নবিজির (সা) আরেকটি অলৌকিক ঘটনা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১, উট থামার জায়গাটিতেই সাহাবিরা শিবির স্থাপন করলেন; তারপর হুদায়বিয়ার কূপের কাছে গিয়ে দেখলেন যে পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে। তখন তাঁরা নবিজির (সা) কাছে এসে বললেন, “আমাদের কাছে তো কোনো পানি নেই। এদিকে আমাদের প্রাণীগুলোও বেশ তৃষ্ণার্ত। সারাদিন উপত্যকায় হেঁটে এখানে এসেছি। এখন তো আমাদের পানি দরকার।”
নবিজির (সা) আরেকটি অলৌকিক ঘটনা | হুদায়বিয়ার সন্ধি (চুক্তি)-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

নবিজি (সা) কূপের পাশে গিয়ে বসে সাহাবিদের কূপ থেকে বালতিতে করে কিছু পানি তুলতে বললেন। তারপর তিনি বালতি থেকে কিছু পানি নিয়ে কুলকুচা করে বালতিতে ফেললেন, তারপর সেই পানি আবার কূপে ফেলে দিলেন। সেই বের হতে শুরু করে। সাহাবিরা বর্ণনা করেছেন, পানির সময় কূপ থেকে পানি বেগ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে কূপের পাশে বসা সাহাবিদের ডুবে যাওয়া এড়াতে দ্রুত সরে আসতে হয়েছিল। সুবহানাল্লাহ! তখন থেকে ১,৪০০ জনের পুরো কাফেলা এবং তাদের প্রাণীগুলো সেই কূপের পানি পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করতে থাকে। এটি ছিল নবিজির (সা) আরেকটি-অলৌকিক ঘটনা বা মিরাকল ।

আপস-আলোচনা শুরু হবে
নবি করিম (সা) বুঝতে পারছিলেন যে, এখন কুরাইশদের সঙ্গে আপস-আলোচনা করার সময় এসেছে। তিনি সাহাবিদের সামনে ঘোষণা করলেন, “আমি সেই একক সত্ত্বার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার প্রাণ, কুরাইশরা যতক্ষণ আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে সম্মান করবে, ততক্ষণ তারা আমার কাছে যে শর্ত নিয়ে আসবে তা আমি মেনে নেব।” লক্ষ করুন, তিনি যুদ্ধ করার বিষয়ে মোটেই আগ্রহী নন। তারা যা কিছু চাইবে, তিনি ততক্ষণ তাতে রাজি থাকবেন যতক্ষণ না শর্তে হারাম কিছু থাকে। কুরাইশ দূতরা যেসব কঠোর শর্ত নিয়ে আসছে সেগুলোর বিষয়ে সাহাবিদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য তিনি এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওদিকে কুরাইশ স্কাউটরা ফিরে গিয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদকে মুসলিমদের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। ১,৪০০ মানুষের বিশাল কাফেলা কোথাও গেলে তা তো আর গোপন রাখা যায় না। খবর পেয়ে কুরাইশ বাহিনী ঘুমায়েম থেকে মক্কায় ফিরে যায়; তারপর তারা কৌশল পরিবর্তন করে মুসলিমদের সঙ্গে আপস- আলোচনা শুরু করার জন্য হুদায়বিয়ায় একদল দূত পাঠানোর প্রস্তুতি নেয় ।
আরও পড়ুনঃ