১ম পরিচ্ছেদঃ আল ইমান | আকাইদ ও ফিকহ

১ম পরিচ্ছেদঃ আল ইমান আজকের আলোচনার বিষয়। ” আল ইমান [ Al Iman ]” ক্লাসটি “আকাইদ [Aqeedah]” অধ্যায়ের পাঠ, যা ৯ম শ্রেণীতে [Class- 9] পড়ানো হয়। ” আল ইমান [ Al Iman ]” পাঠটি “আকাঈদ ও ফিকহ” বিষয়ের অংশ। যা “আকাঈদ [ Aqeedah ]” বা ১ম অধ্যায় এ পড়ানো হয়।

 

১ম পরিচ্ছেদঃ আল ইমান

 

ঈমান (إِيمَان ‘ঈমান’, শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।

আলেমগণ আকীদা ও ঈমানের পার্থক্য করে বলেন যে, আকীদা বলতে ধর্মবিশ্বাসের সকল মত, পথ, প্রচলন, বৈচিত্র্য ও বর্ণালীকে বোঝায় আর ঈমান শুধুমাত্র দেওয়া বিশুদ্ধ ইসলামী ধর্মবিশ্বাসকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আরবি ভাষায় আভিধানিকভাবে আকীদা শব্দটির অর্থ বিশ্বাস, এবং ঈমান শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া (তাওয়াক্কুল শব্দটিরও একটি অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া), স্বীকার করা বা মেনে নেওয়া। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশ্বাসের প্রকৃতি বা ধরনের নাম হলো আকীদা, আর কোন আকীদা বা বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেওয়া বা মেনে নেওয়ার নাম হলো তার উপর ঈমান আনা।

 

আল ইমান

 

এছাড়া ঈমান অর্থ হলো স্বীকৃতি দেওয়া, যার তিনটি ধাপ, প্রথম ধাপটি হলো অন্তরে বিশ্বাসের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান, দ্বিতীয় ধাপটি হলো মুখ দ্বারা অর্থাৎ প্রকাশ্যে বলে ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান, আর তৃতীয় ধাপটি হলো কাজের মাধ্যমে বা কাজে পরিণত করার মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান। এর মধ্যে অন্তরে বিশ্বাসের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করার ধাপটি আকিদার বা বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যা ঈমানের মূল বা মৌলিক ভিত্তি বা শিকড়স্বরূপ। এর প্রমাণ বা দলিল হলো নিম্নোক্ত হাদিসটিঃ

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা ( উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।’’

 

আখলাক পরিচিতি

১ম পরিচ্ছেদঃ আল ইমান নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment