আল্লাহ কোরানের আয়াতের মাধ্যমে জানালেন যে আয়েশা (রা) নির্দোষ | আয়েশার (রা) ওপর মিথ্যা অপবাদ-২, যখন মানুষের সাহায্য পাওয়ার সব দরজা যখন বন্ধ হয়ে গেল, তখন আয়েশা (রা) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে সাহায্য চাইলেন। তিনি হাতেনাতে ফল পেলেন । আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নবিজি (সা) মাথা নিচু করলেন, যা ছিল ওহি নাজিল হওয়ার পূর্বলক্ষণ। ওহি পাওয়ার পর নবিজি (সা) আনন্দে হাসতে লাগলেন। তারপর প্রথমেই যে কথাটি বললেন তা হলো, “হে আয়েশা, আল্লাহ তোমার নির্দোষতা প্রকাশ করেছেন!”
আল্লাহ কোরানের আয়াতের মাধ্যমে জানালেন যে আয়েশা (রা) নির্দোষ | আয়েশার (রা) ওপর মিথ্যা অপবাদ-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আল্লাহ তায়ালা সুরা নূরের প্রথম ভাগের বেশ খানিকটা জুড়ে এই বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ জিনার মিথ্যা অভিযোগের শাস্তির কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন; যারা অপবাদ ছড়িয়েছে (বিশেষ করে আয়েশা (রা) সম্পর্কে ) তিনি তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে প্রত্যেককে ৮০টি করে বেত্রাঘাত করার বিধান দেওয়া হয়েছে এবং “তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্য আছে কঠিন শান্তি।” [সুরা নুর, 24: 11]
এবার আয়েশাকে (রা) তাঁর মা বললেন, “আয়েশা, এবার তুমি উঠে দাঁড়াও এবং নবিজিকে (সা) ধন্যবাদ জানাও।” কিন্তু তিনি তখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি অনেকটা অভিমানের সুরে বললেন, “না। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর জন্য উঠে দাঁড়াব না। কোরানের আয়াতের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করার জন্য আমি কেবল আল্লাহকেই ধন্যবাদ দেব।”

আবু বকরের (রা) মিসতাহকে দেওয়া সাদকা
মিসতাহ ছিল আর্থিকভাবে অসচ্ছল। আবু বকর তাকে আত্মীয়তার কারণ ছাড়াও বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি হিসেবে নিয়মিত অর্থসাহায্য দিতেন। সে আয়েশার (রা) নামে গুজব রটাতে শুরু করলে আবু বকর (রা) বললেন, “আল্লাহর কসম, আমি কখনও তাঁকে আর একটি পয়সাও দেব না।” আৰু বকরের এই কথার প্রেক্ষিতে আল্লাহ সুরা নূরে আয়াত নাজিল করেন: “তোমাদের মধ্যে যারা ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ গ্রহণ না করে যে, তারা আত্মীয়স্বজন ও অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর রাস্তায় যারা গৃহত্যাগ করেছে তাদের কোনোরকম সাহায্য করবে না; তারা যেন তাদের ক্ষমা করে এবং তাদের দোষত্রুটি উপেক্ষা করে ।
তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেন? আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সুরা নুর, ২৪: 22] এই আয়াত নাজিলের পর আবু বকর (রা) বলেন, “আল্লাহর কসম, আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন তাকে দান করে যাব।” তিনি আগের শপথের জন্য কাফফারাও দেন। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন মিসতাহকে আগের চেয়েও বেশি সাহায্য করে গেছেন কেবল এই আয়াতটির কারণে ।
আরও পড়ুনঃ