সূরা মুমিনূন পার্ট-৪ [ চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার ‘বীজতলা ‘ বা মূলভিত্তি ] সূরা ২৩। কুরআন ।

সূরা মুমিনূন পার্ট-৪ , আল মু’মিনূন , (আরবি: سورة المؤمنون‎‎), (মুমিনগণ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ২৩ তম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১৮টি।

সূরা মুমিনূন পার্ট-৪

সূরা মুমিনূন পার্ট-৪

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৬৯)

না তারা তাদের রসূলকে চেনে না, ফলে তারা তাঁকে অস্বীকার করে?
Or is it that they did not recognize their Messenger (Muhammad SAW) so they deny him?

أَمْ لَمْ يَعْرِفُوا رَسُولَهُمْ فَهُمْ لَهُ مُنكِرُونَ
Am lam yaAArifoo rasoolahum fahum lahu munkiroona

YUSUFALI: Or do they not recognise their Messenger, that they deny him?
PICKTHAL: Or know they not their messenger, and so reject him?

SHAKIR: Or is it that they have not recognized their Messenger, so that they deny him?
KHALIFA: Have they failed to recognize their messenger? Is this why they are disregarding him?

৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?

৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।

৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

২৯১৯। আল্লাহ্‌ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্‌র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭০)

না তারা বলে যে, তিনি পাগল ? বরং তিনি তাদের কাছে সত্য নিয়ে আগমন করেছেন এবং তাদের অধিকাংশ সত্যকে অপছন্দ করে।
Or say they: ”There is madness in him?” Nay, but he brought them the truth [i.e. ”(A) Tauhîd: Worshipping Allâh Alone in all aspects (B) The Qur’ân (C) The religion of Islâm,”] but most of them (the disbelievers) are averse to the truth.

أَمْ يَقُولُونَ بِهِ جِنَّةٌ بَلْ جَاءهُم بِالْحَقِّ وَأَكْثَرُهُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ
Am yaqooloona bihi jinnatun bal jaahum bialhaqqi waaktharuhum lilhaqqi karihoona

YUSUFALI: Or do they say, “He is possessed”? Nay, he has brought them the Truth, but most of them hate the Truth.
PICKTHAL: Or say they: There is a madness in him? Nay, but he bringeth them the Truth; and most of them are haters of the Truth.

SHAKIR: Or do they say: There is madness in him? Nay! he has brought them the truth, and most of them are averse from the truth.
KHALIFA: Have they decided that he is crazy? Indeed, he has brought the truth to them, but most of them hate the truth.

৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?

৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।

৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

২৯১৯। আল্লাহ্‌ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্‌র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭১)

সত্য যদি তাদের কাছে কামনা-বাসনার অনুসারী হত, তবে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এগুলোর মধ্যবর্তêী সবকিছুই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ত। বরং আমি তাদেরকে দান করেছি উপদেশ, কিন্তু তারা তাদের উপদেশ অনুধাবন করে না।

And if the truth had been in accordance with their desires, verily, the heavens and the earth, and whosoever is therein would have been corrupted! Nay, We have brought them their reminder, but they turn away from their reminder.

وَلَوِ اتَّبَعَ الْحَقُّ أَهْوَاءهُمْ لَفَسَدَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ بَلْ أَتَيْنَاهُم بِذِكْرِهِمْ فَهُمْ عَن ذِكْرِهِم مُّعْرِضُونَ
Walawi ittabaAAa alhaqqu ahwaahum lafasadati alssamawatu waal-ardu waman feehinna bal ataynahum bithikrihim fahum AAan thikrihim muAAridoona

YUSUFALI: If the Truth had been in accord with their desires, truly the heavens and the earth, and all beings therein would have been in confusion and corruption! Nay, We have sent them their admonition, but they turn away from their admonition.

PICKTHAL: And if the Truth had followed their desires, verily the heavens and the earth and whosoever is therein had been corrupted. Nay, We have brought them their Reminder, but from their Reminder they now turn away.

SHAKIR: And should the truth follow their low desires, surely the heavens and the earth and all those who are therein would have perished. Nay! We have brought to them their reminder, but from their reminder they turn aside.

KHALIFA: Indeed, if the truth conformed to their wishes, there would be chaos in the heavens and the earth; everything in them would be corrupted. We have given them their proof, but they are disregarding their proof.

৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?

৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।

৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

২৯১৯। আল্লাহ্‌ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্‌র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্‌র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭২)

না আপনি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চান? আপনার পালনকর্তার প্রতিদান উত্তম এবং তিনিই রিযিকদাতা।
Or is it that you (O Muhammad SAW) ask them for some wages? But the recompense of your Lord is better, and He is the Best of those who give sustenance.

أَمْ تَسْأَلُهُمْ خَرْجًا فَخَرَاجُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
Am tas-aluhum kharjan fakharaju rabbika khayrun wahuwa khayru alrraziqeena
YUSUFALI: Or is it that thou askest them for some recompense? But the recompense of thy Lord is best: He is the Best of those who give sustenance.
PICKTHAL: Or dost thou ask of them (O Muhammad) any tribute? But the bounty of thy Lord is better, for He is Best of all who make provision.

SHAKIR: Or is it that you ask them a recompense? But the recompense of your Lord is best, and He is the best of those who provide sustenance.
KHALIFA: Are you asking them for a wage? Your Lord’s wage is far better. He is the best Provider.

৭২। অথবা তুমি কি তাদের নিকট প্রতিদান চাও ? কিন্তু তোমার প্রভুর প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ। তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবনোপকরণ দাতা ২৯২০।

২৯২০। আয়াত [ ২৩ : ৬৮ ] হতে যে প্রশ্ন ধারার আরম্ভ হয়েছে তা শেষ হয়েছে এই আয়াতে। অবিশ্বাসীদের অযৌক্তিক প্রশ্নগুলিকে এ ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে ; ১) মানুষের ইতিহাস যতদিনের পুরানো , আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশও ততদিনের পুরানো তবে কেন তারা তা অনুধাবন করে না [ ২৩ : ৬৮ ]। ২) তারা তাদের রসুলকে সত্যবাদী ও পূণ্যাত্মারূপে চেনে।তবে কেন তারা তার প্রচারিত সত্যকে অস্বীকার করে [ ২৩ : ৬৯ ] ৩) সত্যকে প্রচার করা কি উন্মত্ততার লক্ষণ যে তারা তাঁকে উম্মাদ বলে [ ২৩ : ৭০] ? ৪) রসুল [সা] কি সত্য প্রচারের বিনিময়ে কোনও পার্থিব পারিশ্রমিক দাবী করেন [২৩ : ৭২]। তবে কেন তারা সত্য বিমুখ। সত্যকে গ্রহণ করে না?

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৩)

আপনি তো তাদেরকে সোজা পথে দাওয়াত দিচ্ছেন;
And certainly, you (O Muhammad SAW) call them to a Straight Path (true religion Islâmic Monotheism).

وَإِنَّكَ لَتَدْعُوهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
Wa-innaka latadAAoohum ila siratin mustaqeemin
YUSUFALI: But verily thou callest them to the Straight Way;
PICKTHAL: And lo! thou summonest them indeed unto a straight path.

SHAKIR: And most surely you invite them to a right way.
KHALIFA: Most assuredly, you are inviting them to a straight path.

৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।

৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।

৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।

২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্‌র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্‌র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্‌নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্‌র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৪)

আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারা সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।

And verily, those who believe not in the Hereafter are indeed deviating far astray from the Path (true religion Islâmic Monotheism).

وَإِنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنَاكِبُونَ
Wa-inna allatheena la yu/minoona bial-akhirati AAani alssirati lanakiboona

YUSUFALI: And verily those who believe not in the Hereafter are deviating from that Way.
PICKTHAL: And lo! those who believe not in the Hereafter are indeed astray from the path.

SHAKIR: And most surely those who do not believe in the hereafter are deviating from the way.
KHALIFA: Those who disbelieve in the Hereafter will surely deviate from the right path.

৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।

৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।

৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।

২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্‌র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্‌র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্‌নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্‌র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৫)

যদি আমি তাদের প্রতি দয়া করি এবং তাদের কষ্ট দূর করে দেই, তবুও তারা তাদের অবাধ্যতায় দিশেহারা হয়ে লেগে থাকবে।

And though We had mercy on them and removed the distress which is on them, still they would obstinately persist in their transgression, wandering blindly.

