১ম পাঠ: তাওহিদের স্তরসমূহ আজকের আলোচনার বিষয়। ” তাওহিদের স্তরসমূহ [ Tawheed ]” ক্লাসটি “আকাইদ [Aqeedah]” অধ্যায়ের পাঠ, যা ৭ম শ্রেণীতে [Class- 7] পড়ানো হয়। ” তাওহিদের স্তরসমূহ [ Tawheed ]” পাঠটি “আকাঈদ ও ফিকহ” বিষয়ের অংশ। যা “আকাঈদ [ Aqeedah ]” বা ৪র্থ অধ্যায়ে ১ম পাঠে পড়ানো হয়।
১ম পাঠ: তাওহিদের স্তরসমূহ
তাওহিদ (আরবি: توحيد) বলতে ইসলাম ধর্মে এক আল্লাহর ধারণাকে বোঝায়। তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ৷ এটি শিরকের বিপরীত। ইসলামি পরিভাষায় তাওহিদ হল সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য সাব্যস্ত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।

কুরআনে বলা হয়েছে,
“কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়।”[কুরআন ৪২:১১]
কুরআনের অন্য স্থানে বলা হয়েছে,
“বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তার কোনো সমকক্ষও নেই।”
তাওহীদের স্তর
– তাওহীদ তিন প্রকার আবার কারও কারও মতে চার প্রকার:
প্রথম তিনটি প্রকার হলঃ
- তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ : একমাত্র স্রষ্টা, রিযিকদাতা, সবকিছুর একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিশ্বাস করা।
- তাওহীদুল ঊলূহিয়্যাহ : শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করা,[টীকা ১] তাগুতকে বর্জন করা।
- তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহর নাম ও গুণাবলীগুলো বিকৃতি, ধরন নির্ধারণ, সাদৃশ্য প্রদান ছাড়াই বিশ্বাস করা।
চতুর্থ প্রকার যা ইখওয়ানুল মুসলিমীনসহ অনেক রাজনৈতিক মতাদর্শীয় আলেমগণ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দাবি করে থাকে তা হলোঃ
- তাওহীদুল হাকিমিয়্যা: বিধান এবং সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহ এক ও একক। যেমন: চুরি করলে কি শাস্তি, যেনা করলে কি শাস্তি, চুরি ডাকাতি করলে কি শাস্তি, এসবকিছুর বিধান একমাত্র আল্লাহর বর্ণিত আদেশ অনুযায়ী গ্রহণ করা। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং জাতীয়তাবাদকে তাওহীদের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া।
১ম পাঠ: তাওহিদের স্তরসমূহ নিয়ে বিস্তারিত ঃ
আরও দেখুনঃ