নবিজি (সা) ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসীদের অভিযোগ: সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকার অপচেষ্টা | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২, নবিজির (সা) বিরুদ্ধে উরওয়ার অভিযোগগুলো ছিল: একটি নতুন ধর্ম প্রবর্তন করা, হারামের পবিত্রতা ভঙ্গ করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা। কুরাইশদের দৃষ্টিকোণ থেকে:
নবিজি (সা) ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসীদের অভিযোগ: সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকার অপচেষ্টা | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

-নবিজি (সা) কি একটি নতুন ধর্ম নিয়ে আসেননি? যদিও প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের (আ) ধর্মই নিয়ে এসেছেন।
-নবিজি (সা) কি যুদ্ধযাত্রার মতো করে ১,৪০০ লোক নিয়ে এসে হারামের পবিত্রতা ভঙ্গ করেননি? যদিও প্রকৃতপক্ষে মুসলিমরা শুধু ওমরা করতে এসেছিল ।
-নবিজি (সা) কি কিছু কুরাইশকে মক্কা থেকে অন্যত্র চলে যেতে দিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করাননি? যদিও প্রকৃতপক্ষে তাঁরা মক্কায় অসহ্য অত্যাচারের সম্মুখীন না হলে কখনই হিজরত করতেন না।

আসলে, ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিটি আক্রমণের ঘটনার মূলে কিছু সত্য আছে। কিন্তু ইসলামবিদ্বেষীরা মূল সত্যের সঙ্গে অনেক মিথ্যা মিশিয়ে তা বিকৃত করে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। অভিযোগ করা হয় যে, নবিজি (সা) একজন জাদুকর ছিলেন। জাদুকরের চিহ্ন হলো তিনি অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কাজ করেন। প্রশ্ন হলো, নবিজি (সা) কি কোনো মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা ঘটাননি বা দেখাননি? উত্তর হলো, হ্যাঁ। সুতরাং এই অভিযোগের মূলে সত্য আছে। আবার মুশরিকরা তাঁকে কবি বলেও অভিযুক্ত করে। কবিতা আসলে কী? সুন্দর ছন্দময় কথাই কবিতা। আর কোরান কী সর্বোত্তম ও ছন্দময় কথা নয়? তাই বলা যায়, এখানে অভিযোগের মূলে একটি সত্য আছে, যার ওপর অজস্র মিথ্যার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।
আমাদের সময়ের বাস্তবতাও একই রকমের। নিজেকে ফক্স নিউজের একজন দর্শকের স্থানে বসান। সেখানে যখন আপনি কোনো মুসলিম দেশ থেকে আসা সহিংসতার খবরগুলো দেখবেন, তখন কি এটিই স্বাভাবিক নয় যে আপনার মনে হবে ইসলাম একটি উগ্র ধর্ম? ইসলামের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো নারী- নিপীড়ন। কিন্তু পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকে তাকান। দেখুন তারা কীভাবে নারীদের সবদিক থেকে ‘এক্সপ্লয়েট’ করছে। যেখানে ইসলাম নারীদের সম্মান রক্ষা করতে চাইছে, সেখানে ইসলামবিদ্বেষীরা এটাকে ‘নারীদের ওপর নিপীড়ন’ হিসেবে প্রচার করছে।
আমরা যারা মুসলিম তাদের এমন বিচক্ষণতা থাকা দরকার যাতে আমরা অভিযোগের পেছনে মূল সত্যটা দেখতে পাই। তবেই আমরা মিথ্যার আবরণ সরিয়ে প্রকৃত বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারব।আমাদের ধর্মকে রক্ষা করতে গেলে আগে বিধর্মীদের (বিশেষ করে ইসলামবিদ্বেষীদের) দৃষ্টিভঙ্গি ভালো করে বুঝতে হবে।
আরও পড়ুনঃ