সূরা ত্বোয়া-হা পার্ট-২ [মাক্কী সুরা ] সূরা ২০। কুরআন । সূরা ত্বোয়া-হা , (আরবি: سورة طه, (ত্বোয়া-হা) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের বিংশ সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১৩৫ টি।
সূরা ত্বোয়া-হা পার্ট-২
সূরা ত্বোয়া-হা
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৫)
মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
[Mûsa (Moses)] said: ”O my Lord! Open for me my chest (grant me self-confidence, contentment, and boldness).
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
Qala rabbi ishrah lee sadree
YUSUFALI: (Moses) said: “O my Lord! expand me my breast;
PICKTHAL: (Moses) said: My Lord! relieve my mind
SHAKIR: He said: O my Lord! Expand my breast for me,
KHALIFA: He said, “My Lord, cool my temper.
২৫। [ মুসা ] বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও ২৫৫২।
২৫৫২। ” বক্ষ প্রশস্ত করে দাও ” এখানে বক্ষ শব্দটি প্রতীকধর্মী। জ্ঞান ও সর্বোচ্চ আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসার প্রকাশকে ব্যক্ত করা হয়েছে, ” বক্ষ” শব্দটি দ্বারা। দেখুন অনুরূপ প্রকাশ আয়াতে [ ৯৪ : ১ ]। মানুষের চরিত্রের সর্বোচ্চ রত্ন হচ্ছে জ্ঞান ও ভালোবাসার ক্ষমতা যা মানুষকে স্রষ্টার নিকটবর্তী করে।
হযরত মুসা এই সর্বোচ্চ চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেন যা সেই নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য ছিলো অতি প্রয়োজনীয়। এ ব্যতীত তিনি আরও তিনটি জিনিষের জন্য প্রার্থনা করেনঃ ১) তাঁর কর্তব্য কর্ম সম্পাদনের জন্য আল্লাহর সাহায্য; যে কর্তব্য কর্ম প্রথমে তাঁর কাছে দুরূহ মনে হয়েছিলো। ২) তাঁর জিহ্বার জড়তা দূর করে বাক্পটুতা যাঞা করেছিলেন।
৩) তাঁর সহকর্মী রূপে তাঁর ভাই হারুনকে প্রার্থনা করেছিলেন। কারণ তিনি তাঁর ভাই হারুণকে ভালোবাসতেন ও বিশ্বাস করতেন। ভাইকে ব্যতীত তিনি মিশরবাসীদের মাঝে সম্পূর্ণ একা হয়ে যেতেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৬)
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
”And ease my task for me;
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
Wayassir lee amree
YUSUFALI: “Ease my task for me;
PICKTHAL: And ease my task for me;
SHAKIR: And make my affair easy to me,
KHALIFA: “And make this matter easy for me.
২৬। ” আমার কাজকে সহজ করে দাও ;
২৭। ” আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও ; ২৫৫৩।
২৫৫৩। এই আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ” আমার জিহ্বার উপর থেকে বন্ধন দূর করে দাও।”
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৭)
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
”And make loose the knot (the defect) from my tongue, (i.e. remove the incorrectness from my speech) [That occurred as a result of a brand of fire which Mûsa (Moses) put in his mouth when he was an infant]. [Tafsir At-Tabarî, Vol. 16, Page 159].
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
Waohlul AAuqdatan min lisanee
YUSUFALI: “And remove the impediment from my speech,
PICKTHAL: And loose a knot from my tongue,
SHAKIR: And loose the knot from my tongue,
KHALIFA: “And untie a knot from my tongue.
২৬। ” আমার কাজকে সহজ করে দাও ;
২৭। ” আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও ; ২৫৫৩।
২৫৫৩। এই আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ” আমার জিহ্বার উপর থেকে বন্ধন দূর করে দাও।”
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৮)
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
”That they understand my speech,
يَفْقَهُوا قَوْلِي
Yafqahoo qawlee
YUSUFALI: “So they may understand what I say:
PICKTHAL: That they may understand my saying.
SHAKIR: (That) they may understand my word;
KHALIFA: “So they can understand my speech.
২৮। ” যেনো তারা আমি যা বলি তা বুঝতে পারে।
২৯। ” আমার পরিবার থেকে আমাকে একজন সাহায্যকারী দাও , –
৩০। ” আমার ভ্রাতা হারুনকে।
৩১। ” তার মাধ্যমে আমার শক্তি বৃদ্ধি কর ২৫৫৪।
২৫৫৪। এই আররী আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ ” আমার পিঠকে তাঁর দ্বারা শক্তিশালী কর।” ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায় মানুষের পিঠে বা শিঁর দাড়াতে মানুষের শক্তি। সেই কারণে বাংলা বাগ্ধারাতে প্রচলিত আছে ” শিরঁদাড়া শক্ত করে দাড়াও” অর্থাৎ সোজা ভাবে দাড়াতে যেনো তুমি তোমার কর্তব্যের ভার সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে পার। অর্থাৎ পিঠ বা শিঁরদাড়া হচ্ছে সাহসের প্রতীক।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ২৯)
এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্য থেকে আমার একজন সাহায্যকারী করে দিন।
”And appoint for me a helper from my family,
وَاجْعَل لِّي وَزِيرًا مِّنْ أَهْلِي
WaijAAal lee wazeeran min ahlee
YUSUFALI: “And give me a Minister from my family,
PICKTHAL: Appoint for me a henchman from my folk,
SHAKIR: And give to me an aider from my family:
KHALIFA: “And appoint an assistant for me from my family.