وَلَوْ رَحِمْنَاهُمْ وَكَشَفْنَا مَا بِهِم مِّن ضُرٍّ لَّلَجُّوا فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ

Walaw rahimnahum wakashafna ma bihim min durrin lalajjoo fee tughyanihim yaAAmahoona

YUSUFALI: If We had mercy on them and removed the distress which is on them, they would obstinately persist in their transgression, wandering in distraction to and fro.
PICKTHAL: Though We had mercy on them and relieved them of the harm afflicting them, they still would wander blindly on in their contumacy.

SHAKIR: And if We show mercy to them and remove the distress they have, they would persist in their inordinacy, blindly wandering on.
KHALIFA: Even when we showered them with mercy, and relieved their problems, they plunged deeper into transgression, and continued to blunder.

৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।

৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।

৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।

২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্‌র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্‌র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্‌নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্‌র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৬)

আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত হল না এবং কাকুতি-মিনুতিও করল না।
And indeed We seized them with punishment, but they humbled not themselves to their Lord, nor did they invoke (Allâh) with submission to Him.

وَلَقَدْ أَخَذْنَاهُم بِالْعَذَابِ فَمَا اسْتَكَانُوا لِرَبِّهِمْ وَمَا يَتَضَرَّعُونَ
Walaqad akhathnahum bialAAathabi fama istakanoo lirabbihim wama yatadarraAAoona

YUSUFALI: We inflicted Punishment on them, but they humbled not themselves to their Lord, nor do they submissively entreat (Him)!-
PICKTHAL: Already have We grasped them with punishment, but they humble not themselves unto their Lord, nor do they pray,

SHAKIR: And already We overtook them with chastisement, but they were not submissive to their Lord, nor do they humble themselves.
KHALIFA: Even when we afflicted them with retribution, they never turned to their Lord imploring.

৭৬। আমি তাদের শাস্তি প্রয়োগ করি , কিন্তু [ তবুও ] তারা তাদের প্রভুর নিকট বিনয়ী হয় না ; বা অনুগত হয়ে প্রার্থনা করে না ২৯২২ –

২৯২২। কোনও কোনও তফসীরকারের মতে এই আয়াতটিতে বদরের যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে। তাই যদি হয় তবে এই আয়াতটি মদিনাতে অবতীর্ণ। তবে এটাই বেশী অনুধাবনযোগ্য হয় , যদি এই আয়াতের শাস্তিকে পূর্ববর্তী আয়াতের সাথে সমন্বিত করা হয়। অথবা আল্লাহ্‌র শাস্তিকে কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে সমন্বিত না করে তাকে সার্বজনীন করাই বেশী সমাচীন।

অবাধ্য পাপীরা যখন পুনঃ পুনঃ হেদায়েত সত্বেও সত্যের বাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে , সত্যকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধন থেকে বিরত থাকে – তখনই আল্লাহ্‌র শাস্তি তাদের ঘিরে ধরে। এই সার্বজনীন সত্যকে উপরের আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এ ভাবেও এর ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৭)

অবশেষে যখন আমি তাদের জন্য কঠিন শাস্তির দ্বার খুলে দেব, তখন তাতে তাদের আশা ভঙ্গ হবে।

Until, when We open for them the gate of severe punishment, then lo! They will be plunged into destruction with deep regrets, sorrows and in despair.

حَتَّى إِذَا فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِيدٍ إِذَا هُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ

Hatta itha fatahna AAalayhim baban tha AAathabin shadeedin itha hum feehi mublisoona

YUSUFALI: Until We open on them a gate leading to a severe Punishment: then Lo! they will be plunged in despair therein!
PICKTHAL: Until, when We open for them the gate of extreme punishment, behold! they are aghast thereat.

SHAKIR: Until when We open upon them a door of severe chastisement, lo! they are in despair at it.
KHALIFA: Subsequently, when we requited them with the severe retribution they had incurred, they were shocked.

