সুরা আল লাইল – তাজভিদসহ গঠন ও অর্থসহ মুখস্থকরণ | কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ

সুরা আল লাইল আজকের আলোচনার বিষয়। “তাজভিদসহ গঠন এবং অর্থসহ মুখস্থকরণ: সুরা আল্-লাইল [ Surah Al-Layl (The Night) ]” ক্লাসটি “কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ [Quran Majid and Tajvid]” বিষয়ের পাঠ, যা ৭ম শ্রেণীতে [Class- 7] পড়ানো হয়। “তাজভিদসহ গঠন এবং অর্থসহ মুখস্থকরণ: সুরা আল্-লাইল [ Surah Al-Layl (The Night) ]” পাঠটি “কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ [Quran Majid and Tajvid]” বিষয়টিতে বা “২য় অধ্যায় [Chapter- 2]” এ পড়ানো হয়।

 

সুরা আল লাইল

সূরা আল লাইল (আরবি: النَّاسِ‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআনের ৯২ তম সূরা(অধ্যায়), এর আয়াত সংখ্যা ২১টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। লাইল শব্দের অর্থ রাত্রি। আল লাইল সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটি মাক্কী সূরা।

 

ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস

 

মূল বক্তব্য

এ সূরায় বলা হয়েছে মানুষের প্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকারের। তার মাঝে এক প্রকার হল আল্লাহ্‌র প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস(ঈমান) স্থাপন করা, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে গরিব দুঃখীদের মাঝে দান খয়রাত করা, উদার হওয়া, মহানুভব হওয়া ইত্যাদি মানবিক গুণাবলী অর্জন করা। আর আরেক প্রকারের প্রচেষ্টা হল সত্যকে অস্বীকার করা, সত্যকে গোপন করা(কুফর), মিথ্যা বলা, আল্লাহ্‌র একত্বে অন্য কাউকে অংশীদার করা(শিরকি কাজ করা), অহংকার করা, কার্পণ্য করা, মানুষের অধিকার নষ্ট করা, জুলুম/অত্যাচার করা ইত্যাদি খারাপ গুণাবলী অর্জন করা।

এই সূরায় বলা হয়েছে যারা ইমানদার ও ভাল গুণাবলীর অধিকারী তাদের জন্য সাফল্য অর্জনের পথ সুগম হয়ে যায়। পরকালে তাদের সাফল্য সুনিশ্চিত। অন্যদিকে যারা খারাপ গুণাবলীর অধিকারী- বেঈমান, নাফরমান তাদের জন্য ব্যর্থতা আর পরকালের জীবনে থাকবে অবধারিত শাস্তি।

 

আয়াতসমূহ

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

  1. শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে,
  2. শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়
  3. এবং তার, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন,
  4. নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
  5. অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়,
  6. এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে,
  7. আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
  8. আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়
  9. এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে,
  10. আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
  11. যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না।
  12. আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা।
  13. আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের।
  14. অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।
  15. এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে,
  16. যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
  17. এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে,
  18. যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে।
  19. এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।
  20. তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত।
  21. সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে।

 

স্বপ্নের তাবীর

যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখে যে সে এই সূরা পাঠ করছে সে অভাবগ্রস্ত হবে না, এমতাবস্থায় তার কর্তব্য হবে নিদ্রাভঙ্গ হলেই উঠে তাহাজ্জুদের নামায আদায় করা। আল্লামা ইবনে সীরীনের স্বপ্নের তাবীর নামক কিতাবে(বইতে) উল্লেখ আছে যে ব্যক্তি স্বপ্নে সূরা আল-লাইল পড়তে দেখবে তার রাত্রি জাগরণের তাওফীক হবে এবং মান-মর্যাদাহানী হতে বেঁচে থাকবে।

 

সুরা আল লাইল

সুরা আল লাইল নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment