সূরা আল কাসাস [ Surah Al Qasas ] পাঠ [ Repetition ] আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আল কাসাস [ Surah Al Qasas ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ২৮তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 28], এর আয়াত সংখ্যা ৮৮টি। “সূরা আল কাসাস [ Surah Al Qasas ]” মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।
Table of Contents
সূরা আল কাসাস
সূরা আল কাসাস নামকরণ :
২৫ আয়াতের (আরবী) বাক্যংশ থেকে সূরার নামকরণ করা হয়েছে । অর্থাৎ যে সূরায় (আরবী) শব্দটি এসেছে । আভিধানিক অর্থে কাসাস বলতে ধারাবাহিকভাবে ঘটনা বর্ণনা করা বুঝায় । এ দিক দিয়ে এ শব্দটি অর্থের দিক দিয়েও এ সূরার শিরোনাম হতে পারে । কারণ এর মধ্যে হযরত মূসার কাহিনী বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।

নাযিলের হওয়ার সময়-কাল :
সূরা নামলের ভূমিকায় আমি ইবনে আব্বাস (রা) ও জাবের ইবনে যায়েদের (রা) একটি উক্তি উদ্ধৃত করে এসেছি । তাতে বলা হয়েছিল, সুরা শু’আরা, সুরা নামল ও সূরা কাসাস একের পর এক নাযিল হয় । ভাষা, বর্ণনাভংগী ও বিষয়বস্তু থেকেও একথাই অনুভূত হয় যে, এ তিনটি সূরা প্রায় একই সময় নাযিল হয় । আবার এদিক দিয়েও এদের মধ্যে নিকটতম সম্পর্ক রয়েছে যে, এ সূরাগুলোতে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাহিনীর যে বিভিন্ন অংশ বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো পরস্পর মিলিত আকারে একটি পূর্ণ কাহিনীতে পরিণত হয়ে যায় ।
সূরা শু’আরায় নবুওয়াতের দায়িত্ব গ্রহণ করার ব্যাপারে অক্ষমতা প্রকাশ করে হযরত মূসা বলেনঃ “ফেরাউনী জাতির বিরুদ্ধে একটি অপরাধের জন্য আমি দায়ী । এ কারণে আমার ভয় হচ্ছে, সেখানে গেলেই তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে । ” তারপর হযরত মূসা যখন ফেরাউনের কাছে যান তখন সে বলেঃ “আমরা কি তোমাকে আমাদের এখানে ছোট্ট শিশুটি থাকা অবস্থায় লালন পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের এখানে কয়েক বছর থাকার পর যা করে গেছো তাতো করেছই । ” এ দু’টি কথার কোন বিস্তারিত বর্ণনা সেখানে নেই । এ সূরায় তার বিস্তারিত বিবরণ এসে গেছে ।
অনুরূপভাবে সূরা নামলে এ কাহিনী সহসা একথার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে যে, হযরত মূসা তাঁর পরিবার পরিজনদের নিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ তিনি একটি আগুন দেখলেন । এটা কোন ধরনের সফর ছিল, তিনি কোথায় থেকে আসছিলেন এবং কোথায় যাচ্ছিলেন এর কোন বিবরণ সেখানে নেই । এর বিস্তারিত বিবরণ এ সূরায় পাওয়া যায় । এভাবেএ তিনটি সূরা মিলে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ রূপদান করেছে ।
সূরা আল কাসাস [ Surah Al Qasas ] সুরা পাঠঃ
আরও দেখুনঃ