আল-হুলায়েসের ঘটনায় লক্ষণীয় বিষয় | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২, ১. প্রতিটি সমাজেই কিছু ভালো মানুষ আছে। আমাদের মধ্যে কিছু মুসলিম এটা মানতে চায় না। অতি উৎসাহ থেকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। তারা মনে করে, আপনি যদি মুসলিম না হন তাহলে আপনার মধ্যে ভালো কিছু থাকতে পারে না। এটা সত্যিই হাস্যকর রকমের ধারণা।

আপনি যদি মুসলিম না হন, তাহলে আমরা আপনার ধর্মতত্ত্ব সমর্থন করি না। কিন্তু এর মানে কি আপনি সৎ হতে পারেন না? পুরো সিরাহে অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে মূর্তিপূজ করা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। নবিজিও (সা) তাদের প্রশংসা করেছেন। আমাদের সময়েও অনেক অমুসলিম অধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেয়। অনেক অমুসলিম আমেরিকান আছে যারা তাদের সংসদে শরিয়া-বিরোধী বিল পাস হতে বাধা দেয়। মুসলিমদের উচিত হবে সব সময় ভালো লোকের কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করা ।
আল-হুলায়েসের ঘটনায় লক্ষণীয় বিষয় | হুদায়বিয়ার সন্ধি-২ | মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) জীবন

২. নবিজি (সা) অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে মানুষের মনস্তত্ত্ব কাজে লাগিয়েছেন। কিনানা গোত্রের লোকদের কোরবানির উটের প্রতি মমতা ছিল, এই ব্যাপারটি কাজে লাগালে তো দোষের কিছু নেই।
নবিজি (সা) তা করেছেন। আমাদের সময়ে কিছু অতি উৎসাহী মুসলিম আছে, যখন তারা দেখে যে একজন মুসলিম বক্তা ধর্মীয় আলোচনার বাইরেও সমাজের জন্য উপযোগী অন্য কোনো বিষয় (উদাহরণস্বরূপ, পরিবেশ সংরক্ষণ) নিয়ে কথা বলছে, তখন তারা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে কটাক্ষ করে বলে, ‘অমুসলিমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলা ফ্যাশনেবল মনে করে বলে কি আপনাকে এটা নিয়েও কথা বলতে হবে?” একটি বিষয় নিয়ে কোনো অমুসলিম কথা বললেই কি তা অনৈসলামিক হয়ে যায়? না, হয় না।
আমাদের ধর্ম কি আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণ করতে বলেনি? অবশ্যই বলেছে। নিশ্চয়ই আমরা শরিয়া পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু সমাজের জন্য মঙ্গলজনক কোনো কিছুর পক্ষে যদি জনমত তৈরি হয়, তাহলে ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থেকে সেই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় দোষের কিছু নেই।
আরও পড়ুনঃ