২৮। ” যেনো তারা আমি যা বলি তা বুঝতে পারে।
২৯। ” আমার পরিবার থেকে আমাকে একজন সাহায্যকারী দাও , –
৩০। ” আমার ভ্রাতা হারুনকে।
৩১। ” তার মাধ্যমে আমার শক্তি বৃদ্ধি কর ২৫৫৪।
২৫৫৪। এই আররী আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ ” আমার পিঠকে তাঁর দ্বারা শক্তিশালী কর।” ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায় মানুষের পিঠে বা শিঁর দাড়াতে মানুষের শক্তি। সেই কারণে বাংলা বাগ্ধারাতে প্রচলিত আছে ” শিরঁদাড়া শক্ত করে দাড়াও” অর্থাৎ সোজা ভাবে দাড়াতে যেনো তুমি তোমার কর্তব্যের ভার সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে পার। অর্থাৎ পিঠ বা শিঁরদাড়া হচ্ছে সাহসের প্রতীক।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩০)
আমার ভাই হারুনকে।
”Hârûn (Aaron), my brother;
هَارُونَ أَخِي
Haroona akhee
YUSUFALI: “Aaron, my brother;
PICKTHAL: Aaron, my brother.
SHAKIR: Haroun, my brother,
KHALIFA: “My brother Aaron.
২৮। ” যেনো তারা আমি যা বলি তা বুঝতে পারে।
২৯। ” আমার পরিবার থেকে আমাকে একজন সাহায্যকারী দাও , –
৩০। ” আমার ভ্রাতা হারুনকে।
৩১। ” তার মাধ্যমে আমার শক্তি বৃদ্ধি কর ২৫৫৪।
২৫৫৪। এই আররী আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ ” আমার পিঠকে তাঁর দ্বারা শক্তিশালী কর।” ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায় মানুষের পিঠে বা শিঁর দাড়াতে মানুষের শক্তি। সেই কারণে বাংলা বাগ্ধারাতে প্রচলিত আছে ” শিরঁদাড়া শক্ত করে দাড়াও” অর্থাৎ সোজা ভাবে দাড়াতে যেনো তুমি তোমার কর্তব্যের ভার সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে পার। অর্থাৎ পিঠ বা শিঁরদাড়া হচ্ছে সাহসের প্রতীক।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩১)
তার মাধ্যমে আমার কোমর মজবুত করুন।
”Increase my strength with him,
اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي
Oshdud bihi azree
YUSUFALI: “Add to my strength through him,
PICKTHAL: Confirm my strength with him
SHAKIR: Strengthen my back by him,
KHALIFA: “Strengthen me with him.
২৮। ” যেনো তারা আমি যা বলি তা বুঝতে পারে।
২৯। ” আমার পরিবার থেকে আমাকে একজন সাহায্যকারী দাও , –
৩০। ” আমার ভ্রাতা হারুনকে।
৩১। ” তার মাধ্যমে আমার শক্তি বৃদ্ধি কর ২৫৫৪।
২৫৫৪। এই আররী আয়াতটির আক্ষরিক অর্থ ” আমার পিঠকে তাঁর দ্বারা শক্তিশালী কর।” ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায় মানুষের পিঠে বা শিঁর দাড়াতে মানুষের শক্তি। সেই কারণে বাংলা বাগ্ধারাতে প্রচলিত আছে ” শিরঁদাড়া শক্ত করে দাড়াও”
অর্থাৎ সোজা ভাবে দাড়াতে যেনো তুমি তোমার কর্তব্যের ভার সাহসের সাথে মোকাবিলা করতে পার। অর্থাৎ পিঠ বা শিঁরদাড়া হচ্ছে সাহসের প্রতীক।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩২)
এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন।
”And let him share my task (of conveying Allâh’s Message and Prophethood),
وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي
Waashrik-hu fee amree
YUSUFALI: “And make him share my task:
PICKTHAL: And let him share my task,
SHAKIR: And associate him (with me) in my affair,
KHALIFA: “Let him be my partner in this matter.
৩২। “এবং তাকে আমার কর্মের অংশী কর।
৩৩। “যাতে আমরা প্রচুর ভাবে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারি ২৫৫৫।
২৫৫৫। আমরা সাধারণ মানুষ সর্বদা জাগতিক বিষয়ের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকি। হযরত মুসা নবী রাসুলের মতই জাগতিক কিছুই প্রার্থনা করেন নাই, তাঁর প্রার্থনা ছিলো আধ্যাত্মিক। তাঁর নিয়ত বা উদ্দেশ্যকে তিনি সার্বজনীন না করে নির্দ্দিষ্ট করেছিলেন এই বাক্য দ্বারা যে,
তিনি যেনো প্রচুরভাবে আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারেন। প্রচুর ভাবে অর্থাৎ ধারাবাহিক ও ক্রমাগত ভাবে কখনও না থেমে আল্লাহকে স্মরণ করতে পারেন অধিক মাত্রায়।
এই আয়াত ও পরের আয়াতের উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য হযরত মুসা আয়াত ২৫ থেকে ৩২ পর্যন্ত আল্লাহর নেয়ামত ও সাহায্য প্রার্থনা করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৩)
যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি।
”That we may glorify You much,
كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيرًا
Kay nusabbihaka katheeran
YUSUFALI: “That we may celebrate Thy praise without stint,
PICKTHAL: That we may glorify Thee much
SHAKIR: So that we should glorify Thee much,
KHALIFA: “That we may glorify You frequently.
