিছু ] করতে চাও, তবে তোমাদের দেবতাদের রক্ষা কর। ”

৬৯। আমি বললাম, ” হে আগুন ২৭২৪। তুমি ইব্রাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপত্তার [ কারণ ] হয়ে যাও” ২৭২৫।

২৭২৪। আগুনের ধর্মই হচ্ছে উত্তপ্ত হয়ে কোনও জিনিষকে পুড়িয়ে ফেলা। আল্লাহ্‌র হুকুমে সেই আগুন তার ধর্ম হারিয়ে শীতল হয়ে যায়।

২৭২৫। হযরত ইব্রাহীমকে কোথায় আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো এবং কোথায় তাঁর জীবন প্রথম শুরু হয় সে সম্বন্ধে ধারণা করার প্রয়াস হোক। পারস্য উপসাগর থেকে একশত মাইল দূরে ইউফ্রেটিস নদীর নিম্ন অববাহিকায় চালদিসের [ Chaldees ] উর নামক স্থানে হযরত ইব্রাহীম জন্ম গ্রহণ করেন। এই স্থানটি হচ্ছে প্রাচীন মানব সভ্যতার ক্রোড়ভূমি বা আদি ভূমি।

সেই প্রাচীন যুগেই তারা জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শীতা লাভ করে। তারা সূর্য , চন্দ্র এবং তারার পূঁজা করতো ধর্ম হিসেবে। হযরত ইব্রাহীম জীবনের শুরুতেই এই মিথ্যা উপাস্যের বিরোধিতা করেন এবং তাঁর বক্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে সূরা [ ৬ : ৭৪ – ৮২ ] আয়াতে। ইব্রাহীমের সম্প্রদায় মন্দিরে পূঁজা করতো। সম্ভবতঃ মূর্তিগুলি স্বর্গীয় বস্তুর প্রতীক ছিলো।

ইব্রাহীম যখন মূর্তিগুলি ভাঙ্গেন তখন তিনি ছিলেন একজন তরুণ মাত্র [ ২১ : ৬০ ]। এই ঘটনা ছিলো তাঁর জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। এই ঘটনার পরে তাঁকে বিদ্রোহী বলে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবতঃ এই ঘটনার পরে কয়েক বৎসর অতিবাহিত হয় এবং তার পরে তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে আগুনে নিক্ষেপ করা হয় [ ২১ : ৬৮ – ৬৯ ]।

ঐতিহ্যগত ভাবে যে রাজা ইব্রাহীমকে আগুনে নিক্ষেপ করেন তাকে নমরূদ নামে অভিহিত করা হয় , যার সম্পর্কে আছে [ ১১ : ৬৯ ] আয়াতের টিকা ১৫৬৫ তে। নমরূদের পরিচয় সম্বন্ধে জানা যায় যে, তার রাজধানী ছিলো নিনেভার [ বর্তমান ইরাকের মসুল নগরীর নিকট ] নিকটবর্তী আসেরিয়াতে [ Assyria ]।

যদি তাই হয় তবে তার রাজত্ব সমগ্র মেসোপটেমিয়াতে বিস্তৃত ছিলো। কারণ হযরত ইব্রাহীমের জন্ম স্থান থেকে আসেরিয়ার দূরত্ব সমগ্র মেসোপটেমিয়ার মালভূমি। অথবা হযরত ইব্রাহীম বেবীলনের মধ্য দিয়ে উত্তরে পরিভ্রমণ করেন নমরূদের রাজধানী আসেরিয়া পর্যন্ত। হযরত ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে শত্রুরা বহু পরিকল্পনা করে [ ২১ : ৭০ ] , কিন্তু আল্লাহ্‌র করুণা সর্বদা তাকে রক্ষা করেন।

শেষ পর্যন্ত তিনি যখন যৌবন প্রাপ্ত হন, তিনি তাঁর পিতার সাথে সর্ম্পক ছেদ করেন। এই ঘটনার বর্ণনা আছে আয়াতে [ ১৯ : ৪১ – ৪৮ ]। তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের দেশ ত্যাগ করে বিদেশে যাত্রা করেন। এই যাত্রাতে তিনি সিরিয়ার মরুভূমিকে পবিহার করে, ক্যানানের [ Canaan ] দক্ষিণে আরাম [Aram ] নামক সিরিয়ার উর্বর স্থানে গমন করেন। এখানেই আয়াতের [ ১১ : ৬৯ – ৭৬ ] বর্ণিত ঘটনার সূত্রপাত হয়।

