সূরা ইয়াসীন [ Surah Yasin ] পাঠ [ Repetition ] আজকের ভিডিও এর বিষয়। “সূরা ইয়াসীন [ Surah Yasin ]” আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ৩৬তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 36], এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য ৮৩। সূরা সূরা ইয়াসীন মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সূরা ইয়াসীন
সূরা ইয়াসীন (আরবি ভাষায়: سورة يس) মুসলমানদের ধর্ম-গ্রন্থ আল-কুরআনের ৩৬ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮৩ এবং এর রূকুর সংখ্যা ৫। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এক হাদিসে রাসূলে আকরাম(ﷺ) বলেন, এই সূরাকে কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।

এই সূরা -ইয়াসীন নামে প্রসিদ্ধ। এক হাদীসে এ সূরাকে “আয়ীমা” বলা হয়েছে এবং অপর এক হাদীসে পাওয়া যে, তওরাতে এ সূরাকে “মুয়িম্মাহ” বলে উল্লেখিত রয়েছে। এই সূরার পাঠকের নাম “শরীফ” বলে বর্ণিত আছে। আর বলা হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন এর সুপারিশ “রবীয়া” গোত্র তুলনায় অধিকসংখ্যাক লোকের জন্য কবুল হবে। এছাড়া বিভিন্ন রেওয়ায়েতে এর নাম “মুদাফিয়াও”,”কাযিয়া” বলে উল্লেখ রয়েছে। সূরার প্রথম আয়াত থেকে নামকরণ করা হয়েছে।
ইমাম গযযালী এর মতে, এই সূরায় কেয়ামত ও হাশরের ব্যাপারে দীর্ঘ বর্ণনা থাকার কারণে একে কুরআনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়েছে। সবকিছুর একটা হৃৎপিণ্ড আছে, এখান থেকে হৃদপিন্ডের ধারনাটি আসে এবং সূরা- ইয়াসীন কোরআনের হৃৎপিণ্ড। বলা হয়, “হৃৎপিণ্ড” এর অর্থ অনেক পাণ্ডিত্যপূর্ণ আলোচনার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
এটা কোরাআনের অপরিহার্য বিষয়বস্তুর প্রদর্শন করে, যেমন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব; আল্লাহর সীমাহীন ক্ষমতার উদাহরণস্বরূপ হিসেবে তার সৃষ্টি, জান্নাত; বহু-ঈশ্বরবাদী এবং অবিশ্বাসীদের জন্য পুনরুত্থানের পরে তার চরম শাস্তি, এবং অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের সংগ্রাম; এবং অন্যদের মধ্যে মুমিনরা যে সঠিক পথের উপর ছিল তা পুনরায় নিশ্চিত করা। সূরা ইয়াসীন তার প্রাণবস্ত এবং ছন্দযুক্ত আয়াতের সাথে একটি কার্যকর ও শক্তিশালী পদ্ধতিতে কুরআনের বার্তা প্রদর্শন করে।
এই সূরা এক বার পাঠ করলে দশ বার পবিত্র কোরআন খতমের সওয়াব অর্জিত হবে। যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত সূরা ইয়াসীন পাঠ করে তবে তার জন্য বেহেশতের ৮টি দরজাই খোলা থাকবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে এবং কোন ব্যক্তি রাত্রে শোয়ার পূর্বে সূরা- ইয়াসীন পাঠ করে রাত্রি যাপন করে তবে সকালে সে নিশ্পাপ অবস্থায় ঘুম হইতে জাগ্রত হবে। এমনকি শুধু পাঠ করলেই নয় এই সূরাটি শুনলেও অনেক সওয়াব।
সূরা ইয়াসীন নিয়ে বিস্তারিত :