উরওয়ার ইসলাম গ্রহণ | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২, মক্কাবিজয়ের পর উরওয়া হিজরতের ৯ম বছরে নবি করিমের (সা) কাছে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর নবিজি (সা) তাঁকে বলেন, “আমি তোমাকে নিয়ে শঙ্কিত (অর্থাৎ যখন তুমি তোমার গোত্রের কাছে ফিরে গিয়ে ইসলামের কথা বলবে, তখন তারা তোমার সাথে কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত)।” জবাবে উরওয়া খুব আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “হে আল্লাহর রসুল, যদি আমি ঘুমিয়ে থাকি, তাহলে তারা আমাকে জাগাবে না (অর্থাৎ আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে এত সম্মান করে যে, অত চিন্তার কিছু নেই)।”
উরওয়ার ইসলাম গ্রহণ | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

কিন্তু নবিজি (সা) তো ভালো করেই জানেন যে, ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু করলে কী হয়! উরওয়ার সাকিফদের মধ্যে যতটা সম্মানিত ছিলেন, নবিজি (সা) কুরাইশদের মধ্যে তার চেয়েও বেশি সম্মানিত ছিলেন। তারপরও উরওয়ার পীড়াপীড়িতে নবিজি (সা) তাঁকে নিজের গোত্রের কাছে ফিরে যেতে দেন।

উরওয়া ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। কিন্তু তাঁর গোত্রের লোকজন বিষয়টিকে ভালোভাবে নিল না। একদিন তারা তাঁর প্রতি এমন আশালীন ভাষা ব্যবহার করা শুরু করল যা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। তিনি দুঃখভারাক্রান্ত মনে বাড়ি ফিরে গেলেন। পরদিন সকালে ফজরের সময় তিনি ছাদে গিয়ে প্রথমে আজান দিয়ে নামাজে দাঁড়ালে কেউ একজন তাঁর দিকে তির নিক্ষেপ করে ।
বর্ণিত আছে যে, তিরের আঘাতে তিনি পড়ে যান এবং সেখানেই শাহাদাতবরণ করেন। এই খবর নবিজির (সা) কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, “উরওয়া সুরা ইয়াসিনের সেই লোকটির মতো।” পবিত্র কোরানের সুরা ইয়াসিনে (৩৬:২০-২৭) বর্ণিত সেই ব্যক্তি তার লোকদের আল্লাহর পথে ডেকেছিলেন, পরিণামে তারা তাকে হত্যা করে ।
আরও পড়ুনঃ