৩২। “এবং তাকে আমার কর্মের অংশী কর।
৩৩। “যাতে আমরা প্রচুর ভাবে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারি ২৫৫৫।
২৫৫৫। আমরা সাধারণ মানুষ সর্বদা জাগতিক বিষয়ের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকি। হযরত মুসা নবী রাসুলের মতই জাগতিক কিছুই প্রার্থনা করেন নাই, তাঁর প্রার্থনা ছিলো আধ্যাত্মিক।
তাঁর নিয়ত বা উদ্দেশ্যকে তিনি সার্বজনীন না করে নির্দ্দিষ্ট করেছিলেন এই বাক্য দ্বারা যে, তিনি যেনো প্রচুরভাবে আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারেন। প্রচুর ভাবে অর্থাৎ ধারাবাহিক ও ক্রমাগত ভাবে কখনও না থেমে আল্লাহকে স্মরণ করতে পারেন অধিক মাত্রায়।
এই আয়াত ও পরের আয়াতের উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য হযরত মুসা আয়াত ২৫ থেকে ৩২ পর্যন্ত আল্লাহর নেয়ামত ও সাহায্য প্রার্থনা করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৪)
এবং বেশী পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।
”And remember You much,
وَنَذْكُرَكَ كَثِيرًا
Wanathkuraka katheeran
YUSUFALI: “And remember Thee without stint:
PICKTHAL: And much remember Thee.
SHAKIR: And remember Thee oft.
KHALIFA: “And commemorate You frequently.
৩৪। ” এবং তোমাকে অনেক স্মরণ করতে পারি।
৩৫। ” তুমি তো আমাদের [ কার্যক্রমের ] সম্যক দ্রষ্টা ” ২৫৫৬।
২৫৫৬। হযরত মুসা আল্লাহকে প্রশংসা ও স্মরণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে যে নেয়ামতে ধন্য করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৫)
আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন।
”Verily! You are of us Ever a Well-Seer.”
إِنَّكَ كُنتَ بِنَا بَصِيرًا
Innaka kunta bina baseeran
YUSUFALI: “For Thou art He that (ever) regardeth us.”
PICKTHAL: Lo! Thou art ever Seeing us.
SHAKIR: Surely, Thou art seeing us.
KHALIFA: “You are Seer of us.”
৩৪। ” এবং তোমাকে অনেক স্মরণ করতে পারি।
৩৫। ” তুমি তো আমাদের [ কার্যক্রমের ] সম্যক দ্রষ্টা ” ২৫৫৬।
২৫৫৬। হযরত মুসা আল্লাহকে প্রশংসা ও স্মরণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁকে যে নেয়ামতে ধন্য করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৬)
আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল।
Allâh said: ”You are granted your request, O Mûsa (Moses)!
قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى
Qala qad ooteeta su/laka ya moosa
YUSUFALI: (Allah) said: “Granted is thy prayer, O Moses!”
PICKTHAL: He said: Thou art granted thy request, O Moses.
SHAKIR: He said: You are indeed granted your petition, O Musa
KHALIFA: He said, “Your request is granted, O Moses.
৩৬। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন , ” হে মুসা! তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হলো !
৩৭। ” আমি তো [ পূর্বেও ] তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
৩৮। ” স্মরণ কর! ওহীর মাধ্যমে তোমার মাতাকে বাণী প্রেরণ করেছিলাম ২৫৫৭।
২৫৫৭। এই আয়াতের মাধ্যমে মুসার লালন – পালনের প্রধান প্রধান লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির উপরে ইঙ্গিত দান করা হয়েছে। হযরত ইউসুফ যখন মিশরের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন সে সময়ে বণী ইসরাঈলীদের মিশরে আগমন ঘটে।
হযরত ইউসুফের বহু বছর পরে এক ফেরাউন মিশরের সিংহাসনে আরোহণ করেন যিনি ইসরাঈলীদের ঘৃণা করতেন। তিনি ইসরাঈলীদের সদ্যজাত ছেলে শিশুদের মেরে ফেলার আদেশ দান করেন। এসময়েই হযরত মুসার জন্ম হয়। মুসার মা মুসাকে জন্মের পর থেকে গোপন করে রাখেন। কিন্তু যখন তা আর সম্ভব হলো না ,
তাঁর মনে উদয় হলো যে, শিশুকে একটি সিন্দুকে করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা। তাঁর মনের এই কল্পনা কোন খাম-খেয়াল ছিলো না। এ ছিলো মহান আল্লাহর ইঙ্গিত। কারণ আল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো যে, হযরত মুসাকে তিনি মিশরের সর্বোচ্চ জ্ঞানে শিক্ষিত করবেন যেনো এই জ্ঞান তাকে
এর অসম্পূর্ণতাকে প্রকাশ করতে ও আল্লাহর মহিমাকে ঘোষণা করতে সাহায্য করে। সিন্দুকটি নীল নদীতে ভেসে যাচ্ছিল। সিন্দুকটি যেয়ে নীলনদীর তীরে বাগানের পার্শ্বে আটকে যায়। সিন্দুকটি ফেরাউনের লোকজন তুলে নিয়ে ফেরাউনের প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ফেরাউনের স্ত্রী তাঁকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮ : ৪ – ১৩ ]।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৭)
আমি তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
”And indeed We conferred a favour on you another time (before).
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَى
Walaqad mananna AAalayka marratan okhra
YUSUFALI: “And indeed We conferred a favour on thee another time (before).
PICKTHAL: And indeed, another time, already We have shown thee favour,
SHAKIR: And certainly We bestowed on you a favor at another time;
KHALIFA: “We have blessed you another time.
৩৬। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন , ” হে মুসা! তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হলো !
