সূরা আত তাকভীর আল-কুরআনের [ Al-Quran ] ৮১তম সূরা বা অধ্যায় [ Surah/Chapter 81], এর আয়াত সংখ্যা ২৯টি। “সূরা আত তাকভীর [ Surah At Taqbeer ]” মাক্কী সূরা [ Makki Surah ]।
সূরা আত তাকভীর
গুরুত্ব :
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন,مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَّنْظُرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأنَّهُ رَأْىُ عَيْنٍ فَلْيَقْرَأْ إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ، إِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ، إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ- ‘যে ব্যক্তি চোখের সামনে ক্বিয়ামতের দৃশ্য দেখতে চায়, সে যেন إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ও إِذَا السَّمَاءَ انْفَطَرَت এবং إِذَا السَّمَاءَ انْشَقَّتْ সূরাগুলি পাঠ করে।

বিষয়বস্ত্ত :
১- ক্বিয়ামতের ভয়ংকর অবস্থা বর্ণনা (১-১৪ আয়াত)। ২- কুরআন যে জিব্রীল ফেরেশতার মাধ্যমে প্রেরিত সত্যগ্রন্থ এবং নবী যে সত্য, সেকথা শপথ করে বর্ণনা (১৫-২৯ আয়াত)।
ব্যাখ্যা : এখানে ক্বিয়ামত সংঘটন কালের ১২টি অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬টি হবে দুনিয়াতে এবং ৬টি হবে আখেরাতে। দুনিয়ার ছয়টি অবস্থা বর্ণিত হয়েছে ১ হ’তে ৬ আয়াতে। হযরত উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) বলেন,
(১) মানুষ বাজার-ঘাটে মশগুল থাকবে। এমতাবস্থায় হঠাৎ সূর্যের আলো নিভে যাবে।
(২) নক্ষত্রসমূহ খসে পড়বে।
(৩) পাহাড়সমূহ মাটির উপর ভেঙ্গে পড়বে ও সারা পৃথিবী কম্পিত ও আন্দোলিত হবে।
(৪) এ সময় জিন-ইনসান সব ভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকবে।
(৫) পশু-পক্ষী সব ভীত-চকিত হয়ে একত্রিত হয়ে যাবে।
(৬) সমুদ্র সব অগ্নিময় হয়ে একাকার হয়ে যাবে। এরপর একটি বায়ুপ্রবাহ আসবে। যাতে সবাই মারা পড়বে’ (সংক্ষেপায়িত; ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাছীর)।
অতঃপর আখেরাতের ছয়টি অবস্থা বর্ণিত হয়েছে ৭ হ’তে ১৪ আয়াতে। যার শুরু হয়েছে এই বলে, وَإِذَا النُّفُوْسُ زُوِّجَتْ ‘যেদিন আত্মাসমূহকে মিলিত করা হবে’। এবং শেষ হয়েছে وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ ‘যেদিন জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে’। অতঃপর ‘প্রত্যেকে জানবে সে কি হাযির করেছে’।
সূরা আত তাকভীর পাঠ ঃ
আরও দেখুনঃ
সূরা বাকারা পর্ব ৭ । সূচি । [ গাভী কুরবানী] সূরা নং ২ । পবিত্র কুরআন ।