৭৭। যতক্ষণ না আমি তাদের সম্মুখে ভয়াবহ শাস্তির দ্বার উম্মুক্ত করি। দেখো ! তারা তখন হতাশার মাঝে নিমজ্জিত হয় ২৯২৩।

২৯২৩। দেখুন [ ৬ : ৪৪ ] আয়াত। আল্লাহ্‌ মানুষকে দুঃখ-বিপদ ও বিপর্যয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে বান্দাকে তাঁর রাস্তায় ফিরিয়ে আনার প্রয়াস পান। দুঃখ বিপর্যয় পূণ্যাত্মাদের সাহস, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, ও মনোবল বৃদ্ধি করে , কারণ সর্ব দুঃখ বিপর্যয়ে তাঁরা আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভরশীল। আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ অপেক্ষা বড় রক্ষাকারী আর কে আছে ? অপরপক্ষে দুঃখ বিপর্যয় পাপীদের হতাশায় নিক্ষিপ্ত করে। পরলোকে যখন তারা তাদের বিচারের রায় পেয়ে যাবে তখন প্রচন্ড হতাশা তাদের ঘিরে ধরবে কারণ তখন আর অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধনের কোনও সময় থাকবে না।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৮)

তিনি তোমাদের কান, চোখ ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা খুবই অল্প কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে থাক।
It is He, Who has created for you (the sense of) hearing (ears), sight (eyes), and hearts (understanding). Little thanks you give.

وَهُوَ الَّذِي أَنشَأَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
Wahuwa allathee anshaa lakumu alssamAAa waal-absara waal-af-idata qaleelan ma tashkuroona

YUSUFALI: It is He Who has created for you (the faculties of) hearing, sight, feeling and understanding: little thanks it is ye give!
PICKTHAL: He it is Who hath created for you ears and eyes and hearts. Small thanks give ye!

SHAKIR: And He it is Who made for you the ears and the eyes and the hearts; little is it that you give thanks.
KHALIFA: He is the One who granted you the hearing, the eyesight, and the brains. Rarely are you appreciative.

রুকু – ৫

৭৮। তিনিই তোমাদের জন্য শ্রবণের, দৃষ্টির, [অন্তরের] অনুভূতির এবং অনুধাবনের [ ক্ষমতার ] সৃষ্টি করেছেন ২৯২৪। [ এ জন্য ] তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক।

২৯২৪। অন্যান্য আয়াতে “অন্তঃকরণ ” বা ” হৃদয়” শব্দটি আরবীতে বুদ্ধি ও অনুভবের আঁধারকে বোঝানো হয়েছে, যেখান থেকে হৃদয় বৃত্তি বা অনুভব এবং বুদ্ধিমত্তার জন্ম হয়। চক্ষু , কর্ণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় যার মাধ্যমে মানুষ এই চেনা জানা পৃথিবীর জ্ঞান অর্জন করে এবং হৃদয়ের মাধ্যমে এই জ্ঞানকে পরিশ্রুত করে বিচার বিবেচনার মাধ্যমে আত্মার মাঝে বিবেক , বিচারবুদ্ধি ও মহত্বের জন্ম দান করে। আর এ সব কিছুই পরম করুণাময়েরই দান। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গাহ্য সকল জ্ঞানের উৎস আল্লাহ্‌।

ব্যক্তির মেধা , মননশক্তি , বুদ্ধিমত্তা,সৃজনক্ষমতা সবই আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে বান্দার জন্য দান বা নেয়ামত। এ সকলের জন্য বান্দার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা হচ্ছে আল্লাহ্‌র দেয়া নেয়ামতকে আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করা। আল্লাহ্‌র রাস্তা অর্থাৎ তার সৃষ্টির সেবার জন্য খরচ করা। কিন্তু এ সব অবিশ্বাসীরা কৃতজ্ঞতা জানানোর পরিবর্তে আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন করে এবং আল্লাহ্‌র নিন্দাতে লিপ্ত হয়।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৭৯)

তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন এবং তারই দিকে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
And it is He Who has created you on the earth, and to Him you shall be gathered back.

وَهُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
Wahuwa allathee tharaakum fee al-ardi wa-ilayhi tuhsharoona

YUSUFALI: And He has multiplied you through the earth, and to Him shall ye be gathered back.
PICKTHAL: And He it is Who hath sown you broadcast in the earth, and unto Him ye will be gathered.

SHAKIR: And He it is Who multiplied you in the earth, and to Him you shall be gathered.
KHALIFA: He is the One who established you on earth, and before Him you will be summoned.

৭৯। তিনি পৃথিবীর বুকে তোমাদের [বংশ ] বৃদ্ধি করেছেন , এবং তোমাদের তারই নিকট একত্রিত করা হবে।

৮০। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তাঁরই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ? ২৯২৫

২৯২৫। “দিবা ও রাত্রির পরিবর্তন ” বাক্যটি দ্বারা সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্‌র কল্যাণকর পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিষ, প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন সবই বিশ্ব স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন মানুষের শারিরীক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮০)

তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং দিবা-রাত্রির বিবর্তন তাঁরই কাজ, তবু ও কি তোমরা বুঝবে না?
And it is He Who gives life and causes death, and His is the alternation of night and day. Will you not then understand?

وَهُوَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ وَلَهُ اخْتِلَافُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
Wahuwa allathee yuhyee wayumeetu walahu ikhtilafu allayli waalnnahari afala taAAqiloona

YUSUFALI: It is He Who gives life and death, and to Him (is due) the alternation of Night and Day: will ye not then understand?
PICKTHAL: And He it is Who giveth life and causeth death, and His is the difference of night and day. Have ye then no sense?

SHAKIR: And He it is Who gives life and causes death, and (in) His (control) is the alternation of the night and the day; do you not then understand?
KHALIFA: He is the One who controls life and death, and He is the One who alternates the night and day. Do you not understand?

৭৯। তিনি পৃথিবীর বুকে তোমাদের [বংশ ] বৃদ্ধি করেছেন , এবং তোমাদের তারই নিকট একত্রিত করা হবে।

৮০। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তাঁরই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ? ২৯২৫

২৯২৫। “দিবা ও রাত্রির পরিবর্তন ” বাক্যটি দ্বারা সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্‌র কল্যাণকর পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিষ, প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন সবই বিশ্ব স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন মানুষের শারিরীক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮১)

বরং তারা বলে যেমন তাদের পূর্ববর্তীরা বলত।
Nay, but they say the like of what the men of old said.

بَلْ قَالُوا مِثْلَ مَا قَالَ الْأَوَّلُونَ
Bal qaloo mithla ma qala al-awwaloona

YUSUFALI: On the contrary they say things similar to what the ancients said.
PICKTHAL: Nay, but they say the like of that which said the men of old;

SHAKIR: Nay, they say the like of what the ancients said:
KHALIFA: They said what their ancestors said.

৮১। এতদ্‌সত্বেও তারা বলে , যেমন বলেছিলো পূর্ববর্তীগণ ২৯২৬।

২৯২৬। মানুসের স্বভাব ধর্মকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। নূতন যুগের আগমনে নবীনদের সর্বদা দেখা যায় যে তারা পুরাতনদের সব কিছুই ত্যাগ করতে আগ্রহী। কিন্তু রসুলের [ সা ] আগমনে তারা যখন সম্পূর্ণ প্রত্যাদেশ লাভ করলো – সেক্ষেত্রে তাদের উচিত ছিলো সেই নূতন প্রত্যাদেশ গ্রহণ করা। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করার পরিবর্তে পূর্বের অধিবাসী, যারা গত হয়েছেন তাদের, মত , পথ ও অবিশ্বাস আঁকড়ে ধরে। আসলে “দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না” এই প্রবাদ বাক্যটি যর্থাথই মনুষ্য চরিত্রকে উন্মোচন করেছে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮২)

অতীতে আমাদেরকে এবং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। এটা তো পূর্ববতীদের কল্প-কথা বৈ কিছুই নয়।

”Verily, this we have been promised, we and our fathers before (us)! This is only the tales of the ancients!”

لَقَدْ وُعِدْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا هَذَا مِن قَبْلُ إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ

Laqad wuAAidna nahnu waabaona hatha min qablu in hatha illa asateeru al-awwaleena

YUSUFALI: “Such things have been promised to us and to our fathers before! they are nothing but tales of the ancients!”
PICKTHAL: We were already promised this, we and our forefathers. Lo! this is naught but fables of the men of old.

SHAKIR: Certainly we are promised this, and (so were) our fathers aforetime; this is naught but stories of those of old.
KHALIFA: “Such promises were given to us and to our parents in the past. These are no more than tales from the past.”

৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?

৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”

৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”

৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্‌র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”

২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে।

দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।

সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮৩)

অতীতে আমাদেরকে এবং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। এটা তো পূর্ববতীদের কল্প-কথা বৈ কিছুই নয়।

”Verily, this we have been promised, we and our fathers before (us)! This is only the tales of the ancients!”

لَقَدْ وُعِدْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا هَذَا مِن قَبْلُ إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ

Laqad wuAAidna nahnu waabaona hatha min qablu in hatha illa asateeru al-awwaleena

YUSUFALI: “Such things have been promised to us and to our fathers before! they are nothing but tales of the ancients!”
PICKTHAL: We were already promised this, we and our forefathers. Lo! this is naught but fables of the men of old.

