আপস-আলোচনায় অনেক বেশি সময় লাগা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-৩, কুরাইশ নেতাদের সঙ্গে উসমানের রুদ্ধদ্বার আপস-আলোচনা চলতে চলতে দিনের প্রায় পুরোটা পার হয়ে গেল। এত সময় লাগবে তা কেউ আশা করেনি। কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই কিছু সাহাবি উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়লেন। উৎকণ্ঠা এক সময় আতঙ্কে পরিণত হলো। আর তা থেকে সৃষ্টি হলো গুজব, দ্রুত গুজব ছড়িয়ে পড়তে লাগল। সাহাবিরা এক সময় গুজবকেই সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করলেন।
আপস-আলোচনায় অনেক বেশি সময় লাগা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-৩ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

জবের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানা নেই । কেউ একজন নিশ্চয়ই বলেছেন, “যদি তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে?” এই কথা যখন অন্যদের কানে যায়, তখন হয়তো তাঁদের কেউ বলেন, “সম্ভবত সে আর বেঁচে নেই।” এই কথা আরও ছড়াতে ছড়াতে একসময় বলা হতে লাগল, “নিশ্চয়ই তিনি আর বেঁচে নেই।”

এভাবে একপর্যায়ে মুসলিমদের মনে এই ধারণা প্রবল হয় যে নিশ্চয়ই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বেঁচে থাকলে তিনি অবশ্যই এতক্ষণে ফিরে আসতেন। এই গুজব নবিজির (সা) কাছে পৌঁছার পর তিনি বললেন, “আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত ফিরে যাব না।” পুরো পরিস্থিতিটি লক্ষ করুন: মুসলিমরা ও তাঁদের প্রাণীগুলো ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত। তাঁদের খাবার ও অন্যান্য জিনিসের মজুত কমে আসছে।
সবচেয়ে বড় কথা, তাঁরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নন। তাঁরা তো শুধু ওমরা করতেই এই সফরে এসেছেন। অন্যদিকে, কুরাইশরা প্রচুর খাবারের মজুত নিয়ে নিজেদের বাড়িতে স্বচ্ছন্দে আছে। তা ছাড়া তাদের সংখ্যা মুসলিমদের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তাই উসমানের (রা) কোনো খবর না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নবিজি (সা) যখন তাঁদের যুদ্ধের জন্য ডাকেন, তখন এটা নিশ্চিতভাবেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার শামিল। সংখ্যা ও প্রস্তুতি মিলিয়ে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে লড়াই করে জেতার কোনো সুযোগই নেই।
আরও পড়ুনঃ