সম্ভবতঃ এই ঘটনার কয়েক বৎসর পরে তিনি ইসমাঈল সহযোগে কাবা ঘর নির্মাণ করেন [ ২ : ১২৪ -১২৯ ]। এবং এ সময়ে তাঁর প্রার্থনার বিবরণ আছে আয়াতে [ ১৪ : ৩৫ – ৪১ ]। তাঁর মিশরে ভ্রমণের কথা অবশ্য কোরাণে উল্লেখ নাই। এর উল্লেখ আছে [ Gen xii 10] তে।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭০)

তারা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটতে চাইল, অতঃপর আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম।
And they wanted to harm him, but We made them the worst losers.

وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ
Waaradoo bihi kaydan fajaAAalnahumu al-akhsareena

YUSUFALI: Then they sought a stratagem against him: but We made them the ones that lost most!
PICKTHAL: And they wished to set a snare for him, but We made them the greater losers.

SHAKIR: And they desired a war on him, but We made them the greatest losers.
KHALIFA: Thus, they schemed against him, but we made them the losers.

৭০। অতঃপর তারা তার বিরুদ্ধে প্রতারণা করার ফন্দি করেছিলো। কিন্তু আমি তাদেরই করেছিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ২৭২৬।

২৭২৬। যখন শত্রুরা আগুনে নিক্ষেপ করেও তাঁকে হত্যা করতে পারলো না , তখন তারা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র শুরু করলো। কিন্তু আল্লাহ্‌র করুণায় তাদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলো। তাদের ষড়যন্ত্রে ইব্রাহীমের কোনও ক্ষতি হয় নাই। ক্ষতি যা তা ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের। অপর পক্ষে , ইব্রাহীম ষড়যন্ত্রকারীদের ত্যাগ করে হিজরত করেন এবং সেখানে তিনি সমৃদ্ধি লাভ করেন এবং আল্লাহ্‌ তাঁকে নবী রসুলদের আদি পুরুষরূপে সম্মানিত করেন।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭১)

আমি তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্যে কল্যাণ রেখেছি।
And We rescued him and Lout (Lot) to the land which We have blessed for the ’Alamîn (mankind and jinns).

وَنَجَّيْنَاهُ وَلُوطًا إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ
Wanajjaynahu walootan ila al-ardi allatee barakna feeha lilAAalameena

YUSUFALI: But We delivered him and (his nephew) Lut (and directed them) to the land which We have blessed for the nations.

PICKTHAL: And We rescued him and Lot (and brought them) to the land which We have blessed for (all) peoples.

SHAKIR: And We delivered him as well as Lut (removing them) to the land which We had blessed for all people.

KHALIFA: We saved him, and we saved Lot, to the land that we blessed for all the people.

৭১। আমি তাঁকে এবং [ তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ] লূতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই দেশে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য ২৭২৭।

২৭২৭। ‘আরাম ‘ [Aram] বা সিরিয়া , অনেকেই বৃহৎ অর্থে ক্যানন বা প্যালেসষ্টাইনকে এর অন্তর্ভূক্ত করে থাকে। সিরিয়া একটি শষ্য শ্যামল জলসিঞ্চিত উর্বর ভূমি। এর এক পার্শ্বের সীমারেখাতে ভূমধ্যসাগর, যেখানে তায়ের [ Tyre ] এবং সিডন [ Sidon ] নামক দুটি বাণিজ্যিক শহর অবস্থিত।

সিরিয়ার জনসাধারণ বিভিন্ন জাতির মিশ্রণ, কারণ সেই প্রাচীন যুগ থেকে বিভিন্ন শতাব্দীতে পশ্চিম এশিয়া , মিশর , প্রভৃতি দেশের বড় বড় নৃপতির রাজত্বে, আবার অপর দিকে ইউরোপের বাণিজ্যিক স্বার্থে এ স্থান যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়েছে। তার ফলে বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ ঘটেছে।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭২)

আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও পুরস্কার স্বরূপ দিলাম ইয়াকুব এবং প্রত্যেককেই সৎকর্ম পরায়ণ করলাম।
And We bestowed upon him Ishâque (Isaac), and (a grandson) Ya’qûb (Jacob). Each one We made righteous.

وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ نَافِلَةً وَكُلًّا جَعَلْنَا صَالِحِينَ
Wawahabna lahu ishaqa wayaAAqooba nafilatan wakullan jaAAalna saliheena

YUSUFALI: And We bestowed on him Isaac and, as an additional gift, (a grandson), Jacob, and We made righteous men of every one (of them).

PICKTHAL: And We bestowed upon him Isaac, and Jacob as a grandson. Each of them We made righteous.

SHAKIR: And We gave him Ishaq and Yaqoub, a son’s son, and We made (them) all good.

KHALIFA: And we granted him Isaac and Jacob as a gift, and we made them both righteous.

৭২। এবং আমি তাঁকে দান করেছিলাম ইসাহাককে এবং [ পৌত্র হিসেবে ] অতিরিক্ত উপহার ইয়াকুবকে। এবং [ তাদের ] প্রত্যেককে পূণ্যাত্মা করেছিলাম ২৭২৮।

২৭২৮। “Nafilat” এই শব্দটি বহু অর্থে ব্যবহৃত হয় : ১) লুঠের মাল ২) অতিরিক্ত কাজ বা প্রার্থনা , ৩) অতিরিক্ত বা উপহার , ৪) পৌত্র। এই আয়াতের জন্য শেষের দুটি অর্থ প্রযোজ্য। বৃদ্ধ বয়েসে ইব্রাহীমকে শুধুমাত্র একটিই পুত্র সন্তানই দান করা হয় নাই, শুধুমাত্র ইস্‌হাককেই আল্লাহ্‌র দান করেন নাই, তাকে এ ব্যতীত আরও পুত্র সন্তান দিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন ইস্‌হাক, ও ইসমাঈল। তিনি পৌত্রও দেখে যেতে পারেন। আয়াত [ ২১ : ৮৫ ] তে বিশেষভাবে ইসমাঈলের এবং তাঁর বংশধরদের উল্লেখ আছে। কারণ ইসমাঈলের বংশেই শেষ নবী হযরত মুহম্মদের [ সা ] জন্ম।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭৩)

আমি তাঁদেরকে নেতা করলাম। তাঁরা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ প্রদর্শন করতেন। আমি তাঁদের প্রতি ওহী নাযিল করলাম সৎকর্ম করার, নামায কায়েম করার এবং যাকাত দান করার। তাঁরা আমার এবাদতে ব্যাপৃত ছিল।

And We made them leaders, guiding (mankind) by Our Command, and We inspired in them the doing of good deeds, performing Salât (Iqâmat-as-Salât), and the giving of Zakât and of Us (Alone) they were worshippers.

وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلَاةِ وَإِيتَاء الزَّكَاةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ

WajaAAalnahum a-immatan yahdoona bi-amrina waawhayna ilayhim fiAAla alkhayrati wa-iqama alssalati wa-eetaa alzzakati wakanoo lana AAabideena

YUSUFALI: And We made them leaders, guiding (men) by Our Command, and We sent them inspiration to do good deeds, to establish regular prayers, and to practise regular charity; and they constantly served Us (and Us only).

PICKTHAL: And We made them chiefs who guide by Our command, and We inspired in them the doing of good deeds and the right establishment of worship and the giving of alms, and they were worshippers of Us (alone).

SHAKIR: And We made them Imams who guided (people) by Our command, and We revealed to them the doing of good and the keeping up of prayer and the giving of the alms, and Us (alone) did they serve;

KHALIFA: We made them imams who guided in accordance with our commandments, and we taught them how to work righteousness, and how to observe the Contact Prayers (Salat) and the obligatory charity (Zakat). To us, they were devoted worshipers.