SHAKIR: Certainly we are promised this, and (so were) our fathers aforetime; this is naught but stories of those of old.
KHALIFA: “Such promises were given to us and to our parents in the past. These are no more than tales from the past.”

৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?

৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”

৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”

৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্‌র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”

২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮৪)

বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল।

Say: ”Whose is the earth and whosoever is therein? If you know!”

قُل لِّمَنِ الْأَرْضُ وَمَن فِيهَا إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

Qul limani al-ardu waman feeha in kuntum taAAlamoona

YUSUFALI: Say: “To whom belong the earth and all beings therein? (say) if ye know!”
PICKTHAL: Say: Unto Whom (belongeth) the earth and whosoever is therein, if ye have knowledge?

SHAKIR: Say: Whose is the earth, and whoever is therein, if you know?
KHALIFA: Say, “To whom belongs the earth and everyone on it, if you know?”

৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?

৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”

৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”

৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্‌র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”

২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে।

দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮৫)

এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?

They will say: ”It is Allâh’s!” Say: ”Will you not then remember?”

سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ

Sayaqooloona lillahi qul afala tathakkaroona

YUSUFALI: They will say, “To Allah!” say: “Yet will ye not receive admonition?” PICKTHAL: They will say: Unto Allah. Say: Will ye not then remember?

SHAKIR: They will say: Allah’s. Say: Will you not then mind?

KHALIFA: They will say, “To GOD.” Say, “Why then do you not take heed?”

৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?

৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”

৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”

৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্‌র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”

২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে।

দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮৬)

বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে?
Say: ”Who is (the) Lord of the seven heavens, and (the) Lord of the Great Throne?”

قُلْ مَن رَّبُّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
Qul man rabbu alssamawati alssabAAi warabbu alAAarshi alAAatheemi

YUSUFALI: Say: “Who is the Lord of the seven heavens, and the Lord of the Throne (of Glory) Supreme?”
PICKTHAL: Say: Who is Lord of the seven heavens, and Lord of the Tremendous Throne?

SHAKIR: Say: Who is the Lord of the seven heavens and the Lord of the mighty dominion?
KHALIFA: Say, “Who is the Lord of the seven universes; the Lord of the great dominion?”

৮৬। বল : ” কে সপ্ত আকাশ এবং [ গৌরবের ] সর্বোচ্চ সিংহাসনের প্রভু ২৯২৮ ? ”

২৯২৮। দেখুন আয়াত [ ৯ : ১২৯ ]।

সূরা মুমিনূন
সূরা মুমিনূন

সূরা মুমিনূন (আয়াত ৮৭)

এখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না?
They will say: ”Allâh.” Say: ”Will you not then fear Allâh (believe in His Oneness, obey Him, believe in the Resurrection and Recompense for each and every good or bad deed).”

سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ
Sayaqooloona lillahi qul afala tattaqoona

YUSUFALI: They will say, “(They belong) to Allah.” Say: “Will ye not then be filled with awe?”
PICKTHAL: They will say: Unto Allah (all that belongeth). Say: Will ye not then keep duty (unto Him)?

SHAKIR: They will say: (This is) Allah’s. Say: Will you not then guard (against evil)?
KHALIFA: They will say, “GOD.” Say, “Why then do you not turn righteous?”

৮৭। তারা বলবে , ” আল্লাহ্‌।” বল : ” তবুও কি তোমরা ভীত সন্ত্রস্ত হবে না ? ” ২৯২৯

২৯২৯। দেখুন টিকা ২৯২৭। মহা বিশ্ব ভূবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য এবং মহিমময় সৃষ্টি যদি আমাদের বিস্মিত করতে পারে তবে এসবের নিয়ন্ত্রণকর্তা যিনি , তার ক্ষমতা ও সুউচ্চ অবস্থান কি আরও অধিক বিস্ময়ের উদ্ভব করে না? মানুষ কি বিশ্ব ভূবনের অধিপতির শ্রেষ্ঠত্ব, ক্ষমতা ও মহিমান্বিত রূপকে অনুধাবন করে নিজের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব উপলব্ধি করতে পারে না ?

আরও পড়ুন:

 

Leave a Comment