ইসলামে ধর্মপালনের স্বাধীনতা | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান, পবিত্র কোরানের উপরে উল্লিখিত আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, ইসলামে ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের নিজ নিজ ধর্মপালনের-স্বাধীনতা রয়েছে।
ইসলামে ধর্মপালনের স্বাধীনতা | আল-মুরাইসি ও বনু আল-মুস্তালিকের অভিযান | মহানবী হযরত-মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে ধর্মীয় স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায় এটি পুরোপুরি সে রকম নয়। ইসলাম এক ধরনের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়েছিল সেই সময়ে, যখন পৃথিবী তে এই জাতীয় স্বাধীনতার কোনো ধারণাই ছিল না, যখন খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ভাতৃপ্রতিম ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টরা হাজার বছর ধরে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত ছিল। আসলে খ্রিষ্টধর্মের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যকার সুদীর্ঘ বিরোধ- সংঘাতের মধ্য দিয়েই আধুনিক সেক্যুলার ধারণার সূচনা হয় । টিকে থাকার জন্যই খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের এর প্রয়োজন ছিল; অন্যথায় তারা একে অপরকে শেষ করে দিচ্ছিল । ইতিহাসের এই পটভূমিতে ১৬-১৭ শতাব্দীতে টমাস পেইন {২} ও অন্যরা সব ধর্মের ক্ষেত্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতার ধারণা প্রবর্তন করেন।

অন্যদিকে ইসলামে খ্রিষ্টধর্মের মতো এই সমস্যাটি ছিল না। আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ধর্ম বিশ্বাস সত্য, তবে কেউ যদি অন্য ধর্ম বিশ্বাস অনুসরণ করতে চায় তবে সেটা তার ব্যাপার। ইসলামের ইতিহাসের প্রথম থেকেই এটা স্বীকৃত। পবিত্র কোরানের উপরোক্ত আয়াত [ 2:256] তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এই আয়াতের মাধ্যমে আনসার মুসলিমদের বলা হয়েছিল, তাঁরা নিজেদের পুত্রদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করার অনুমতি কিংবা অধিকার রাখেন না। ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে এর চেয়ে গভীর ব্যাখ্যা সেই সময়ের আগে ছিল কল্পনাতীত।
আরও পড়ুনঃ