সূরা আল ক্বামার আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা আল ক্বামার (চন্দ্র) [ Surah Al-Qamar (Moon) ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ৫৪তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 54], এর আয়াত সংখ্যা ৫৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ৩টি। আল ক্বামার (Al-Qamar) শব্দের অর্থ চন্দ্র (Moon)। সূরা আল ক্বামার (চন্দ্র) [ Surah Al-Qamar (Moon) ] মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটি মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।
সূরা আল ক্বামার
সূরা আল ক্বামার (আরবি ভাষায়: القمر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৫৪তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৫৫ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩। সূরা আল ক্বামার মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথম আয়াতের وَانْشَقَّ الْقَمَرُ বাক্যাংশের الْقَمَرُ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে القمر (‘ক্বামার’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

নাজিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত
মদীনায় হিযরাতের ৫ বৎসর পূর্বে মক্কার কাফির ও মুশরিকদের একদল নেতা একবার মুহাম্মাদ’র কাছে আসে। তাদের মধ্যে আবু জেহেল, ওয়ালিদ বিন মুগিরাহ, আস ইবনে ওয়ায়েল, আস ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব, যাম‘আহ ইবনুল আসওয়াদ, নযর ইবনে হারেস ইত্যাদি ছিল। ঐ দিন রাতের আকাশে পূর্ণ চাঁদ দেখা যাচিছল। তারা বললো, ‘আপনার নবুওতের দাবী যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এই চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত হতে বলুন’। মুহাম্মাদ বললেন, ‘এ কাজ করলে কি তোমরা ঈমান আনবে?’ তারা বললো, ‘হ্যা।” অতঃপর মুহাম্মদ আল্লাহর কাছে এ বিষয়ে প্রার্থনা করলেন।
তার প্রার্থনা কবুল হলো। অতঃপর চাঁদ স্পষ্টভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল এবং দুই খণ্ডের মাঝখানে হেরা পর্বত দৃশ্যমান হলো। দুই খণ্ডের এক খণ্ড আবী কুবাইস পাহাড় বরাবর, অপরটি কাইকা’আন বরাবর দৃশ্যমান হলো। ইবনে কাসীর সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাথমিককালের ইসলামী ইতিহাস রচয়িতাগণ এ ঘটনাকে নির্ভুল বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এ সময় মুহাম্মাদ বলছিলেন, ‘সাক্ষী থাক ও দেখ’। কাফির ও মুশরিকরা এই অসাধারণ দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। কিন্তু তারা ঈমান না এনে বললো, ‘মনে হয়, আপনি আমাদেরকে যাদু করেছেন’। এ ঘটনাকে বলা হয় ‘শাক্কুল ক্বামার (আরবি: انشقاق القمر)) যার পরিপ্রেক্ষিতে সূরা কামার (চন্দ্র) অবতীর্ণ হয়। এর প্রথম দুই আয়াত হলো:
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ وَإِن يَرَوْا آيَةً يُعْرِضُوا وَيَقُولُوا سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ
এর অর্থ হলো, “কেয়ামত সমাসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোনো নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে এটা তো চিরাচরিত জাদু’’।
সূরা আল ক্বামার সুরা পাঠঃ
আরও দেখুনঃ