৩৭। ” আমি তো [ পূর্বেও ] তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
৩৮। ” স্মরণ কর! ওহীর মাধ্যমে তোমার মাতাকে বাণী প্রেরণ করেছিলাম ২৫৫৭।
২৫৫৭। এই আয়াতের মাধ্যমে মুসার লালন – পালনের প্রধান প্রধান লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির উপরে ইঙ্গিত দান করা হয়েছে। হযরত ইউসুফ যখন মিশরের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন সে সময়ে বণী ইসরাঈলীদের মিশরে আগমন ঘটে। হযরত ইউসুফের বহু বছর পরে এক ফেরাউন মিশরের সিংহাসনে আরোহণ করেন যিনি ইসরাঈলীদের ঘৃণা করতেন।
তিনি ইসরাঈলীদের সদ্যজাত ছেলে শিশুদের মেরে ফেলার আদেশ দান করেন। এসময়েই হযরত মুসার জন্ম হয়। মুসার মা মুসাকে জন্মের পর থেকে গোপন করে রাখেন। কিন্তু যখন তা আর সম্ভব হলো না , তাঁর মনে উদয় হলো যে, শিশুকে একটি সিন্দুকে করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা। তাঁর মনের এই কল্পনা কোন খাম-খেয়াল ছিলো না। এ ছিলো মহান আল্লাহর ইঙ্গিত। কারণ আল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো যে,
হযরত মুসাকে তিনি মিশরের সর্বোচ্চ জ্ঞানে শিক্ষিত করবেন যেনো এই জ্ঞান তাকে এর অসম্পূর্ণতাকে প্রকাশ করতে ও আল্লাহর মহিমাকে ঘোষণা করতে সাহায্য করে। সিন্দুকটি নীল নদীতে ভেসে যাচ্ছিল। সিন্দুকটি যেয়ে নীলনদীর তীরে বাগানের পার্শ্বে আটকে যায়। সিন্দুকটি ফেরাউনের লোকজন তুলে নিয়ে ফেরাউনের প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ফেরাউনের স্ত্রী তাঁকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮ : ৪ – ১৩ ]।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৩৮)
যখন আমি তোমার মাতাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম যা অতঃপর বর্ণিত হচ্ছে।
”When We inspired your mother with that which We inspired.
إِذْ أَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّكَ مَا يُوحَى
Ith awhayna ila ommika ma yooha
YUSUFALI: “Behold! We sent to thy mother, by inspiration, the message:
PICKTHAL: When we inspired in thy mother that which is inspired,
SHAKIR: When We revealed to your mother what was revealed;
KHALIFA: “When we revealed to your mother what we revealed.
৩৬। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন , ” হে মুসা! তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হলো !
৩৭। ” আমি তো [ পূর্বেও ] তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
৩৮। ” স্মরণ কর! ওহীর মাধ্যমে তোমার মাতাকে বাণী প্রেরণ করেছিলাম ২৫৫৭।
২৫৫৭। এই আয়াতের মাধ্যমে মুসার লালন – পালনের প্রধান প্রধান লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির উপরে ইঙ্গিত দান করা হয়েছে। হযরত ইউসুফ যখন মিশরের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন সে সময়ে বণী ইসরাঈলীদের মিশরে আগমন ঘটে। হযরত ইউসুফের বহু বছর পরে এক ফেরাউন মিশরের সিংহাসনে আরোহণ করেন যিনি ইসরাঈলীদের ঘৃণা করতেন। তিনি ইসরাঈলীদের সদ্যজাত ছেলে শিশুদের মেরে ফেলার আদেশ দান করেন।
এসময়েই হযরত মুসার জন্ম হয়। মুসার মা মুসাকে জন্মের পর থেকে গোপন করে রাখেন। কিন্তু যখন তা আর সম্ভব হলো না , তাঁর মনে উদয় হলো যে, শিশুকে একটি সিন্দুকে করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা। তাঁর মনের এই কল্পনা কোন খাম-খেয়াল ছিলো না।
এ ছিলো মহান আল্লাহর ইঙ্গিত। কারণ আল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো যে, হযরত মুসাকে তিনি মিশরের সর্বোচ্চ জ্ঞানে শিক্ষিত করবেন যেনো এই জ্ঞান তাকে এর অসম্পূর্ণতাকে প্রকাশ করতে ও আল্লাহর মহিমাকে ঘোষণা করতে সাহায্য করে। সিন্দুকটি নীল নদীতে ভেসে যাচ্ছিল। সিন্দুকটি যেয়ে নীলনদীর তীরে বাগানের পার্শ্বে আটকে যায়।
সিন্দুকটি ফেরাউনের লোকজন তুলে নিয়ে ফেরাউনের প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ফেরাউনের স্ত্রী তাঁকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮ : ৪ – ১৩ ]।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪১)
এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরী করে নিয়েছি।
”And I have Istana’tuka, for Myself.
وَاصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِي
WaistanaAAtuka linafsee
YUSUFALI: “And I have prepared thee for Myself (for service)”..
PICKTHAL: And I have attached thee to Myself.
SHAKIR: And I have chosen you for Myself:
KHALIFA: “I have made you just for Me.
৪১। ” এবং আমি তোমাকে আমার নিজের [ কাজের ] জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি।
৪২। ” তুমি ও তোমার ভ্রাতা আমরা নিদর্শনসহ যাও ২৫৬৫ এবং তোমরা উভয়েই আমার স্মরণে শৈথিল্য প্রদর্শন করো না।
২৫৬৫। আমরা অনুমান করতে পারি যে, হযরত মুসা একাই মাদ্য়াইনাদের দেশে গিয়েছিলেন। সুতারাং তুওয়া উপত্যকাতে তিনি তাঁর পরিবারবর্গের সাথে ছিলেন , সেখানে তার ভাই হারুন ছিলো না।
এ ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ২৫৪২ টিকাতে। যখন মুসাকে আল্লাহ্ তাঁর বাণী প্রচারের জন্য মনোনীত করে সম্মানীত করেন এবং আল্লাহ্র তাঁর অনুরোধে তাঁর ভাই হারুনকে তুওয়া উপত্যকাতে নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সম্ভবতঃ তাঁদের দেখা হয়েছিলো তুওয়া উপত্যকাতে। অর্থাৎ মিশরে প্রবেশের পূর্বে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়। এরপরে তারা প্রার্থনা করেন এবং মিশর অভিমুখে যাত্রা করেন।
হারুন সম্ভবতঃ মুসার বড় বা ছোট ভাই ছিলেন, কারণ এ সম্বন্ধে ধর্মগ্রন্থে কোনও উল্লেখ নাই। তবে মনে হয়, হারুনের জন্ম তখনই হয়, যখন ইসরাঈলীদের নবজাত শিশুর উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। মুসার সাথে হারুনের কোনও যোগাযোগ ছিলো না। তবুও মুসার তাঁর পরিবারের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা ছিলো এবং হারুনকে তিনি তাঁর কাজের সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ্র কাছে যাঞ্চা করে নেন যে কাজ ছিলো তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪২)
তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না।
”Go you and your brother with My Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.), and do not, you both, slacken and become weak in My Remembrance.
