ইরাবের পরিচয় ও প্রকার আজকের আলোচনার বিষয়। ইরাবের পরিচয় ও প্রকার ক্লাসটি “ইল্মুন নাহ্ব [Ilmun Nahab]” বিষয়ক আজ ৯ম ক্লাস। আরবির ব্যাকরণকে [Arabic Grammer] বলা হয় “ক্বাওয়াঈদুল লুগাতি”। এটি আবার দুটি ভাগে বিভক্ত। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে ‘নাহু-বিদ্যা’ আর অপরটি ‘সরফ-বিদ্যা’।
ইরাবের পরিচয় ও প্রকার
আরবি ব্যকরণের মধ্যে الإِعْرَابُ একটি অন্যতম গুরত্বপূর্ণ অংশ। الإِعْرَابُ সম্পর্কে আমাদের পরিস্কার ধারণা লাভ করা প্রয়োজন। তাই এই অধ্যায়ে الإِعْرَابُ ও এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তবে, الإِعْرَابُ বুঝার জন্য আরবি preposition সম্পর্কেও জানতে হবে। আরবি ব্যকরণে preposition এর নাম হল حَرْفُ جَرّ যা এই পাঠেই আলোচনা করা হবে। কেননা, الإِعْرَابُ এর সাথে حَرْفُ جَرّ এর সম্পর্ক রয়েছে।
যাহোক, চলুন প্রথমে আমরা الإِعْرَابُ নিয়ে আলোচনা করি।

الإِعْرَابُ কাকে বলে? الإِعْرَابُ কিভাবে কাজ করে? (عامِل)
এর আগের পাঠে আমরা দেখেছি, আরবি اِسْمٌ বাক্যের Subject হতে পারে এবং Object হতে পারে। আবার اِسْمٌ টি বাক্যের Preposition বা Adverb এর পরেও আসতে পারে।
বাক্যে اِسْمٌ এর অবস্থান বা এর কাজের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে اِسْمٌ টির শেষের হরফের স্বরচিহ্নের (حَرْكَت বা تَنْبِيْن) তারতম্য হয়। এই স্বরচিহ্নের তারতম্যের কারণে একই اِسْمٌ এর শব্দরুপ বিভিন্ন রকম হয়।
اِسْمٌ এর শেষ অক্ষরের স্বরচিহ্নের ভিন্নতার এই প্রক্রিয়কেই الإِعْرَابُ বলে। আরবি اِسْمٌ এর স্বরচিহ্নের পরিবর্তন বাক্যে উপস্থিত عامِل এর কারণেও হয়ে থাকে। عامِل সম্পর্কে পরবর্তিতে অন্য এক পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে, এখানে এতটুকু বলা যায়, preposition আরবিতে যাকে حَرْفُ جَرّ বলা হয়, এই حَرْفُ جَرّ আরবি বিশেষ্য পদ বা اِسْمٌ এর আগে বসলে اِسْمٌ টির শেষ অক্ষরের স্বরচিহ্নের পরিবর্তন হয়। কাজেই حَرْفُ جَرّ কে এক প্রকার عامِل বলা যায়।
এই পাঠে যখন حَرْفُ جَرّ নিয়ে আলোচনা হবে, তখন বিষয়টি আরোও সুন্দরভাবে বোধগম্য হবে।
যাহোক, আরবি ভাষায় ব্যবহৃত সকল اِسْمٌ ই اِعْرَاب গ্রহন করেনা। যে সব اِسْمٌ , اِعْرَاب গ্রহন করে তাদের المُعْرَابُ বলে আর যারা গ্রহন করেনা তাদের المَبْنِيُّ বলে।
Note: স্বাভাবিক অবস্থায় আরবি ভাষার সমস্ত اِسْمٌ এর শেষ অক্ষর পেশ বা ضمَّه আকারে থাকে যা مَرْفُوْعٌ হিসাবে প্রকাশ পায়।
এখন আমরা আরবি ভাষয় ব্যবহৃত দু’টি preposition বা حَرْفُ جَر সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দিব, এরা হল-
- في – in বা মধ্যে
- على – on বা উপরে
এবারে নিচের চিত্রের সাহায্যে দেখানো হবে, আরবি اِسْمٌ এর পূর্বে حَرْفُ جَر বা preposition বসার কারণে اِسْمٌ টির শেষ অক্ষরের স্বরচিহ্ন বা হরকতটি কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছে:
এর আগে আমরা জেনেছি, আরবি ভাষার সমস্ত اِسْمٌ স্বাভাবিক অবস্থায় مَرْفُوْعٌ হিসাবে থাকে। এখন উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে البَيتُ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার কারণে مَرْفُوْعٌ আকারে ছিল। কিন্ত البَيْتُ এর পূর্বে حَرْفُ جَرّ বা Preposition في এসে বসায় اِسْمٌ টির শেষ অক্ষর كَسْرَه বা যের বিশিষ্ট হয়ে مَخْرُوْرٌ হয়ে গেল। ইহাকে একত্রে جَرّ و مَخْرُوْرٌ বলা হয়।
এভাবেই, কোন বাক্যে اِسْمٌ এর পূর্বে যদি حَرْفُ جَرّ বা Preposition এসে বসে তখন اِسْمٌ টির স্বাভাবিক مَرْفُوْعٌ অবস্থাটি বদলে গিয়ে مَخْرُوْرٌ হয়ে যায়।
Note: مَرْفُوْعٌ এবং مَخْرُوْرٌ
আরবি اِسْمٌ এর শেষ অক্ষর পেশ বিশিষ্টি হলে তাকে مَرْفُوْعٌ, অপরদিকে اِسْمٌ এর শেষ অক্ষর জের বিশিষ্টি হলে তাকে مَخْرُوْرٌ বলে। এই পেশ ও যের এর সংখ্য একটিও হতে পারে আবার তানভিনের মত দু’টিও হতে পারে।
এবারে, আরবি বাক্যে اِسْمٌ এর অবস্থানগত ভিন্নতার কারণে اِسْمٌ এর পরিবর্তিত শব্দরুপের উদাহারণ নিচের টেবিলের সাহায্যে উপস্থাপন করা হল।
اِسْمٌ এর অবস্থান বা কাজ | اِسْمٌ এর case | اِسْمٌ এর শব্দরুপ | উদাহারন |
---|---|---|---|
اِسْمٌ বাক্যের subject হলে | مَرْفُوْعٌ Nominative case | اِسْمٌ টির শেষ অক্ষর পেশ বিশিষ্ট হল | جَاءَ خَالِدٌ খালিদ আসল |
اِسْمٌ বাক্যের Object হলে | مَنْصُوْبٌ Accusative case | اِسْمٌ টির শেষ অক্ষর জবর বিশিষ্ট হল | رَأَيتُ خالِدً আমি খালিদকে দেখলাম |
اِسْمٌ যদি Preposition বা Adverb এর পরে বসে | مَخْرُوْرٌ Genitive case | اِسْمٌ টির শেষ অক্ষর জের বিশিষ্ট হল | مَرَرْتُ بِخَالِدٍ আমি খালিদের পাশ দিয়ে গমন করলাম |
اِسْمٌ যদি কোন কিছুর মালিকের ভুমিকায় থাকে | مَخْرُوْرٌ Genitive case | اِسْمٌ টির শেষ অক্ষর জের বিশিষ্ট হল | قَلَمُ خالِدٍ خَدِيدٌ খালেদের কলমটি নতুন |
উপরের টেবিলের সর্ব ডানদিকে উদাহারনের কলামের প্রতিটি বাক্যে একই ব্যক্তি خَالِدٌ ব্যবহৃত হয়েছে যে কিনা اِسْمٌ বা বিশেষ্য পদ। বাক্যেগুলিতে তার অবস্থান গত কারনে খালিদ কখোনো দুন্ (مَرْفُوْعٌ), কখোনো দান্ (مَنْصُوْبٌ) এবং কখোনো দিন্ (مَخْرُوْرٌ) হয়েছে। অর্থাৎ খালিদুন্, খালিদান্ এবং খালিদিন্ হয়েছে।
কাজেই, اِسْمٌ এর শেষ অক্ষরের স্বরচিহ্নই ( حَرْكَت বা تَنْبِيْن ) বাক্যে তার কাজের ধরণ ব্যক্ত করে। এভাবে যে, اِسْمٌ টি কি বাক্যের মধ্যে مَرْفُوْعٌ হবে নাকি مَنْصُوْبٌ বা مَخْرُوْرٌ হবে।
ইরাবের পরিচয় ও প্রকার নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