৭৩। আমি তাদের নেতা করেছিলাম, আমার আদেশ অনুযায়ী তারা [ মানুষদের ] সৎপথ প্রদর্শন করতো। এবং আমি তাদের ওহী প্রেরণ করেছিলাম ভালো কাজ করার জন্য, নিয়মিত সালাত প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং যাকাত দেওয়ার জন্য। তারা সর্বদা [ শুধুমাত্র ] আমারই আনুগত্য করতো ২৭২৯।

২৭২৯। “তারা আমারই এবাদত করতো”। “আমারই ” শব্দটি দ্বারা এই আয়াতে আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পূণ্যাত্মা ব্যক্তি কখনও মন্দের সাথে বা পাপের সাথে সমঝোতা করে না। যদি এর জন্য সে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়, তবুও সে তাঁর নীতিতে অনড় ও অটল থাকে।

সে প্রকাশ্যে তাঁর ঈমানকে ঘোষণা করে। মন্দ ও অসৎ সর্বদা মোমেন ও সৎ বান্দাদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইবে, তাদের ক্ষতি সাধন করতে চাইবে, কিন্তু আল্লাহ্‌ স্বয়ং তাঁদের রক্ষা করবেন। পাপিষ্ঠরা তাদের পাপের পরিণতিতে ধ্বংস হয়ে যাবে।

সূরা আম্বিয়া

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭৪)

এবং আমি লূতকে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান এবং তাঁকে ঐ জনপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম, যারা নোংরা কাজে লিপ্ত ছিল। তারা মন্দ ও নাফরমান সম্প্রদায় ছিল।

And (remember) Lout (Lot), We gave him Hukman (right judgement of the affairs and Prophethood) and (religious) knowledge, and We saved him from the town (folk) who practised Al-Khabâ’ith (evil, wicked and filthy deeds, etc.). Verily, they were a people given to evil, and were Fâsiqûn (rebellious, disobedient, to Allâh).

وَلُوطًا آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَت تَّعْمَلُ الْخَبَائِثَ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَاسِقِينَ

Walootan ataynahu hukman waAAilman wanajjaynahu mina alqaryati allatee kanat taAAmalu alkhaba-itha innahum kanoo qawma saw-in fasiqeena

YUSUFALI: And to Lut, too, We gave Judgment and Knowledge, and We saved him from the town which practised abominations: truly they were a people given to Evil, a rebellious people.

PICKTHAL: And unto Lot we gave judgment and knowledge, and We delivered him from the community that did abominations. Lo! they were folk of evil, lewd.

SHAKIR: And (as for) Lut, We gave him wisdom and knowledge, and We delivered him from the town which wrought abominations; surely they were an evil people, transgressors;

KHALIFA: As for Lot, we granted him wisdom and knowledge, and we saved him from the community that practiced abominations; they were wicked and evil people.

৭৪। আমি লূতকেও দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। এবং আমি তাকে রক্ষা করেছিলাম এমন এক জনপদ থেকে যারা লিপ্ত ছিলো অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজে। সত্যিই তারা ছিলো এক মন্দ ও বিদ্রোহী সম্প্রদায় ২৭৩০।

২৭৩০। লূতের সম্প্রদায় এক জঘন্য পাপে লিপ্ত ছিলো। আল্লাহ্‌ লূতকে প্রেরণ করেন তাদের সাবধান করার জন্য। তিনি তাদের এই পাপ কাজের বিরুদ্ধাচারণ করেন, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখান করে। তার ফলে তাদের উপরে আল্লাহ্‌র শাস্তি খড়গের মতো নেমে আসে, কিন্তু লূত ও তাঁর অনুসারীরা রক্ষা পায়। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৬১ – ৭৪ , ১১ : ৭৭ – ৮২ এবং ৭ : ৮০ – ৮৪ ]।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭৫)

আমি তাকে আমার অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। সে ছিল সৎকর্মশীলদের একজন।
And We admitted him to Our Mercy, truly, he was of the righteous.

وَأَدْخَلْنَاهُ فِي رَحْمَتِنَا إِنَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ
Waadkhalnahu fee rahmatina innahu mina alssaliheena

YUSUFALI: And We admitted him to Our Mercy: for he was one of the Righteous.
PICKTHAL: And We brought him in unto Our mercy. Lo! he was of the righteous.

SHAKIR: And We took him into Our mercy; surely he was of the good.
KHALIFA: We admitted him into our mercy, for he was righteous.