اذْهَبْ أَنتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي
Ithhab anta waakhooka bi-ayatee wala taniya fee thikree
YUSUFALI: “Go, thou and thy brother, with My Signs, and slacken not, either of you, in keeping Me in remembrance.
PICKTHAL: Go, thou and thy brother, with My tokens, and be not faint in remembrance of Me.
SHAKIR: Go you and your brother with My communications and be not remiss in remembering Me;
KHALIFA: “Go with your brother, supported by My signs, and do not waver in remembering Me.
৪১। ” এবং আমি তোমাকে আমার নিজের [ কাজের ] জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি।
৪২। ” তুমি ও তোমার ভ্রাতা আমরা নিদর্শনসহ যাও ২৫৬৫ এবং তোমরা উভয়েই আমার স্মরণে শৈথিল্য প্রদর্শন করো না।
২৫৬৫। আমরা অনুমান করতে পারি যে, হযরত মুসা একাই মাদ্য়াইনাদের দেশে গিয়েছিলেন। সুতারাং তুওয়া উপত্যকাতে তিনি তাঁর পরিবারবর্গের সাথে ছিলেন , সেখানে তার ভাই হারুন ছিলো না। এ ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ২৫৪২ টিকাতে।
যখন মুসাকে আল্লাহ্ তাঁর বাণী প্রচারের জন্য মনোনীত করে সম্মানীত করেন এবং আল্লাহ্র তাঁর অনুরোধে তাঁর ভাই হারুনকে তুওয়া উপত্যকাতে নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সম্ভবতঃ তাঁদের দেখা হয়েছিলো তুওয়া উপত্যকাতে।
অর্থাৎ মিশরে প্রবেশের পূর্বে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়। এরপরে তারা প্রার্থনা করেন এবং মিশর অভিমুখে যাত্রা করেন।
হারুন সম্ভবতঃ মুসার বড় বা ছোট ভাই ছিলেন, কারণ এ সম্বন্ধে ধর্মগ্রন্থে কোনও উল্লেখ নাই। তবে মনে হয়, হারুনের জন্ম তখনই হয়, যখন ইসরাঈলীদের নবজাত শিশুর উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। মুসার সাথে হারুনের কোনও যোগাযোগ ছিলো না। তবুও মুসার তাঁর পরিবারের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা ছিলো এবং হারুনকে তিনি তাঁর কাজের সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ্র কাছে যাঞ্চা করে নেন যে কাজ ছিলো তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৩)
তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে।
”Go, both of you, to Fir’aun (Pharaoh), verily, he has transgressed (all bounds in disbelief and disobedience and behaved as an arrogant and as a tyrant).
اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
Ithhaba ila firAAawna innahu tagha
YUSUFALI: “Go, both of you, to Pharaoh, for he has indeed transgressed all bounds;
PICKTHAL: Go, both of you, unto Pharaoh. Lo! he hath transgressed (the bounds).
SHAKIR: Go both to Firon, surely he has become inordinate;
KHALIFA: “Go to Pharaoh, for he transgressed.
৪৩। ” তোমরা উভয়েই ফেরাউনের কাছে যাও ২৫৬৬, অবশ্যই সে সকল সীমা লংঘন করেছে ২৫৬৭।
২৫৬৬। মুসার কর্তব্য কর্মের প্রথম ধাপ ছিলো ফেরাউন ও মিশরবাসীদের নিকট গমন করা এবং তার পরে ইসরাঈলীদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে আসা।
২৫৬৭। এই আয়াতটি [ ২০ : ২৪ ] আয়াতের অনুরূপ। মুসার রসুল হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে তাঁর জীবনকে সংক্ষেপে বর্ণনা করে তাঁর আসল কাজের সূচনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। মুসার পূর্ব জীবনের বর্ণনা এখানেই শেষ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে ফেরাউনের আচরণের কথা। উদ্ধত অহংকারে ফেরাউন ভুলে গিয়েছিলো , আল্লাহ্র নিকট সে কত ক্ষুদ্র , কত নগণ্য।
উপদেশ : অহংকার একটি খারাপ রীপু যা মানুষের সকল গুণাবলী নষ্ট করে দেয় । ফলে সে অন্যের গুণাবলী প্রত্যক্ষ করতে অক্ষম হয়। যেরূপ চোখের সামনে ধরা মুষ্ঠিবদ্ধ হাত দূরের হিমালয়কে ঢেকে দেয়।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৪)
অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।
”And speak to him mildly, perhaps he may accept admonition or fear Allâh.”
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى
Faqoola lahu qawlan layyinan laAAallahu yatathakkaru aw yakhsha
YUSUFALI: “But speak to him mildly; perchance he may take warning or fear (Allah).”
PICKTHAL: And speak unto him a gentle word, that peradventure he may heed or fear.
SHAKIR: Then speak to him a gentle word haply he may mind or fear.
KHALIFA: “Speak to him nicely; he may take heed, or become reverent.”
৪৪। ” তার সাথে নম্রভাবে কথা বলবে। হয়তো সে সর্তকবাণী গ্রহণ করবে অথবা [আল্লাহকে ] ভয় করবে ২৫৬৮। ”
২৫৬৮। গর্ব ও অহংকারে ফেরাউন আল্লাহ্র অস্তিত্ব ভুলে গিয়েছিলো। বিশ্ব স্রষ্টার কাছে মানুষের অস্তিত্ব কত ক্ষুদ্র কত নগণ্য , সে কথা মুসাকে স্মরণ করিয়ে দিতে বলা হয়। সম্ভবতঃ সে অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। নিদেন পক্ষে , ফেরাউন আল্লাহ্র ভয়ে ” সীমা লংঘন ” থেকে বিরত থাকবে।
সংসারে কিছু লোক থাকে যারা ” উপদেশ ” গ্রহণ করে এবং পাপ ও অন্যায় থেকে বিরত থাকে শুধু মাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এরা অত্যন্ত উন্নত চরিত্রের। এদের দ্বারা মানবতা উপকৃত হয়। আবার আর একদল আছে যারা কৃত কর্মের ভয়াবহ পরিণামের জন্য ভীত হয়ে , পাপ ও অন্যায় থেকে বিরত থাকে।
এরা আত্মিক উন্নতিতে পূর্বোক্ত শ্রেণী থেকে অনুন্নত। তবে তারা পূর্বোক্ত শ্রেণীতে আরোহণের যোগ্যতা রাখেন।
এই আয়াতের অন্যতম প্রধান উপদেশ হচ্ছে কোনও বড় ও মহৎ কাজের আবেদন আল্লাহ্র কাছে হতে হবে বিনয়ের মাধ্যমে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৫)
তারা বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠবে।
They said: ”Our Lord! Verily! We fear lest he should hasten to punish us or lest he should transgress (all bounds against us).”
قَالَا رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
Qala rabbana innana nakhafu an yafruta AAalayna aw an yatgha
YUSUFALI: They (Moses and Aaron) said: “Our Lord! We fear lest he hasten with insolence against us, or lest he transgress all bounds.”
PICKTHAL: They said: Our Lord! Lo! we fear that he may be beforehand with us or that he may play the tyrant.
SHAKIR: Both said: O our Lord! Surely we fear that he may hasten to do evil to us or that he may become inordinate.
KHALIFA: They said, “Our Lord, we fear lest he may attack us, or transgress.”
৪৫। তারা [মুসা ও হারুন ] বলেছিলো, ” হে আমাদের প্রভু! আমরা আশংকা করি সে আমাদের প্রতি ঔদ্ধত্যে বাড়াবাড়ি করবে ২৫৬৯, অথবা [ অন্যায় আচরণে ] সকল সীমা লংঘন করবে। ”
২৫৬৯। মুসা এবং হারুন বর্তমানে মিশরে [ দেখুন টিকা ২৫৬৫ ]। সুতারাং ফেরাউনের ক্ষমতার অধীনে। ফেরাউনের মন-মানসিকতার সাথে মুসা ও হারুন পূর্ব পরিচিত ছিলেন। সুতারাং তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেনা যে, তাদের অভিযান কতটা বিপদজনক। তারা ফেরাউনের নিকট থেকে শাস্তির আশংকা করেছিলেন। যে ভয়াবহ বিপদজনক গুরুদায়িত্ব তাদের দেয়া হয়েছে তা কার্যে পরিণত করতে সাহসের প্রয়োজন তাদের জন্য।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৬)
আল্লাহ বললেনঃ তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি ও দেখি।
He (Allâh) said: ”Fear not, verily! I am with you both, hearing and seeing.
قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى
Qala la takhafa innanee maAAakuma asmaAAu waara
YUSUFALI: He said: “Fear not: for I am with you: I hear and see (everything).
PICKTHAL: He said: Fear not. Lo! I am with you twain, Hearing and Seeing.
SHAKIR: He said: Fear not, surely I am with you both: I do hear and see.
KHALIFA: He said, “Do not be afraid, for I will be with you, listening and watching.
৪৬। আল্লাহ্ বলেছিলেন, ” ভয় পেয়ো না ! আমি তোমাদের সাথে আছি। আমি [ সব কিছু ] শুনি ও দেখি। ”
৪৭। সুতারাং তোমরা উভয়েই তার নিকট যাও এবং বল, “আমরা তোমার প্রভুর প্রেরিত রাসুল। সুতারাং বণী ইসরাঈলীদের আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদের কষ্ট দিও না ২৫৭০। অবশ্যই আমরা তোমার প্রভুর নিকট থেকে নিদর্শনসহ এসেছি। যারা সৎ পথ অনুসরণ করে তাদের প্রতি শান্তি ২৫৭১।
৪৮। ” আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তাদের জন্য যারা প্রত্যাখান করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। ”
২৫৭০। বণী ইসরাঈলীদের মিশরে ফেরাউনের লোকদের দ্বারা নগ্নভাবে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হতে হতো। তাদের দ্বারা কঠোর পরিশ্রম করানো হতো, তাদের নেতাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হতো। এ সব নির্যাতন ও অত্যাচারের অন্যতম উপায় ছিলো ইসরাঈলীদের দ্বারা খড় ব্যতীত ইট তৈরীর পদ্ধতি। তারা ছিলো দাসত্বের নিগড়ে বাঁধা। দেখুন [Exod . V. 6 – 19, VI . 5 ] .
