আয়েশার রা ওপর অপবাদ | আয়েশার (রা)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ-১, আল-মুরায়সির অভিযান থেকে ফেরার পথের এই ঘটনা দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক, যা প্রিয় নবির (সা) একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বন্ধন ও সমঝোতা এবং তাঁদের বিয়ের পবিত্রতা ও মর্যাদার বিষয়।
যাঁকে নিয়ে এই ঘটনা, অর্থাৎ উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা) নিজের জবানিতেই এর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। তিনি নিজের স্মৃতি থেকে এই অপবাদের কাহিনি বর্ণনা করছেন, যা সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে কয়েক পৃষ্ঠা জুড়ে লিপিবদ্ধ আছে। এখানে আমরা মূলত আয়েশা (রা) বর্ণিত বুখারির দীর্ঘ হাদিসটি অনুসরণ করব। সেই সঙ্গে আরও কিছু বর্ণনাও যোগ করব।
আয়েশার রা ওপর অপবাদ | আয়েশার (রা)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ-১ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

আয়েশা (রা) বর্ণনা করেছেন: “নবিজি (সা) যখন কোনো অভিযানে যেতেন তখন স্ত্রীদের মধ্যে লটারি করতেন। লটারিতে যাঁর নাম উঠত তিনি ওই অভিযানে নবিজির (সা) সঙ্গী হতেন।”
[নোট ১: নবিজি (সা) তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে যথাসাধ্য সমতাপূর্ণ ও ন্যায়সংগত ব্যবহার করতেন। অভিযানের সময় সব স্ত্রীকে সঙ্গে নেওয়া বাস্তব কারণেই সম্ভব হতো না, তাই তিনি লটারি করতেন। এ রকম পরিস্থিতিতে লটারির অনুমতি ফিকহে রয়েছে।]
[নোট ২: তবে তিনি কেবল এমন ক্ষেত্রেই কোনো স্ত্রীকে সঙ্গে নিতেন যেখানে বিজয় সুনিশ্চিত মনে করতেন। যেমন আল-মুরাইসির অভিযান।] এবং আয়েশা (রা) বলেন, “(আল-মুরাইসির অভিযানে) আমার নাম উঠে এল। তাই আমি নবিজির (সা) সঙ্গে সফরে গেলাম। এই ঘটনাটি হিজাবের আয়াত নাজিল হওয়ার পরের।”
[নোট ৩ মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব পরার বিধান সম্পর্কিত কোরানের আয়াতগুলো হিজরতের চতুর্থ বছরের শেষের দিকে (জিলকদ মাসে) নাজিল হয়েছিল ।]
[নোট ৪: হিজাবের আয়াতগুলো নাজিল হয়েছিল নামাজ, জাকাত, রোজা ইত্যাদির বিধান নাজিল হওয়ার পরে। নিঃসন্দেহে হিজাব গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই নামাজের চেয়ে এটিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। কোন কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কোনটা কম, তা আমাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে।] এবং আয়েশা (রা) বলেন, “অতএব আমি সফরের সময় হাওদার ভেতরে ছিলাম (‘হাওদা’ হলো উটের পিঠের উপরে স্থাপিত ছোট তাঁবু)।”
[নোট ৫: নবিজির (সা) স্ত্রীদের ক্ষেত্রে হিজাবের অতিরিক্ত নিয়ম প্রযোজ্য ছিল। অবয়ব ঢেকে রাখা ছাড়াও তাঁদের চারপাশের স্থানও ঢেকে রাখতে হতো। এই নিয়ম শুধু নবিজির (সা) স্ত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল, যা পবিত্র কোরানে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে: “তোমরা তাঁর (রসুলের) স্ত্রীদের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে।” [সুরা আহজাব, ৩৩:৫৩]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোরানে বর্ণিত ‘হিজাব’ অর্থ মাথা ঢেকে রাখার ওড়না বা হেডস্কার্ফ নয়, যদিও এখনকার সময়ে প্রচলিত আরবিতে এর অর্থ হেডস্কার্ফ। কিন্তু কোরানে ব্যবহৃত ধ্রুপদী আরবি ভাষায় হিজাব অর্থ বাস্তবিক (‘ফিজিক্যাল’) পর্দা যা একজনকে আরেকজন থেকে পৃথক করবে। হেডস্কার্ফকে কোরানে ‘খিমার’ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। আল্লাহ বলেছেন, “তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় (ইংরেজিতে হেডস্কার্ফ, আরবিতে ‘খুমুর’) দ্বারা ঢাকা থাকে।” [২৪:৩১]।
উল্লেখ্য, জাহেলি যুগে নারীরা সবসময় মাথা ঢেকে রাখা ওড়না বা হেডস্কার্ফ পরতেন। সম্ভ্রান্ত নারীর পক্ষে মাথায় স্কার্ফ না থাকা ছিল অকল্পনীয়। সম্ভ্রান্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রত্যেক নারী চুল ঢেকে রাখতেন, আজ থেকে ১০০ বছর আগের আমেরিকায় যেমনটি ছিল। প্রকৃতপক্ষে, হিজাবের আয়াত নাজিল হওয়ার মাধ্যমে নবিজির (সা) স্ত্রীদের জন্য খিমার (কিংবা জিলবাব) ছাড়া আরেকটি অতিরিক্ত পর্দার বিধান প্রযোজ্য হয়। ‘জিলবাব’ আরেকটি শব্দ যার উল্লেখ কোরানে (৩৩:৫৯) আছে। খিমার (হেডস্কার্ফ) এবং জিলবাব সব নারীর জন্য; কিন্তু হিজাব (অতিরিক্ত পর্দা) শুধু নবিজির (সা) স্ত্রীদের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল ।
আজকাল কিছু ‘প্রগতিশীল’ ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, হিজাবের নিয়ম শুধু নবিজির (সা) স্ত্রীদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল। কোরানের আয়াতকে কেবল শাব্দিকভাবে বিবেচনায় নিলে এই কথা সত্য। কিন্তু এ রকম ব্যাখ্যা করা শুধু নির্বুদ্ধিতা নয়, এ থেকে কোরান সম্পর্কে অজ্ঞতাও প্রকাশ পায়। খিমার বা হেডস্কার্ফের ব্যাপারে কোরানে খুব স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে; “হে নবি! তুমি তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও বিশ্বাসী নারীদের বলো তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখের উপর টেনে দেয়।” | সুৱা আহজাব, ৩৩:৫৯]

“(হে নবি) তুমি মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের যৌন অঙ্গকে হেফাজত করে । তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢাকা থাকে।” [সুরা নুর, 24:31] আয়েশা (রা) বলেন, “এই অভিযান শেষ হওয়ার পর আমরা ফিরে আসছিলাম। নবিজি (সা) মদিনার বাইরে শিবির স্থাপন করে রাত কাটানোর নির্দেশ দিলেন।”
[নোট ৬: সেই রাতেই মুনাফেক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়ে পড়ে এবং সুরা মুনাফিকুন নাজিল হয় । তাই সে (আবদুল্লাহ ইবনে উবাই) এমন কাপুরুষের মতো ও ন্যক্কারজনকভাবে প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লেগেছিল ।
আয়েশা (রা) আরও বলেন, “শিবির স্থাপনের নির্দেশের পর আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সেনাবাহিনী যেখানে অবস্থান করছিল সেখান থেকে কিছুটা দূরে গেলাম। ফেরার পথে অনুভব করলাম, আমি গলায় যে নেকলেসটি পরে ছিলাম, সেটি নেই। আমি ত্রস্ত্র হয়ে নেকলেসটি খুঁজতে লাগলাম। অনেকক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির করার পর আবার আগের জায়গায় ফিরে এলাম।”
এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে মদিনার পথে যাত্রা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাহাবিরা প্রত্যেকেই বেশ ক্লান্ত। তাঁরা তখন মদিনা শহর থেকে মাত্র একদিনের দূরত্বে। তাই বাড়ি পৌঁছার শেষ সময়ে তাঁরা বেশ তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিলেন। যাঁরা আয়েশার (রা) হাওদার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁরাও তাড়াহুড়ো করে হাওদাটি উটের উপর তুলে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। তাঁরা বুঝতে পারেনি যে আয়েশা (রা) হাওদার ভেতরে নেই।
এ ঘটনা বর্ণনা করার সময় আয়েশা (রা) তাঁদের পক্ষে অজুহাত দিয়ে বলেন, “আমি তখন ছিলাম কিশোরী। আমার খুব বেশি ওজন ছিল না। আমি ছিলাম বেশ হালকাপাতলা গড়নের। তাই যখন তারা হাওদাটি উটের পিঠে তুলেছিল, তখন বুঝতে পারেনি যে আমি সেটির ভেতরে ছিলাম না।”
[নোট ৭: ঘটনার ৫০ বছর পরও তিনি তাদের নাম উল্লেখ না করেই বর্ণনা করেন, তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনছেন না। তিনি বরং বলছেন, এতে তাদের দোষ ছিল না। দেখুন, তিনি কতটা সরল মনের এবং সুন্দর আদবের অধিকারী ছিলেন।]
[নোট ৮: অবশ্যই আয়েশার প্রতি আদব ও শ্রদ্ধাবোধের কারণে তাঁর হাওদার দায়িত্বে নিযুক্ত লোকদের তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলার কথা ছিল না। তিনি ছিলেন আল্লাহর রসুলের (সা) স্ত্রী। সুতরাং তাঁরা তাঁকে নিজের মতোই থাকতে দিয়েছিলেন। আয়েশা (রা) আরও বলেন, “আমি যখন শিবিরে ফিরে গেলাম, তখন সেখানে একজন লোকও ছিল না।”
[নোট ৯: তিনি জানতেই পারেননি যে পুরো শিবিরের সবাই ইতোমধ্যে চলে গেছেন। তিনি সত্যিই তাঁর হারিয়ে যাওয়া নেকলেসটিকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি তখনও নেকলেসটি খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেখতে পান, তাঁর উট যেখানে বসে ছিল ঠিক তার নিচেই নেকলেসটি পড়ে আছে। আয়েশা (রা) বর্ণনা করেছেন, “(শিবিরে ফিরে এসে) আমি আগের জায়গাতেই অপেক্ষা করতে থাকলাম। আমি ভেবেছিলাম, তারা আমার অনুপস্থিতি টের পেয়ে আমাকে খোঁজার জন্য আবার ফিরে আসবে। অপেক্ষা করতে করতে এক সময় আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।”
[নোট ১০: তাঁর সাহস দেখুন! মরুভূমিতে তিনি সম্পূর্ণ একা; কোনো খাবার বা পানি নেই; তারপরও তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ তাঁকে অবশ্যই রক্ষা করবেন।] আয়েশা (রা) আরও বলেন, “যখন জেগে উঠলাম, তখন এক লোককে বলতে শুনলাম, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। লোকটি ছিল সাফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল আল-সুলামি।”
[নোট ১১। তখন সাহাবিরা কোনো ঘটনা ঘটলে এভাবেই বিভিন্ন জিকর (আল্লাহকে স্মরণ) সহযোগে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতেন; যেমন: ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘আল্লাহু আকবার’, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ ইত্যাদি ।]
[নোট ১২: সাফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল সাহাবিদের মূল দল থেকে পিছিয়ে পড়েছিলেন। তিনি একটু বেশি সময় ঘুমিয়েছিলেন, যা ছিল আল্লাহর কদরেই একটি অংশ। ঘুম ভাঙার পর তিনি দেখতে পেলেন, বাকিরা সবাই চলে গেছে। তাই তিনি তাঁর উট নিয়ে ধীরে ধীরে মদিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেন। কিন্তু এর মধ্যে তিনি মরুভূমিতে একজনকে একা দেখতে পেলেন। কাছে গিয়ে দেখলেন, তিনি আর কেউ নন, উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা) ||
আয়েশা (রা) আরও বলেন, “হিজাবের আয়াত নাজিল হওয়ার আগে তিনি (সাফওয়ান) আমাকে দেখেছিলেন, তাই তিনি আমাকে চিনতে পেরেছিলেন। ঘুম থেকে উঠে তাঁকে দেখতে পেয়ে আমি জিলবাব দিয়ে আমার মুখ ঢেকে ফেলি। আল্লাহর কসম, তিনি আমার সঙ্গে একটি কথাও বলেননি। তিনি কেবল তাঁর উটটিকে নিচু করে বসিয়ে রেখে সেখান থেকে দূরে সরে গেলেন, যাতে আমি তার উপর চড়তে পারি (অর্থাৎ তিনি উল্টোদিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন যাতে তিনি আমার উটের পিঠে চড়ার দৃশ্যটি দেখতে না পান)। তারপর তিনি মদিনা পর্যন্ত পুরো পথ উটটিকে হাত দিয়ে টেনে নিয়ে গেলেন (অর্থাৎ তিনি হেঁটে হেঁটে গেলেন, আর আমি উটের উপরে বসে ছিলাম)।”
[নোট ১৩: সাফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল ছিলেন একজন প্রকৃত ভদ্রলোক; অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত একজন সাহাবি। তিনি তখনও বিয়ে করেননি। এই ঘটনার কিছু সময় পরে তিনি বিয়ে করেন। তিনি উমরের (রা) খেলাফতকালে ১৬ হিজরিতে আর্মেনিয়ায়ার যুদ্ধে শহিদ হন।
সাফওয়ান ও আয়েশা (রা) একসময় এগিয়ে থাকা সাহাবিদের মূল দলকে ধরে ফেলেন এবং তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। দলের সবচেয়ে পেছনে ছিল আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল। কোনো অভিযানের সময় মুনাফেকরা সাধারণত পেছনের দিকেই থাকত। আয়েশা (রা) বলেন, “সেই সময়ই আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়া শুরু করে।”
তিনি আরও বলেন, “মদিনায় ফেরার পর আমি পুরো এক মাস জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। তাই গুজব কীভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল তা মোটেই জানতে পারিনি।” এই এক মাসে গুজব আরও ডালপালা গজিয়ে ছড়াতে থাকে, অথচ আয়েশার (রা) কাছে সবকিছু অজানাই থেকে যায়। তাঁর অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে সাড়া না দেওয়াও গুজব আরও বেশি ছড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। আমরা পরবর্তী পর্বে এই ঘটনার বাকি অংশটুকু আলোচনা করব।
অপবাদের বিস্তারিত উল্লেখ না করা বিচক্ষণতার পরিচায়ক
যে গুজব ছড়িয়েছিল, সিরাহের লেখকরা কখনই তার বিস্তারিত উল্লেখ করেননি। রটনা তা এতই জঘন্য ছিল যে, আপনি এসব নিয়ে কোনো ইঙ্গিত পর্যন্তও দিতে চাইবেন না। তাই সিরাহ-লেখকরা কেবল ‘মিথ্যা অপবাদ’ (‘স্ল্যান্ডার’) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কোনো সিরাহের বইয়ে এর বিস্তারিত বর্ণনা নেই। এ থেকে আমরা প্রাথমিক যুগের সিরাহ-লেখকদের উঁচুমানের আদব, বিচক্ষণতা ও শিষ্টাচারের পরিচয় পাই। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, আয়েশা (রা) সম্পর্কে যে কথাগুলো বলা হয়েছিল তা ভাষায় উল্লেখ করা কিংবা বিস্তারিত বর্ণনা করা সমীচীন হতো না।
আরও পড়ুনঃ