৭৫। এবং আমি তাঁকে আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম। কারণ সে ছিলো পূণ্যাত্মাদের একজন।

রুকু – ৬

৭৬। [ স্মরণ কর ! ] নূহকে , পূর্বে সে যখন আবেদন করেছিলো, ২৭৩০ – ক , আমি তাঁর [ প্রার্থনা ] শুনেছিলাম এবং তাঁকে এবং তাঁর পরিবারবর্গকে মহা বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেছিলাম ২৭৩১।

২৭৩০ -ক। হযরত ইব্রাহীমের আগমনের বহু পূর্বে নূহ্‌ নবীর দুনিয়াতে আগমন।

২৭৩১। নূহ্‌ এর সম্প্রদায়ের লোকেরা আল্লাহ্‌র প্রতি অবিশ্বাস, গরীবদের নির্যাতন এবং বৃথা তর্ক কলহে নিমগ্ন ছিলো। হযরত নূহ্‌ তাদের মাঝে আল্লাহ্‌র বাণী প্রচার করেন, এবং শত অত্যাচার ও নির্যাতনেও তাঁর ঈমান বা বিশ্বাসে অটল থাকেন।

আল্লাহ্‌ তাঁকে এক সুবিশাল নৌকা তৈরীর হুকুম দান করেন। সেই নৌকায় তিনি ও তার অনুসারীরা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায় কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ডুবে মারা যায়। দেখুন [ ১১ : ২৫ – ৪৮ ]।

সূরা আম্বিয়া

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭৬)

এবং স্মরণ করুন নূহকে; যখন তিনি এর পূর্বে আহবান করেছিলেন। তখন আমি তাঁর দোয়া কবুল করেছিলাম, অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে মহা সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলাম।

And (remember) Nûh (Noah), when he cried (to Us) aforetime. We listened to his invocation and saved him and his family from great distress.

وَنُوحًا إِذْ نَادَى مِن قَبْلُ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
Wanoohan ith nada min qablu faistajabna lahu fanajjaynahu waahlahu mina alkarbi alAAatheemi

YUSUFALI: (Remember) Noah, when he cried (to Us) aforetime: We listened to his (prayer) and delivered him and his family from great distress.

PICKTHAL: And Noah, when he cried of old, We heard his prayer and saved him and his household from the great affliction.

SHAKIR: And Nuh, when he cried aforetime, so We answered him, and delivered him and his followers from the great calamity.

KHALIFA: And, before that, Noah called and we responded to him. We saved him and his family from the great disaster.

৭৫। এবং আমি তাঁকে আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম। কারণ সে ছিলো পূণ্যাত্মাদের একজন।

রুকু – ৬

৭৬। [ স্মরণ কর ! ] নূহকে , পূর্বে সে যখন আবেদন করেছিলো, ২৭৩০ – ক , আমি তাঁর [ প্রার্থনা ] শুনেছিলাম এবং তাঁকে এবং তাঁর পরিবারবর্গকে মহা বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেছিলাম ২৭৩১।

২৭৩০ -ক। হযরত ইব্রাহীমের আগমনের বহু পূর্বে নূহ্‌ নবীর দুনিয়াতে আগমন।

২৭৩১। নূহ্‌ এর সম্প্রদায়ের লোকেরা আল্লাহ্‌র প্রতি অবিশ্বাস, গরীবদের নির্যাতন এবং বৃথা তর্ক কলহে নিমগ্ন ছিলো। হযরত নূহ্‌ তাদের মাঝে আল্লাহ্‌র বাণী প্রচার করেন, এবং শত অত্যাচার ও নির্যাতনেও তাঁর ঈমান বা বিশ্বাসে অটল থাকেন।

আল্লাহ্‌ তাঁকে এক সুবিশাল নৌকা তৈরীর হুকুম দান করেন। সেই নৌকায় তিনি ও তার অনুসারীরা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায় কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ডুবে মারা যায়। দেখুন [ ১১ : ২৫ – ৪৮ ]।

সূরা আম্বিয়া(আয়াত ৭৭)

আরও দেখুনঃ 

সূরা আম্বিয়া পার্ট-৫

সূরা আম্বিয়া পার্ট-৩

সূরা আম্বিয়া পার্ট-২

সূরা আম্বিয়া পার্ট-১

সূরা ত্বোয়া-হা পার্ট-৬ 

সূরা আম্বিয়া – উইকিপিডিয়া

 

 

Leave a Comment