২৫৭১। সবচেয়ে কঠিন ও মন্দ যে পাপী , যারা সর্বদা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকে আল্লাহ্র করুণার ধারা তাদের সবার জন্যও অবারিত। কিন্তু তাদের পাপের কৃত মন্দ পরিণাম থেকে তারা অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য অব্যহতি পেতে পারে না। পরবর্তী আয়াতে এ সম্বন্ধে বক্তব্য আছে। পাপী অবশ্যই শাস্তি পাবো তা সে যতবড় ক্ষমতাধর হোক বা যত ক্ষুদ্রই হোক। অপরপক্ষে যারা সৎপথ অবলম্বন করে তাদের জন্য আছে শান্তি।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৭)
অতএব তোমরা তার কাছে যাও এবং বলঃ আমরা উভয়েই তোমার পালনকর্তার প্রেরিত রসূল, অতএব আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং তাদেরকে নিপীড়ন করো না। আমরা তোমার পালনকর্তার কাছ থেকে নিদর্শন নিয়ে তোমার কাছে আগমন করেছি। এবং যে সৎপথ অনুসরণ করে, তার প্রতি শান্তি।
”So go you both to him, and say: ’Verily, we are Messengers of your Lord, so let the Children of Israel go with us, and torment them not; indeed, we have come with a sign from your Lord! And peace will be upon him who follows the guidance!
فَأْتِيَاهُ فَقُولَا إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ قَدْ جِئْنَاكَ بِآيَةٍ مِّن رَّبِّكَ وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى
Fa/tiyahu faqoola inna rasoola rabbika faarsil maAAana banee isra-eela wala tuAAaththibhum qad ji/naka bi-ayatin min rabbika waalssalamu AAala mani ittabaAAa alhuda
YUSUFALI: “So go ye both to him, and say, ‘Verily we are messengers sent by thy Lord: Send forth, therefore, the Children of Israel with us, and afflict them not: with a Sign, indeed, have we come from thy Lord! and peace to all who follow guidance!
PICKTHAL: So go ye unto him and say: Lo! we are two messengers of thy Lord. So let the children of Israel go with us, and torment them not. We bring thee a token from thy Lord. And peace will be for him who followeth right guidance.
SHAKIR: So go you both to him and say: Surely we are two messengers of your Lord; therefore send the children of Israel with us and do not torment them! Indeed we have brought to you a communication from your Lord, and peace is on him who follows the guidance;
KHALIFA: “Go to him and say, `We are two messengers from your Lord. Let the Children of Israel go. You must refrain from persecuting them. We bring a sign from your Lord, and peace is the lot of those who heed the guidance.
৪৬। আল্লাহ্ বলেছিলেন, ” ভয় পেয়ো না ! আমি তোমাদের সাথে আছি। আমি [ সব কিছু ] শুনি ও দেখি। ”
৪৭। সুতারাং তোমরা উভয়েই তার নিকট যাও এবং বল, “আমরা তোমার প্রভুর প্রেরিত রাসুল। সুতারাং বণী ইসরাঈলীদের আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদের কষ্ট দিও না ২৫৭০। অবশ্যই আমরা তোমার প্রভুর নিকট থেকে নিদর্শনসহ এসেছি। যারা সৎ পথ অনুসরণ করে তাদের প্রতি শান্তি ২৫৭১।
৪৮। ” আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তাদের জন্য যারা প্রত্যাখান করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। ”
২৫৭০। বণী ইসরাঈলীদের মিশরে ফেরাউনের লোকদের দ্বারা নগ্নভাবে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হতে হতো। তাদের দ্বারা কঠোর পরিশ্রম করানো হতো, তাদের নেতাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হতো। এ সব নির্যাতন ও অত্যাচারের অন্যতম উপায় ছিলো ইসরাঈলীদের দ্বারা খড় ব্যতীত ইট তৈরীর পদ্ধতি। তারা ছিলো দাসত্বের নিগড়ে বাঁধা। দেখুন [Exod . V. 6 – 19, VI . 5 ] .
২৫৭১। সবচেয়ে কঠিন ও মন্দ যে পাপী , যারা সর্বদা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকে আল্লাহ্র করুণার ধারা তাদের সবার জন্যও অবারিত। কিন্তু তাদের পাপের কৃত মন্দ পরিণাম থেকে তারা অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য অব্যহতি পেতে পারে না। পরবর্তী আয়াতে এ সম্বন্ধে বক্তব্য আছে। পাপী অবশ্যই শাস্তি পাবো তা সে যতবড় ক্ষমতাধর হোক বা যত ক্ষুদ্রই হোক। অপরপক্ষে যারা সৎপথ অবলম্বন করে তাদের জন্য আছে শান্তি।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৮)
আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে ব্যক্তি মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার উপর আযাব পড়বে।
’Truly, it has been revealed to us that the torment will be for him who denies [believes not in the Oneness of Allâh, and in His Messengers, etc.], and turns away.’(from the truth and obedience of Allâh)”
إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّى
Inna qad oohiya ilayna anna alAAathaba AAala man kaththaba watawalla
YUSUFALI: “‘Verily it has been revealed to us that the Penalty (awaits) those who reject and turn away.’”
PICKTHAL: Lo! it hath been revealed unto us that the doom will be for him who denieth and turneth away.
SHAKIR: Surely it has been revealed to us that the chastisement will surely come upon him who rejects and turns back.
KHALIFA: “`We have been inspired that the retribution will inevitably afflict those who disbelieve and turn away.’ ”
৪৬। আল্লাহ্ বলেছিলেন, ” ভয় পেয়ো না ! আমি তোমাদের সাথে আছি। আমি [ সব কিছু ] শুনি ও দেখি। ”
৪৭। সুতারাং তোমরা উভয়েই তার নিকট যাও এবং বল, “আমরা তোমার প্রভুর প্রেরিত রাসুল। সুতারাং বণী ইসরাঈলীদের আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদের কষ্ট দিও না ২৫৭০। অবশ্যই আমরা তোমার প্রভুর নিকট থেকে নিদর্শনসহ এসেছি। যারা সৎ পথ অনুসরণ করে তাদের প্রতি শান্তি ২৫৭১।
৪৮। ” আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তাদের জন্য যারা প্রত্যাখান করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। ”
২৫৭০। বণী ইসরাঈলীদের মিশরে ফেরাউনের লোকদের দ্বারা নগ্নভাবে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হতে হতো। তাদের দ্বারা কঠোর পরিশ্রম করানো হতো, তাদের নেতাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হতো। এ সব নির্যাতন ও অত্যাচারের অন্যতম উপায় ছিলো ইসরাঈলীদের দ্বারা খড় ব্যতীত ইট তৈরীর পদ্ধতি। তারা ছিলো দাসত্বের নিগড়ে বাঁধা। দেখুন [Exod . V. 6 – 19, VI . 5 ] .
২৫৭১। সবচেয়ে কঠিন ও মন্দ যে পাপী , যারা সর্বদা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকে আল্লাহ্র করুণার ধারা তাদের সবার জন্যও অবারিত। কিন্তু তাদের পাপের কৃত মন্দ পরিণাম থেকে তারা অনির্দ্দিষ্ট কালের জন্য অব্যহতি পেতে পারে না। পরবর্তী আয়াতে এ সম্বন্ধে বক্তব্য আছে। পাপী অবশ্যই শাস্তি পাবো তা সে যতবড় ক্ষমতাধর হোক বা যত ক্ষুদ্রই হোক। অপরপক্ষে যারা সৎপথ অবলম্বন করে তাদের জন্য আছে শান্তি।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৪৯)
সে বললঃ তবে হে মূসা, তোমাদের পালনকর্তা কে?
Fir’aun (Pharaoh) said: ”Who then, O Mûsa (Moses), is the Lord of you two?”
قَالَ فَمَن رَّبُّكُمَا يَا مُوسَى
Qala faman rabbukuma ya moosa
YUSUFALI: (When this message was delivered), (Pharaoh) said: “Who, then, O Moses, is the Lord of you two?”
PICKTHAL: (Pharaoh) said: Who then is the Lord of you twain, O Moses?
SHAKIR: (Firon) said: And who is your Lord, O Musa?
KHALIFA: He said, “Who is your Lord, O Moses.”
৪৯। [ যখন এই সংবাদ প্রচার করা হলো , ফেরাউন ] বলেছিলো, ” তাহলে তোমাদের দুজনের প্রভু কে ? ২৫৭২
২৫৭২। লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে , কিরূপ চতুরতার সাথে ফেরাউন মুসার বক্তব্যকে গুরুত্বহীন করার প্রয়াস পায়। আয়াতে [ ২০ : ৪৭ ] মুসা ফেরাউনকে সম্বোধন করেছিলেন ” তোমার প্রভু ” রূপে। মুসা ও হারুনের যে প্রভু, সেই একই মহাপ্রভু যে ফেরাউনের প্রভু এই বক্তব্যকে ফেরাউন চতুরতার সাথে ছুড়ে ফেলে দেয়।
উদ্ধত অহংকারের সাথে তার বক্তব্য ছিলো, ” কে তোমাদিগের প্রভু, ? কে তোমাদিগকে প্রেরণ করেছেন ?” ক্ষমতা ও দম্ভ সাধারণ মানুষকে ঠিক এ ভাবেই আল্লাহ্কে অস্বীকার করতে শেখায় , প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের ক্ষমতা রহিত করে।
সূরা ত্বোয়া-হা (আয়াত ৫০)
মূসা বললেনঃ আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
[Mûsa (Moses)] said: ”Our Lord is He Who gave to each thing its form and nature, then guided it aright.”
قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى
Qala rabbuna allathee aAAta kulla shay-in khalqahu thumma hada
YUSUFALI: He said: “Our Lord is He Who gave to each (created) thing its form and nature, and further, gave (it) guidance.”
PICKTHAL: He said: Our Lord is He Who gave unto everything its nature, then guided it aright.
SHAKIR: He said: Our Lord is He Who gave to everything its creation, then guided it (to its goal).
KHALIFA: He said, “Our Lord is the One who granted everything its existence, and its guidance.”
৫০। সে বলেছিলো, ” আমাদের প্রভু তিনি, যিনি প্রতিটি [সৃষ্ট ] বস্তুর আকৃতি ও প্রকৃতি দান করেন, উপরন্তু [ইহাকে] পথ নির্দ্দেশ দেন ২৫৭৩। ”
২৫৭৩। হযরত মুসা ফেরাউনের সাথে ” আমার প্রভু ” এবং ” তোমার প্রভু” অথবা ” ইসরাঈলীদের প্রভু” এবং ” মিশরবাসীর প্রভু ” এই বির্তকে লিপ্ত হন নাই। তাঁর প্রতি উত্তর ছিলো সহজ সরল , মর্যাদাপূর্ণ ও দ্যুতিময়। তিনি সগর্বে ঘোষণা করেন যে তিনি ও তাঁর ভাই তাঁদের প্রভুর সেবার জন্য নিবেদিত।
তাঁদের প্রভু হচ্ছেন বিশ্ব ভূবনের একমাত্র প্রভু ও প্রতিপালক। যিনি পৃথিবীর সকল বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার নির্দ্দিষ্ট যোগ্য আকৃতি স্বভাব বা ধর্ম দান করে থাকেন। মানুষের স্বভাবে তিনি ” সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” দান করেছেন।
এ ভাবেই মুসা নির্দ্দেশ করেন যে ফেরাউনও সেই বিশ্ববিধাতার ক্ষমতার অধীনে। মানুষের “স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ” সঠিক ব্যবহারের জন্য আল্লাহ্ যুগে যুগে নবী ও রসুলদের প্রেরণ করেছেন। তাঁরা মানুষদের হেদায়েতের পথে আহ্বান করেছেন। মুসা ও হারুনকেও এরূপ পথ নির্দ্দেশের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ফেরাউন কি সঠিক পথের নির্দ্দেশ অনুধাবন করবে না ও সঠিক পথে ফিরে আসবে না? “
আরও দেখুনঃ